২৯ মার্চ ২০১২, শুক্রবার, ০২:৫৫:১০ পূর্বাহ্ন


নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মুল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে বাম জোটের হরতাল
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-০৩-২০২২
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির মুল্যবৃদ্ধির   প্রতিবাদে বাম জোটের হরতাল হরতালে রাজধানী ঢাকার পল্টন মোড়ে রাস্তা অবরোধকারীদের রাস্তা ছেড়ে দিতে অনুরোধ করতে দেখা যাচ্ছে , ছবি: নিজস্ব প্রতিনিধি



ভোজ্যতেল-চাল-ডাল-পেঁয়াজসহ খাদ্যদ্রব্যের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধি প্রতিরোধ এবং গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির মূল্যবৃদ্ধির তৎপরতা বন্ধে বাম জোটের আহ্বানে দেশব্যাপী হরতাল আজ ভোর ৬টা থেকে শুরু হয়েছে। রাজধানী ঢাকার পল্টন মোড়ে হরতালের সমার্থনে বাম জোটের নেতৃবৃন্দরা রাস্তা অবরোধ করে বসে গেছেন। পুলিশ তাদেরকে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে রাস্তা ছেড়ে দেয়ার অনুরোধ করতে দেখা গেছে। বাম জোট বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে অবস্থান করছে। 

এদিকে দীর্ঘদিন পর আবার হরতাল দেখছে বাংলাদেশ। অনাবরত নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে সোমবারের ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া হরতাল আধবেলার। এর আগে হরতাল সফল করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাম জোট। একই সঙ্গে এ হরতাল মুলত যাদের কেন্দ্র করে সেই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারকে হরতালে কোনোধরনের উসকানি দেওয়া থেকে বিরত থাকতে আহ্বান জানিয়েছে বামজোট।


হরতালকে সামনে রেখে বাম জোটের সমন্বয়ক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ইতিমধ্যে আমরা কয়েক লক্ষ প্রচারপত্র বিলি করেছি, হরতালের পক্ষে পোষ্টার লাগানো হয়েছে। হরতালের আহ্বান দেশবাসীর কাছে পৌঁছে দিতে ঢাকাসহ সারাদেশে জেলা-উপজেলা-ইউনিয়ন পর্যায়ে ব্যাপক সভা, সমাবেশ, প্রচার মিছিল ও গণসংযোগ অব্যাহত রয়েছে।’ একই সঙ্গে তিনি হরতালে বাধা প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে হুশিয়ারী উচ্চারন করে বলেন, 'বাধা প্রদান করবে না বা সহিংসতা সৃষ্টির কোনো প্রচেষ্টা চালাবে না। এই ধরনের যে কোনো অনাকাংখিত ঘটনার দায়দায়িত্ব সরকার ও সরকারি দলকেই বহন করতে হবে।’


এ সময় সাইফুল হক আরো বলেন, গণদাবির এই হরতালের পক্ষে আদেশের মানুষের ব্যাপক সমর্থন ও সাড়া দেখা গেছে। দলমত নির্বিশেষে দেশর মানুষকে রক্ষা করার এই হরতালের প্রতি মানুষের মধ্যে এক ধরনের স্বতঃস্ফূর্ততা লক্ষ করা গেছে। সাইফুল হক বলেন, ‘আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে পরিষ্কারভাবে জানাতে চাই যে, গণদাবির এই হরতাল গণমানুষের সমর্থনে শান্তিপূর্ণভাবে আমরা পালন করতে চাই। আমরা আশা করি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সরকার ও সরকারি দল এই হরতাল কর্মসূচিতে কোনো প্রকার উসকানি সৃষ্টি করবে না। বাধা প্রদান করবে না বা সহিংসতা সৃষ্টির কোনো প্রচেষ্টা চালাবে না। এই ধরনের যেকোনো অনভিপ্রেত ঘটনার দায়দায়িত্ব সরকার ও সরকারি দলকেই বহন করতে হবে।’ 

তিনি হরতাল সফল করতে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি দোকান মালিক, কর্মচারী, পরিবহন মালিক, পরিবহন শ্রমিকসহ সব স্তরের ও শ্রেণিপেশার মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে। 

শেয়ার করুন