২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৪:২৬:০৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ ভেঙে যাচ্ছে সব রেকর্ড
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৯-০৭-২০২৩
যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ ভেঙে যাচ্ছে সব রেকর্ড তাপপ্রবাহে পুড়ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র


যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চলে তাপমাত্রা সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। এছাড়া গোটা দেশজুড়েই চলছে ভয়াবহ তাপপ্রবাহ। আশঙ্কা করা হচ্ছে, আগামী সপ্তাহে দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঙ্গরাজ্যগুলোতে তাপমাত্রা আরো ভয়ানক আকার ধারণ করবে। বিভিন্ন খবরে জানানো হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এক-তৃতীয়াংশ মানুষই এখন তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যে বাস করছে। ফ্লোরিডা থেকে ক্যালিফোর্নিয়া অর্থাৎ, দেশের দুই প্রান্তেই তাপমাত্রা বিপজ্জনক স্তরে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় আবহাওয়া দপ্তর নাগরিকদের সাবধান থাকার আহ্বান জানিয়েছে। তাপমাত্রা মৃত্যুর কারণ হতে পারে বলেও সতর্কতা জারি করেছে তারা। 

গত ১৬ জুলাই রোববার অ্যারিজোনাতে ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। যা অঙ্গরাজ্যটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এতে গৃহহীন মানুষেরা সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছেন। তাদের সেবায় মোবাইল ক্লিনিক স্থাপন করা হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায়। এদিকে ক্যালিফোর্নিয়ার ডেথ ভ্যালিতে তাপমাত্রা ৫৪ ডিগ্রি পর্যন্ত উঠতে যাচ্ছে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছে মার্কিন আবহাওয়া দপ্তর।

তীব্র গরমের কারণে টেক্সাস রাজ্যে এয়ার কন্ডিশনার ব্যবহারের পরিমাণ আগেকার রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। এ রাজ্যে গত ১৩ জুলাই বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ ব্যবহার হয় ৮১ হাজার ৪০৬ মেগাওয়াট, যা এক নতুন রেকর্ড। বিভিন্ন জায়গায় পার্ক, জাদুঘর বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হচ্ছে বা খোলা থাকার সময় কমিয়ে দেওয়া হয়েছে।

মার্কিন ‘সেন্টার্স ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ থেকে দাবি করা হয়েছে, এই গরমে প্রায় ৭০০ মানুষের মৃত্যু হতে পারে যুক্তরাষ্ট্রে। প্রতিবেশী কানাডাতেও গরম ভয়ানক আকার ধারণ করেছে। সেখানকার বনে এ বছরের প্রথম থেকেই একের পর এক দাবানল লেগে রয়েছে। এতে ২৫ মিলিয়ন একর বন ধ্বংস হয়ে গেছে। কানাডায় অন্তত ৯০০টি এলাকায় দাবানল দেখা দিয়েছে। প্রায় ৫৬০টিতে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে আগুন জ্বলছে। 

এদিকে শুধু উত্তর আমেরিকা নয়, পৃথিবীর অন্য প্রান্তেও তীব্র তাপপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে। ইউরোপ থেকে শুরু করে চীন ও জাপান পর্যন্ত উত্তর গোলার্ধের অনেকগুলো দেশে জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এই তাপপ্রবাহকে ‘নজিরবিহীন’ বলে আখ্যায়িত করছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রার রেকর্ড রাখা শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি গরম পড়েছিল এ বছরেরই জুন মাসে।

প্রচণ্ড গরমের কারণে অন্যতম গুরুতর পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে ইউরোপের দক্ষিণ দিকের ভূমধ্যসাগর-সংলগ্ন এলাকায়। ইউরোপ মহাদেশে এখন তাপমাত্রা সর্বোচ্চ রেকর্ডের কাছাকাছি উঠে গেছে। ইতালিজুড়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। স্পেনে লা পালমা দ্বীপে এক দাবানল সৃষ্টি হওয়ায় কমপক্ষে ৫০০ লোককে নিরাপদ জায়গাং সরিয়ে নিতে হয়েছে। ক্রোয়েশিয়ায় অগ্নিকাণ্ডে বাড়িঘর ও গাড়ি পুড়ে গেছে। গ্রিসে গত ১৪ জুলাই শুক্রবার তাপমাত্রা ছিল ৪০ ডিগ্রি বা তার বেশি। প্রচণ্ড গরমের কারণে পর্যটনের ভরা মৌসুমে এথেন্সের অন্যতম দর্শনীয় স্থান অ্যাক্রোপলিসের দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়। ইতালি ও গ্রিসে একাধিক পর্যটক গরমের কারণে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে জ্ঞান হারান। উত্তর ইতালিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

ইউরোপের মহাকাশ সংস্থা বলছে, আগামী সপ্তাহে আরেকটি বড় তাপপ্রবাহ আসবে এবং ইতালি, স্পেন, ফ্রান্স, জার্মানি ও পোল্যান্ডে পরিস্থিতি চরম আকার নিতে পারে। উত্তর আফ্রিকার দেশ মরক্কোতেও প্রচন্ড গরমের জন্য সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। চীন ও জাপানেরও কিছু অঞ্চলে অস্বাভাবিক গরম পড়েছে।

শেয়ার করুন