১২ এপ্রিল ২০১২, বুধবার, ০৪:০৭:২৮ অপরাহ্ন


শিক্ষার্থী-শিক্ষক-অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান যৌথ প্রতিরোধ গড়ে তোলার
ফুলপরীর ঘটনা আদিম যুগের বর্বরতাকেও হার মানায়- সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-০৩-২০২৩
ফুলপরীর ঘটনা আদিম যুগের বর্বরতাকেও হার মানায়- সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট


ছাত্রলীগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে পরিণত করেছে বলে অভিযোগ করে  শিক্ষার্থী-শিক্ষক-অভিভাবকদের যৌথ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন  সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট নেতারা। 

শিক্ষাঙ্গনে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস, নারী নির্যাতন, দখলদারিত্বের প্রতিবাদে ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খানের বিরুদ্ধে চক্রান্ত ও তাকে শারীরিক আক্রমণের হুমকি দানের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট।

মধুর ক্যান্টিন থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ন চত্বর প্রদক্ষিণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে দুপুর ১২ টায় সমাবেশ করেন নেতৃবৃন্দ। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ। কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শোভন রহমান এর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি রাজীব কান্তি রায়, ঢাকা নগর শাখার সভাপতি অনিক কুমার দাস।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, ছাত্র রাজনীতি বরাবরের মতোই শাসক শ্রেণীর চক্রান্তের শিকার। সরকারদলীয় ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ সারাদেশের শিক্ষাঙ্গনে সন্ত্রাস, নারী নির্যাতন, দখলদারিত্বের রাজত্ব কায়েম করেছে। সমসাময়িক জাতীয় পত্রপত্রিকা গুলোতেও প্রতিদিনই ছাত্রলীগের দুষ্কর্মের চিত্র দেখা যায়। একথা আজ স্পষ্ট যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নাৎসি বাহিনীর মতো কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প গড়ে তুলেছে ছাত্রলীগ। অপ্রকাশিত চিত্র গুলো সামনে না আসলেও তার ভয়াবহতা সম্পর্কে যে কেউ অনুমান করতে পারেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন বরাবরের মতোই তার দায় এড়িয়ে গেছে এবং সন্ত্রাসীদেরকে মদদ দিয়েছে। একদিকে ছাত্রলীগ র‌্যাগিং বিরোধী র‌্যালি করছে, এর বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করছে আর ঠিক সেদিনই রাতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে, বদরুন্নেসা কলেজে ছাত্রলীগের হাতে ছাত্র নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে।


নেতৃবৃন্দ বলেন, কুষ্টিয়া ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুলপরী খাতুনের ঘটনার ভয়াবহতা আদিম যুগের বর্বরতাকেও হার মানায়। এরই মাঝে তারা আবার নতুন নাটক শুরু করেছে। যে স্বল্পসংখ্যক শিক্ষক সমাজে ন্যায়ের কথা বলতেন, মেরুদণ্ড সোজা করে অন্যায়ের প্রতিবাদ করতেন, শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে পাশে দাঁড়াতেন, তাদের একজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খানের বিরুদ্ধে তারা নতুন চক্রান্ত শুরু করেছে। ইতোমধ্যেই স্যারের ক্লাসে থাকা ৭২ জন শিক্ষার্থীর স্বাক্ষরিত বিবৃতিতেই স্পষ্ট হয়ে যায় রাজনৈতিক হীন স্বার্থ উদ্ধারের জন্য ছাত্রলীগ এই ষড়যন্ত্র করছে। ইতিপূর্বেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ছত্রছায়ায় গোয়েন্দা সংস্থার লোকজনদের দ্বারা তাকে হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে।

নেতৃবৃন্দ সকল গণতান্ত্রিক ও বিবেকবান শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবকদেরকে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস, অত্যাচার নিপীড়নের বিরুদ্ধে এবং অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খানসহ সকল গণতান্ত্রিক আওয়াজের উপর আক্রমণের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।


শেয়ার করুন