৩০ এপ্রিল ২০১২, মঙ্গলবার, ০৫:২৭:০০ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের প্রতিভা বিকাশে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা রাখা যাবে না’ সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬


আইওয়া ককাসে বড় জয় ট্রাম্পের
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৭-০১-২০২৪
আইওয়া ককাসে বড় জয় ট্রাম্পের ডোনাল্ড ট্রাম্প


আইওয়া ককাসে চূড়ান্তভাবে জয়ী হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর মধ্য দিয়ে তিনি রিপাবলিকান দল থেকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ফ্রন্টরানার মর্যাদাকে সুদৃঢ় করেছেন। একই সঙ্গে এ বছর অনুষ্ঠেয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজের দল রিপাবলিকান থেকে প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে গেলেন। গত ১৫ জানুয়ারি সোমবার আইওয়া ককাসে তিনি জাতিসংঘে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি এবং ফ্লোরিডার গভর্নর রন ডি’স্যান্তিসকে পরাজিত করেছেন। এই রাজ্যে মোট ডেলিগেট আছে ৪০টি। তার মধ্যে কমপক্ষে ১৭টি ডেলিগেট পেয়েছেন ট্রাম্প। অন্যদিকে নিকি হ্যালি এবং ডি’স্যান্তিস পাঁচটি করে ডেলিগেট পেয়েছেন। ভোট গ্রহণের আধা ঘণ্টার মধ্যে মার্কিন মিডিয়ায় রিপোর্ট প্রকাশ হতে থাকে। 

ডোনাল্ড ট্রাম্প এর আগে দু’বার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেছেন। তার মধ্যে প্রথম দফা ২০১৬ সালে সাবেক ফার্স্টলেডি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। কিন্তু ২০২০ সালে এসে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে হেরে যান। তৃতীয় দফা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন এবার। এখন পর্যন্ত তার দল রিপাবলিকান প্রার্থীদের তুলনায় তিনি জনপ্রিয়তায় অনেক এগিয়ে আছেন। তার বিরুদ্ধে চারটি ফৌজদারি মামলাসহ বেশ কিছু আইনি ঝামেলা থাকা সত্ত্বেও তিনি তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছেন। প্রাধান্য ধরে রেখেছেন। তবে কলোরাডো ও মেইনে রাজ্যে তাকে নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা করেছে আদালত। 

গত ১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে জুরিদের সামনে সশরীরে উপস্থিত হওয়ার কথা ট্রাম্পের। সেখানে তার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন ও মানহানির বিষয়ে একজন রাইটার ৫০ লাখ ডলারের মামলা জিতেছেন। তাকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে আরও অর্থ দিতে হবে কিনা তা জানতে চাইবেন আদালতে। এসব মামলা রিপাবলিকান দলের ভিতর মোটেও সমর্থনে ক্ষতি করতে পারেনি। তাদের বেশির ভাগই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলাকে দেখে থাকেন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হিসেবে। 

আইওয়া থেকে যে প্রার্থীকে মনোনীত করা হয়, তারই প্রেসিডেন্ট পদে চূড়ান্ত মনোনয়ন পাওয়ার একটি ধারা প্রচলিত। কিন্তু জর্জ বুশ এমন সৌভাগ্যবান শেষ প্রার্থী ছিলেন। তিনি ওই রাজ্য থেকে ২০০০ সালে প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থিতায় জিতে প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। তারপর আর এমন ঘটনা ঘটেনি। তবুও এই রাজ্যের ওপর নির্ভর করে নিউ হ্যাম্পশায়ার, নেভাদা এবং সাউথ ক্যারোলাইনার ডেলিগেট কে পাবেন। এখানে যিনি এগিয়ে থাকেন তার পক্ষেই বাকি এই তিনটি রাজ্যের বেশির ভাগ ডেলিগেট যাওয়ার কথা। 

আইওয়াতে ভয়াবহ ঠান্ডা। তাপমাত্রা মাইনাস ৩০ ডিগ্রির কাছাকাছি। এ অবস্থায় সেখানে কমপক্ষে ১৬০০ স্কুল, কমিউনিটি সেন্টার এবং অন্য স্থানগুলোতে স্থাপিত ভোটকেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন ভোটাররা। ২০২৪ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এটাই আনুষ্ঠানিক দলীয় ভোট। ভোটাররা চরম প্রতিকূল আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে বেরিয়ে আসেন। ভোট দেন। আইওয়া ককাসের আগে সেখানকার তৃণমূল রিপাবলিকানদের মধ্যে ট্রাম্প তার শিকড় গাড়তে সক্ষম হয়েছেন। জনমত জরিপে দেখা যায়, প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় ব্যবসায়ী থেকে রাজনীতিকে পরিণত ট্রাম্প এগিয়ে আছেন দুই অংকের সংখ্যায়। 

শেয়ার করুন