৩০ এপ্রিল ২০১২, মঙ্গলবার, ৬:৫৩:২৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের প্রতিভা বিকাশে কোন ধরনের প্রতিবন্ধকতা রাখা যাবে না’ সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬


পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিং
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ব্যবহার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-০৪-২০২৩
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ব্যবহার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ


বাংলাদেশে সরকার যেভাবে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগ করছে, তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর উদ্বেগ জানিয়ে বলেছে, গণতন্ত্রের জন্য গণমাধ্যমকর্মীসহ সবার বাক্্স্বাধীনতার বিষয়টি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, বিশেষ করে (বাংলাদেশে) নির্বাচনের বছরে।

সাভারে কর্মরত প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসা এবং তিনিসহ প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের নামে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার বিষয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র দপ্তরের উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল এসব কথা বলেন।

গত ৩০ মার্চ পররাষ্ট্র দপ্তরের নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বেদান্ত প্যাটেলকে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, বাংলাদেশে বাকস্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সরকার ব্যাপকভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে। আমরা ইতিমধ্যে দেখেছি, যুক্তরাষ্ট্রসহ ১২টি দেশ বাকস্বাধীনতা নিয়ে সরকারের অবস্থানের সমালোচনা করেছে। সরকার একের পর এক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করছে। এই তো গত ২৯ মার্চ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সাদা পোশাকে বহুল প্রচারিত দৈনিক প্রথম আলোর প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গেছে। এরপর প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে (ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে) মামলা করেছে। এ মাসের শুরুর দিকে আলজাজিরার একজন প্রতিবেদকের ভাইয়ের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী?

জবাবে পররাষ্ট্র দপ্তরের উপমুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘মোটা দাগে আমি যেটা বলতে চাই, তা হচ্ছে সরকারের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ব্যবহার নিয়ে আমরা আগের মতোই গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। একটি দেশের গণতন্ত্রের জন্য গণমাধ্যমসহ সবার বাকস্বাধীনতা একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, বিশেষ করে নির্বাচনের মতো বছরে। দায়িত্ব পালনের কারণে কোনো গণমাধ্যমকর্মীকে হুমকি, হেনস্তা, শারীরিকভাবে আক্রমণ অথবা গ্রেফতার করা উচিত নয়।’

পরে ঐ সাংবাদিক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে আরেকটি প্রশ্ন করেন। তিনি জানতে চান, নোবেলজয়ী অধ্যাপক ইউনূসকে নিয়ে ৪০ বিশ্বনেতা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা (বাংলাদেশের) প্রধানমন্ত্রীকে একটি খোলাচিঠি দিয়েছেন এবং সেটি ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত হয়েছে। এসব বিশ্বনেতার মধ্যে সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুনও আছেন। একজন নোবেলজয়ী ব্যক্তিকে মামলা-মোকদ্দমা দিয়ে হয়রানির বিষয়ে মার্কিন সরকারের অবস্থান কী?

জবাবে বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ‘অধ্যাপক ইউনূসের বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি ওয়াশিংটন পোস্টে প্রকাশিত চিঠির ব্যাপারে আমরা অবগত আছি। চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের মতো আমরাও অধ্যাপক ইউনূসের বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য বিমোচনে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের কথা স্বীকার করি। তার নোবেল শান্তি পুরস্কারসহ আরো অন্যান্য আন্তর্জাতিক সম্মাননা পাওয়ার মধ্য দিয়ে বিষয়টি স্পষ্ট। তবে এ বিষয়ে আমার কাছে এ মুহূর্তে নির্দিষ্টভাবে বলার মতো কিছু নেই।’

শেয়ার করুন