২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০১:১৮:৫৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


মার্কিন যুক্তরাস্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের ২০২১ সনের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ
যুক্তরাস্ট্রের কাছে ব্যাখ্যা চাইবে বাংলাদেশ
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-০৪-২০২২
যুক্তরাস্ট্রের কাছে ব্যাখ্যা চাইবে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, ছবি/ সংগৃহীত


মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ২০২১ সালে বাংলাদেশকে নিয়ে যে প্রতিবেদন দিয়েছে, সেটা আগেই প্রত্যাখ্যান করেছিল বাংলাদেশ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ভিন্ন প্রতিক্রিয়ায় বলেছিলেন, ওই রিপোর্টে মানবাধিকার প্রসঙ্গে অনেক তথ্যে গরমিল রয়েছে। তখনই জানানো হয়েছিল রোববার এ ব্যাপারে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে।

সেই সূত্র ধরে গতকাল রোববার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এই রিপোর্টকে আবারও প্রত্যাখান করে বলেছেন, বাংলাদেশের বাস্তব অবস্থার চেয়ে এই প্রতিবেদনের বিষয়বস্তু অনেক দূরে রয়েছে। যেসব তথ্য-উপাত্তের বিষয়ে এ রিপোর্টে অবতারণা ঘটেছে, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে এসব বিষয়ে ব্যাখ্যা চাইবে বাংলাদেশ। পাশাপাশি যুক্তরাস্ট্রে যেসব বাংলাদেশী বিভিন্ন সময়ে নিহত হয়েছে,তাদের হত্যায় জড়িত অপরাধিদের বিচার চাইব। 

তিনি বলেন এ ব্যাপারে নিউইয়র্ক বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল কে বিস্তারিত তথ্যের জন্য বলা হয়েছে। 

তিনি বলেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমরা আলাদা এনগেজমেন্ট শুরু করেছি । পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ এ ধরনের প্রতিবেদন ইগনোর করেছে। এমনকি ওই সব দেশের সাংবাদিকদের এ ব্যাপারে কোনো আগ্রহই নেই। কেন নেই এটাও গবেষনার বিষয়। আমাদের দু’দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে যে অগ্রগতির মাত্রা যোগ হয়েছে, তার উপর ভিত্তি করে আমরাও আরো অনেক কিছু করতে পারবো। 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের ২০১৮ সালের তথ্যে ২৭৫ হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে বলা হচ্ছে। যেগুলোকে বিচারবহির্ভূত হত্যার ক্যাটাগরিতে ফেলা হয়েছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের বরাত দিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দপ্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- ৬০৬ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এই রিপোর্টে কোয়ালিটি অব রিসার্চ, বা ডাটা ব্যাবহার করা হয়েছে, তাতে বড় ধরনের সমস্যা রয়েছে।

 আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে আইএলও এর প্রতিটি কনভেনশনে বাংলাদেশের অনুস্বাক্ষর করেছে। পোষাকখাতে শিশুশ্রম অনেক আগেই নির্মুল করা হয়েছে। অনানুষ্ঠিক খাতেও মেনে চলা হয় সেজন্য পার্লামেন্টে উত্থাপন করা হয়েছে। আইএলও কনভেনশন মোট আটটি বিষয়ে অনুস্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মাত্র দুটোতে অনুস্বাক্ষর করেছে। ৬টিতেই তারা অনুস্বাক্ষর করেনি। ফলে এরকম অনেক অসঙ্গতি রয়েছে। 

 ২০১৪ ২০১৮ সালের নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন- এ ব্যাপারে কিছুটা খেদ আছে কিন্তু সকল দায় আমাদের কিনা সেটা বিবেচ্য। 

র‌্যাব সম্পর্কে তিনি বলেন, অতীতে বিভিন্ন দেশের সুপারিশের ভিত্তিতে র‌্যাব প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। বিভিন্ন দেশের প্রশিক্ষণের সুসংগঠিত শক্তিশালী হয়েছে। আমরা অপেক্ষাকৃত কম ক্ষতিতে জঙ্গিবাদকে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছি। মোটামুটি বলা যায় মূলোৎপাটন করতে পেরেছি। বাংলাদেশের মতো রাষ্ট্রগুলো এ ধরনের সমস্যা যে কোন সময় পড়তে পারে। এই অঞ্চলের ইতিহাস ভালো নয়।  বাংলাদেশকে যারা সত্যিকার অর্থে একটি শান্তিপূর্ণ দেখতে চান, সেখানে মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত হবে, সবার মতামত দেওয়ার মতো পরিবেশ থাকবে, কাজগুলো করতে হলে জাতির গর্বের জাতীয় প্রতিষ্ঠানগুলির কাজ করতে হবে।  র‌্যাব প্রসঙ্গ টেনে তিনি আরো বলেন, আগের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন, এখন কোন কারনে দিচ্ছেন না, প্রতিষ্ঠানের যাদের উপর আমরা নির্ভর করি তাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করবেন না। গ্রাম গনঝে যেখানে যাবেন, র‌্যাব আমাদের ব্রান্ড। র‌্যাবের উপর ভরসা করে মানুষ। ন্যায়বিচার পাওয়ার প্লাটফর্ম। সন্ত্রাস বিরোধী কর্মকাণ্ডের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা কাজ করছেন। এখানে যে ব্যাতয়গুলো ঘটেছে, সেগুলো নিয়ে আমরা যুক্ত আছি। আমরা খোলাখুলি সুরাহার পথ খুজছি। তবে এই প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল করে দেওয়ার কোনো অপচেষ্টা কে আমরা ভালোভাবে নিতে পারব না। 

রোহিঙ্গা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদক চোরাচালান ও অস্ত্র ব্যবহার অভিযোগ উঠেছে। এই জায়গায় রোহিঙ্গারা নিজেরা নিজেদের অর্ন্তদ্বন্দে জড়িত।  সেখানকার একজন নেতা মুহিবুল্লাহ নিজেদের নাগরিবদের দেশে ফিরে যাওয়া উচিৎ বুঝাতেন। তাকে প্রকাশ্যে দিবালোকে হত্যা করা হয়। সেখানে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কতটা চ্যালেঞ্জের মধ্যে থাকে সেটা সহজেই অনুমেয়। এরকম একাধিক রোহিঙ্গা নেতা আছেন তাদের নিরাপত্তা দেওয়া হয়ে থাকে। 

মার্কিন ওই রিপোর্টের কথা উল্লেখ করে শাহরিয়ার আলম বলেন যেসব উৎস থেকে তথ্য নিয়ে মার্কিন প্রতিবেদনে দেওয়া হয়েছে ওইসব উচ্চ খুবই দুর্বল বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারের এই বিষয়গুলো নিয়ে কোনো হস্তক্ষেপ বাংলাদেশ কারো কাছে থেকে প্রত্যাশা করে না।  


শেয়ার করুন