২৬ এপ্রিল ২০১২, শুক্রবার, ০২:৫৫:৫৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


হার্ভার্ডে আলোচনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সঠিক পথেই রয়েছে
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৩-০৩-২০২৩
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সঠিক পথেই রয়েছে বক্তব্য রাখছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন


বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সঠিক পথেই রয়েছে’। গত ২০ মার্চ বিশ্বখ্যাত হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির কেনেডি স্কুলের অ্যাশ সেন্টার আয়োজিত ‘বাংলাদেশ : অ্যাচিভমেন্টস, চ্যালেঞ্জেস অ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান বক্তা হিসেবে ড. মোমেন আরো বলেছেন, ‘দারিদ্র্য বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ডিজিটাল রূপান্তরের পাশাপাশি বিদ্যুৎ ও পরিবহন অবকাঠামো উন্নয়নসহ অর্থনৈতিক ও উন্নয়নমূলক দৃশ্যপটে দেশের অভূতপূর্ব অগ্রগতিসাধিত হয়েছে’। 

কেনেডি স্কুলের ফ্যাকাল্টি সদস্য, গবেষক এবং স্নাতকোত্তর ছাত্রদের অংশগ্রহণে এই অনুষ্ঠানটি নীতিনির্ধারক, শিক্ষাবিদ এবং বিশেষজ্ঞদের জন্য অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্য, বর্তমানে যে চ্যালেঞ্জগুলোর মুখোমুখি হচ্ছে এবং তা অতিক্রম নিয়ে এ আলোচনা অনন্য সুযোগ প্রদান করেছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশকে ‘সোনার বাংলা’য় পরিণত করার জন্য সরকারের দৃঢ়প্রতিশ্রুতি এবং সুদূরপ্রসারি কর্মকৌশলের কথা পুনর্ব্যক্ত করে ড. মোমেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও গতিশীল নেতৃত্বকে বাংলাদেশের এই অভূতপূর্ব উন্নয়নের কৃতিত্ব দেন।

একটি স্থিতিস্থাপক অর্থনীতি, একটি সংযোগকারী হাব এবং একটি নিরাপদ বিনিয়োগের গন্তব্যে পরিণত হওয়া বাংলাদেশের সাফল্যের গল্প তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। অর্থনৈতিক সাফল্যের সেই পরিক্রমায় ড. মোমেন বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের বিষয়টি উল্লেখ করেন। উন্নয়নের রোডম্যাপকে আন্ডারলাইন করে মন্ত্রী ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ রূপকল্প বাস্তবায়নে প্রযুক্তি, উদ্ভাবন ও গবেষণার ভূমিকার ওপর জোর দেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষণে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চল এবং তার বাইরের ভূরাজনৈতিক বাস্তবতা প্রতিফলিত হয়েছে। আঞ্চলিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের ভূমিকা ও অবদানের ওপর আলোকপাত করেন ড. মোমেন। বিশেষ করে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সহযোগিতা ও অংশীদারিত্বের গুরুত্ব তুলে ধরেন। মন্ত্রী বলেন যে, বাংলাদেশ তার পররাষ্ট্রনীতি ‘সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বিদ্বেষ নয়’ অনুযায়ী এই অঞ্চলে এবং এর বাইরে শান্তি, সম্প্রীতি ও স্থিতিশীলতা প্রচারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। রোহিঙ্গা সংকট, জলবায়ু দ্বারা সৃষ্ট চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা নিয়েও আলোকপাত করা হয়। পরিবর্তনশীল প্রতিকূলতা, মহামারিতে নিঃপতিত হওয়ার পাশাপাশি বৈশ্বিক রাজনৈতিক, আর্থিক, অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তা নিয়ে অনিশ্চয়তার প্রভাব সম্পর্কেও খোলামেলা কথা হয় এ সময়।

অধিবেশন চলাকালে অংশগ্রহণকারীরা মুক্তমনে খোলা চিত্তে নানা ইস্যুতে কথা বলেন এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির প্রসঙ্গও এতে স্থান পায়। বিশেষ করে বাংলাদেশের বিভিন্ন দিক, সেই সঙ্গে সাধারণভাবে বৈশ্বিক এবং আঞ্চলিক গতিশীলতার ওপর একটি প্রাণবন্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। 

হার্ভার্ড কেনেডি স্কুলের রাজাওয়ালি ফাউন্ডেশন ইনস্টিটিউট ফর এশিয়ার পরিচালক এবং অ্যাশ সেন্টারের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক অধ্যাপক অ্যাথনি সাইচ স্বাগত বক্তব্য দেন এবং গোলটেবিল বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান। নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম সমাপনী বক্তব্য রাখেন এবং আশাবাদ ব্যক্ত করেন যে, বাংলাদেশ সরকার এবং অ্যাশ সেন্টারের মধ্যে সহযোগিতা আগামী দিনে আরো সুসংহত হবে।

শেয়ার করুন