১৮ এপ্রিল ২০১২, বৃহস্পতিবার, ০৮:০০:০০ অপরাহ্ন


সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
দেশ রিপোর্ট:
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-০১-২০২৩
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মইনুল  ইসলামকে কারণ দর্শানোর নোটিশ জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনে বিভক্ত কার্যকরি কমিটির সভায় উপস্থিতি


নিউ ইয়র্কের ওজনপার্কের মমোস পার্টি হলে গত ৯ জানুয়ারি সন্ধ্যায় জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা ইনকের বিভক্ত কার্যকরি কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের সভাপতি বদরুল খানের সভাপতিত্বে এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক রোকন  হাকিমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় সংগঠনকে এগিয়ে নিতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি এমডি লোকমান হোসেন, সহ-সভাপতি সফিউদ্দিন তালুকদার, কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আলিম, সাহিত্য সম্পাদক হোসেন আহমদ, ক্রীড়া সম্পাদক মান্না মুনতাসির, সমাজকল্যাণ সম্পাদক জাহিদ হাসান, আইন ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক বুরহান উদ্দিন, প্রচার ও দফতর সম্পাদক ফয়সাল আলম, কার্যকরি সদস্য শামীম আহমদ, মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন মানিক। সভায় সর্বসম্মতভাবে গৃহীত সিদ্ধান্ত- (এক) বিগত ৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সংগঠনের কার্যকরি পরিষদ ও ট্রাস্টিবোর্ডের যৌথ সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আলোচনা ও অবহিতকরণ। ৭ জানুয়ারি সংগঠনের সভাপতির সমিপে সংগঠনের ট্রাস্টি বোর্ডের নোটিশ বা নির্দেশনার আলোকে আলোচনা হয়। তারই প্রেক্ষিতে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ময়নুল ইসলামকে নিজের করপোরেশন ‘জালালাবাদ ইউএসএ ইনকের নামে বাড়ি ক্রয়ে বিগত কমিটির কোষাধ্যক্ষ থাকাবস্থায় সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক ও অগঠনতান্ত্রিক পন্থায় সংগঠনের ব্যাংক হিসাব থেকে উত্তোলনকৃত সমুদয় অর্থ (সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক) অনতিবিলম্বে সংগঠনের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দেয়ার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ও উপরন্তু, উল্লিখিত ভবনকে কার্যকরি কমিটি বা উপদেষ্টা পরিষদের অনুমতি ব্যতিরেকে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের কার্যালয় বা ভবন হিসেবে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে কেন সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না’ মর্মে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। (দুই) সংগঠনের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৬ ফেব্রæয়ারি ২০২৩ । (সভার স্থান ও সময় পরে জানানো হবে)। (তিন) জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের উদ্ভূত পরিস্থিতির আলোকে সংগঠনের প্রাক্তন কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভা। (চার) যথাযোগ্য মর্যাদায় সাড়ম্বরে আগামী একুশে ফেব্রæয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হবার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। (পাঁচ) যথাযোগ্য মর্যাদায় বাঙালির মহান স্বাধীনতা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত এবং ইফতার পার্টির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

এ বিষয়ে একজন সক্রিয় সদস্য জানান, এটা হলো জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনকে বিভক্ত এবং বিতর্কিত করার অপচেষ্টা। তিনি বলেন, যদি সমস্যা সমাধানের জন্য সাবেক কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠক করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে সেখানে নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদককে কেন কারণ দর্শানো নোটিশ। এটা অন্যের মাথায় নুন রেখে বরই খাওয়ার অপচেষ্টা বা সাধারণ সম্পাদক হওয়ার দিবাস্বপ্ন। অন্য একাটি সূত্র জানায় উপদেষ্টা পরিষদের মেয়াদ শেষ। তাদের এ নিয়ে মন্তব্য করা উচিত হয়। অন্যদিকে গত ১৬ জানুয়ারি সাবেক কর্মকর্তাদের সাথে জ্যামাইকায় বৈঠক করার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা রহস্যজনক কারণে বাতিল করা হয়। যারা বৈঠক ডেকেছেন তাদের স্বপ্ন পূরণ হবে না বলেই তারা এটি বাতিল করেন বলে একটি সূত্র জানায়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি বদরুল হোসেন খান, সাধারণ সম্পাদক মইনুল ইসলামকে দাওয়াত দেয়া না হলেও তিনি উপস্থিত ছিলেন। যেখানে সাধারণ সম্পাদকের দাওয়াত দেয়ার কথা সেখানে তাকে দাওয়াত দেয়া হয়নি। অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা আজমল হোসেন কুনু, এডভোকেট নাসির উদ্দিন, তোফায়েল চৌধুরী, মকবুল রহিম চুনুই, সাবেক সভাপতি সৈয়দ শওকত আলী, বদরুন নাহার খান মিতা, মিসবাহ মজিদ, আহমেদ জিলু, আতাউর রহমান সেলিম, জুনায়েদ খান, মিনহাজ আহমেদ সাম্মু, আবুল কালাম, দরুদ মিয়া রনেল, হুমায়ুন চৌধুরী, এবাদ চৌধুরী, আসাদুল গনি আসাদ, খলিলুর রহমান, পারভেজ আহমেদ, পংকি মিয়া, আব্দুল চৌধুরী উমেল, শাহ সেলিম, শাহীন কামালি, আলিম উদ্দিন, মিজানুর রহমান প্রমুখ।

শেয়ার করুন