৩০ এপ্রিল ২০১২, মঙ্গলবার, ০৪:০৩:৩৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের প্রতিভা বিকাশে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা রাখা যাবে না’ সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬


প্রতিষ্ঠার ৪৫ বছর উদযাপনে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-০৮-২০২৩
প্রতিষ্ঠার ৪৫ বছর উদযাপনে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির


প্রতিষ্ঠার ৪৫ বছর উদযাপনে কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপি।

সোমবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

কর্মসূচি 

১ সেপ্টেম্বর সকালে কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশের কার্যালয়গুলোতে দলীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ১১টায় শেরেবাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে ফাতেহা পাঠ ও পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হবে।

এছাড়া দিবস উপলক্ষে দলটি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী শোভাযাত্রা এবং আলোচনা সভা করবে। এগুলো কবে কখন কোথায় হবে তার ভেন্যু ও সময়সূচি ঠিক করে পরে জানানো হবে বলে জানান বিএনপি মহাসচিব।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচির বাইরে সকল জেলা ইউনিট ও অঙ্গসংগঠনগুলো কর্মসূচি পালন করবে নিজেদের মতো করে।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দল ও অঙ্গসংগঠনগুলো পোস্টার ও বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে।

১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদীদের ‘যূথবদ্ধ শক্তিমঞ্চ’ হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি ঠিক করতে সোমবার সকাল ১১টায় নয়াপল্টনে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের যৌথসভা হয়।

যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বিএনপিকে বার বার ষড়যন্ত্র হয়েছে, চক্রান্ত হয়েছে এই দলটিকে ভেঙে ফেলার, ধ্বংস করার জন্য। কিন্তু কখনোই বিএনপিকে ধ্বংস করতে পারেনি।’

‘বিএনপি একটা প্রবাহমান স্রোতস্বীনি নদী, সে বয়ে চলেছে। এখানে কেউ এসেছে, কেউ গেছে কখনো। কিন্তু বিএনপির গতিকে কেউ রুদ্ধ করতে পারেনি।’’

দীর্ঘ এই যাত্রাপথে দলটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও বর্তমান চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দলের বিশাল ব্যাপ্তি ও বিস্তার এবং তাদের শাসনামলে দেশের অর্থনীতিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।

‘বিএনপির দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধ’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে বিএনপি বড় রকমের দায়িত্ব নিয়ে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই জাতির দ্বিতীয় একটা মুক্তিযুদ্ধ শুরু করেছে। সেই মুক্তিযুদ্ধ হচ্ছে গণতন্ত্র ফিরে পাবার মুক্তিযুদ্ধ, সেই মুক্তিযুদ্ধ হচ্ছে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে রক্ষা করবার মুক্তিযুদ্ধে, সেই মুক্তিযুদ্ধ হচ্ছে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করবার মুক্তিযুদ্ধ।’

‘এটা কোনো হালকাভাবে কথা বলছি না, এটা কথার কথা বলছি না। আমরা এটাকে মনে করি যে, বাংলাদেশের এই ৫২ বছরের মধ্যে সবচাইতে সংকটময় মুহূর্ত এখন। এজন্য যে যারা জোর করে বিনা নির্বাচনে জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই ক্ষমতা দখল করে বসে আছে তারা সর্বশক্তি দিয়ে সবচেয়ে যে ক্ষতিটা করেছে তারা রাষ্ট্র ব্যবস্থাটাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। আজকে শুধুমাত্র ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য রাষ্ট্র যন্ত্রকে ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস দিয়ে জনগণের যে আকাঙ্ক্ষা সেই আকাঙ্ক্ষাগুলোকে ধ্বংস করছে।’

এই অবস্থা থেকে উত্তরণে সকল দলকে নিয়ে বিএনপি রাজপথে আন্দোলন করছে বলেও জানান তিনি।

মির্জা ফখরুলের সভাপতিত্বে যৌথসভায় বিএনপির আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, রুহুল কবির রিজভী, মজিবুর রহমান সারোয়ার, আবদুস সালাম আজাদ, মীর সরাফত আলী সপু, মনির হোসেন ও আবদুস সাত্তার পাটোয়ারি উপস্থিত ছিলেন।

অঙ্গসংগঠনের মধ্যে যুবদলের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের এসএম জিলানি, মুক্তিযোদ্ধা দলের ইশতিয়াক আজিজ উলফাত, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, হেলেন জেরিন খান, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, উলামা দলের শাহ নেসারুল হক, জাসাসের হেলাল খান, জাকির হোসেন রোকন, মৎস্যজীবী দলের আব্দুর রহিম, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, মজিবুর রহমান, শ্রমিক দলের মঞ্জরুল ইসলাম মঞ্জু, ছাত্রদলের রাকিবুল ইসলাম রাকিব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন