২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৯:৩৪:১৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


বৃহত্তম নোয়াখালী জাতীয়তাবাদী ফোরামের সংবাদ সম্মেলন
আ.লীগের সন্ত্রাসী হামলা ও ক্রেডিট হাইজ্যাকের প্রতিবাদ
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-০৫-২০২৩
আ.লীগের সন্ত্রাসী হামলা ও ক্রেডিট হাইজ্যাকের প্রতিবাদ অনুষ্ঠানে অতিথি এবং নোয়াখালী ফোরামের নেতৃবৃন্দ


ওয়াশিংটনে গত ১ মে বিশ্বব্যাংকের সামনে এবং ২ মে হোটেলের সামনে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের সন্ত্রাসীরা ড. সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে যে নগ্ন হামলা চালানো হয়েছে। সেই হামলার শিকার হয়েছি বৃহত্তর নোয়াখালী জাতীয়তাবাদী ফোরামের নেতাকর্মীরা। কারণ সেই সময় বৃহত্তর নোয়াখালী জাতীয়তাবাদী ফোরামের নেতৃবৃন্দ ছাড়া বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের কোনো নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন না। আমাদের সঙ্গে ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহআন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক বেবী নাজনীন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসীম ভূইয়া এবং যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুলসহ নোয়াখালী জাতীয়তাবাদী ফোরামের অন্যন্য নেতৃবৃন্দ। অবশ্য পররবর্তী হাবিবুর রহমান সেলিম রেজাসহ বিএনপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হন। হামলায় আমাদের সাত জন নেতাকর্মী আহত হন। কিন্তু বিভিন্ন মিডিয়ায় যে সংবাদ পরিবেশিত হয় এবং যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতৃবৃন্দ যেসব বিবৃতি দিয়েছেন, তাতে কারা আহত হয়েছে তারা পরিষ্কার করেননি। যে কারণে আমাদের মনে হয়েছে বিষয়টি হাইজ্যাক হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে আমরা আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।

গত ৭ মে সন্ধ্যায় ব্রুকলিনে অনুষ্ঠিত বৃহত্তর নোয়াখালী জাতীয়তাবাদী ফোরামের সভাপতি নাঈম টুটুলের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সালেহ আহমেদ রুমেলের পরিচালনায় সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক বেবী নাজনীন। সংবাদ সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী কমিটির যুগ্ম-আহ্বায়ক জসীম ভূইয়া। সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নাঈম টুটুল এবং লিখিত বক্তব্য পাঠ করে যুক্তরাষ্ট্র জাসাসের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর সরওয়ার্দী। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বৃহত্তর নোয়াখালী জাতীয়তাবাদী ফোরামের কর্মকর্তা এবং আহত নেতৃবৃন্দ। যার মধ্যে অন্যতম আহত নেতা বাদল মির্জা, রিপন মিয়া, রাহিনুল ইসলাম, দিদার চৌধুরী, ভার্জিনিয়া বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এবং ফোরামের উপদেষ্টা তোফায়েল আহমেদ, উপদেষ্টা সালেহ আহমেদ মানিক, দুলাল মাহমুদ, নাজমুল কাওসার, রিয়াজ মাহমুদ, শামীম মাহমুদ। এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে নোয়াখালী জাতীয়তাবাদী ফোরামের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

নাঈম টুটুল তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, আমাদের নেতা, আগামী দিনের রাষ্ট্রনায়ক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন, হটাও হাসিনা বাঁচাও দেশ, টেক ব্যাক বাংলাদেশ। সেই নির্দেশনা পালনে আমরা ওয়াশিংটন যাই ১টি বাস ও ৮টি গাড়িযোগে। আমাদের সঙ্গে ছিলেন আমাদের নেত্রী বেবী নাজনীন এবং আমাদের নেতা জসীম ভূইয়া। আমরাই সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে স্পটে পৌঁছাই। আমরা ছাড়া এই সময় অন্য কেউ উপস্থিত ছিলে না। আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে আমাদের সাত জন নেতাকর্মী আহত হন। আমাদের একজন কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করে। সে এসেছে মাত্র কয়েক দিন আগে। যদিও তাকে পুলিশ পরে ছেড়ে দেয়। পরবর্তীতে বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের বাস আসে। তখন ঘটনার প্রায় শেষ দিকে। কিন্তু বিএনপির নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্য-বিবৃতি আমাদের কোনো ক্রেডিট দেননি। মনে হচ্ছে আমাদের অর্জন তারাই হাইজ্যাক করেছেন। যে কারণে আজকে আমাদের এই সংবাদ সম্মেলনে।

বেবী নাজনীন বলেন, আমিও তাদের সঙ্গে ওয়াশিংটন যাই। হামলার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম। আমি নিজেও পায়ে ব্যথা পাই। আমাদের কেউ কেউ হাসপাতালে যেতে বললেও আমি আমার কর্মীদের ছেড়ে হাসপাতালে যাইনি। আমি দেখিছি বৃহত্তর নোয়াখালী জাতীয়তাবাদী ফোরামের নেতাকর্মীরাই হামলার শিকার হয়েছে। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতারা আপনাদের মূল্যায়ন না করলেও আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আপনাদের মূল্যায়ন করবেন। আমি আমাদের নেতার কাছে সঠিক ঘটনা তুলে ধরবো। তিনি ফোরামের নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানান তাদের সাহসী ভূমিকার জন্য।

জসীম ভূইয়াও পুরো ঘটনা বর্ণনা করে বলেন, প্রতিটি আন্দোলন এবং সংগ্রামে বৃহত্তর নোয়াখালী জাতীয়তাবাদী ফোরামের নেতৃবৃন্দ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। এবারও তারা তার ব্যতিক্রম করেননি। তিনি তাদের সাহসী ভূমিকার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

আহত নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠানে তাদের ওপর হামলার ঘটনা বর্ণনা করেন।

লিখিত বক্তব্যে জাহাঙ্গীর সরওয়ার্দী বলেন, গত ১ মে এবং ২ মে বৃহত্তর নোয়াখালী জাতীয়তাবাদী ফোরাম ও যুব ফোরামের পক্ষ থেকে ওয়াশিংটন ডিসিতে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সামনে এবং হোটেলের সামনে অভূতপূর্ব বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। তা আপনাদের জানাতে চাই। ১ মে সকালে ফোরামের নেতাকর্মীরা উপস্থিত হই ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের সামনে। এই সময় আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামী সন্ত্রাসীরা আমাদের উপর হামলা চালায়। তারা ছিলো মাত্র ৮-১০ জনের মতো, আমরা ছিলাম কয়েক শয়ের ওপরে। আমরা তাদের প্রতিহত করি। কিন্তু ক্রেডিট নিচ্ছে অন্যরা। তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে ছিলেন বেবী নাজনীন, জসীম ভূইয়া, মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, নাঈম টুটুল, সালেহ আহমেদ রুবেল, ইঞ্জিনিয়ার সায়েম রহমান, কাজী আজম, জাকির হোসেন, ফিরোজ আহমেদ, চেয়ারম্যান হারুণ, বাদল মির্জা, এনামুল, রুবেল, সোহাগ, জাহাঙ্গীর সোহরায়ার্দীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত করেন আলী মাসুদ।

শেয়ার করুন