২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০২:০৬:০২ পূর্বাহ্ন


একতরফা নির্বাচনে মারাত্মক ঝুঁকি নিতে চায় আ.লীগ
সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-০৭-২০২৩
একতরফা নির্বাচনে মারাত্মক ঝুঁকি নিতে চায় আ.লীগ


আরেকটি একতরফা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মারাত্মক ঝুঁকি নিতে চায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এক্ষেত্রে কোনো দেশের নিষেধাজ্ঞা বা অনুরোধ কিংবা সরাসরি হস্তক্ষেপকেও তোয়াক্কা না করার ব্যাপারে দৃঢ়তা দেখাতে কুন্ঠাবোধ করবে না তারা। পাশাপাশি এজন্য কঠোর হতে যা যা লাগে সব কিছুই করতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বড়ো ধরনের পরিকল্পনা নিয়েছে। পুরো কাজে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলতে ১৪দলের শরিকদেরও সহযোগিতা চেয়েছে ক্ষমতাসীনরা। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের। 

বাংলাদেশে ২০১৪ সাল ও ২০১৮ সালের নির্বাচনকে মূলত একতরফা নির্বাচন বলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।  সেধরনের একটি নির্বাচনের আশঙ্কা আবার দানা বেধে উঠেছে। এই দুইটি নির্বাচন একতরফা হয়ে একধরনের বিনা বাধাতেই হয়েছে বলা চলে। কিন্ত আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হতে পারে সরকারকে। এজন্য তারা বেশ কঠোরও হতে পারে বলে রাজনৈতিক সূত্রগুলো থেকে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। আর মাত্র আর কয়েকমাস পরে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এটা হতে পারে এবছরের শেষে কিংবা আগামী বছরের জানুয়ারিতে। তবে বিশেষ কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে সেটি বড়ো জোর নির্ধারিত সময়ের আরো তিনমাস পর্যন্ত পিছিয়ে নেয়া যায়। তবে সে হিসাবেও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর বেশি দেরি নেই। এই নির্বাচনে অংশ না নিতেই এপর্যন্ত মাঠে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বিএনপি গত ১২ জুলাই বিএনপি ও তাদের সমমনারা একদফার কর্মসূচি দিয়ে চূড়ান্ত আন্দোলনে পথে। এক দফা হিসেবে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পদত্যাগই তারা উল্লেখ করেছে। তবে এর পাশাপাশি তাদের এই দাবির সাথে আছে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের আয়োজনের, যা সরকারের পদত্যাগের ঘোষণার পর আলোচনায় বসে ঠিক করা।

দাবি আদায়ে বিএনপি কি করছে?

বাংলাদেশের রাজনৈতিক মাঠে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি গত কয়েক বছর ধরে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বা নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছে। এর ফাঁকে ফাঁকে দলটি ক্ষমতাসীন সরকারের কাছে দেশে একটি সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে যা যা পদক্ষেপ নিতে দাবি জানিয়ে আসছে। সরকারের সদিচ্ছা দেখতে তাদের অধীনেই বিএনপি দেশে জাতীয় সংসদের বেশ কয়েকটি শূণ্য আসনের নির্বাচনে সরকারের কর্মকান্ড প্রত্যক্ষ করেছে। পাশাপাশি বিএনপি স্থানীয় পর্যায়েও বেশ কয়েকটি নির্বাচনে অংশ নিয়েছে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি প্রত্যক্ষ করতে। কিন্তু বিএনপি’র মতে, সরকারের পক্ষ থেকে দেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে কোনো ধরনের সদিচ্ছা তারা দেখেনি। আর একারণে দেশে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনে দাবিতে তিলে তিলে একটি বড়ো ধরনের আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে মাঠে কাজ করতে থাকে। কখনো জেলা সমাবেশ কখনো বা পদযাত্রা এমনকি ঢাকায় মহা সমাবেশের আয়োজনও করে তারা। এমনকি দেশের বাইরেও দলটি বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিকে জনপ্রিয় করে তুলতে আন্দোলন সংগ্রাম করতে থাকে বিএনপি। জানা গেছে, এধরনের পরিস্থিতিতে বিএনপি প্রথম পর্যায়ে একাই আন্দোলন সংগ্রাম করে যায়। তবে বর্তমানে দেশে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে বিএনপি আরো ৩৭টি দলকে এক করতে পেরেছে। এখন এসব দল বিএনপি’র সমমনা হয়ে কাজ করছে। অর্থাৎ এখন থেকে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো আলাদাভাবে কিন্তু একই দিনে একই কর্মসূচি পালন করবে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করার উদ্দেশ্য নিয়ে- যা রাজনৈতিক অঙ্গনে দেশের অন্যতম প্রধান বিরোধী দল (বিএনপি)টির জন্য বিরাট সুযোগ এনে দিয়েছে। অন্যদিকে গত ১২ জুলাই বিএনপি ও তাদের সমমনারা একদফার কর্মসূচি দিয়ে যে চূড়ান্ত আন্দোলনে নেমেছে তার আরেক দাফ হচ্ছে ২৭ জুলাই। ইতোমধ্যেই দেশের বিভিন্ন স্থানে তারণ্যের সমাবেশ করতে করতে দলটি সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আগামী ২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার রাজধানীতে মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়ে দেয়। গত ২২ জুলাই শনিবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির ’তারুণ্যের সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই সমাবেশের ঘোষণা দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

কি পদক্ষেপ আওয়ামী লীগের

সরকারের পদত্যাগের দাবিতে আগামী ২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার রাজধানীতে মহাসমাবেশ করার ঘোষণার পর পরই ওই দিন (আগামী ২৭ জুলাই) বিএনপির মহাসমাবেশের দিনে রাজধানীতে সমাবেশ করবে যুবলীগ। গত ২৩ জুলাই রোববার যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশে উন্নীতকরণের লক্ষ্যে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের নির্দেশে দেশব্যাপী ’তারুণ্যের জয়যাত্রা’ সমাবেশের ধারাবাহিকতায় ২৪ জুলাইয়ের পরিবর্তে আগামী ২৭ জুলাই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।

কেনো পাল্টাপাল্টি সমাবেশ

২৭ জুলাই বৃহস্পতিবারের শান্তি সমাবেশ সফলে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া শেষ আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী সংগঠন। ক্ষমতাসীন দলের তিন সহযোগী সংগঠন- যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগের যৌথ উদ্যোগে এই শান্তি সমাবেশ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ-পশ্চিম গেটে অনুষ্ঠিত হবে। এবারে বিকেলে শান্তিসমাবেশের আনুষ্ঠানিকতা  হলেও সকাল থেকেই রাজপথ নিজেদের দখলে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে শীর্ষ পর্যায় থেকে। এমন প্রস্তুতিও চলছে সরকার সমর্থকদের মধ্যে। এধরনের কর্মসূচি বা সমাবেশের মাধ্যমে দৃশ্যত রাজধানী ঢাকায় বিশাল শোডাউনের মধ্য দিয়ে রাজপথ নিজেদের দখলের জানান দিতে চায় সরকার সমর্থকরা। কিন্তু বর্তমানে মেয়াদ শেষে এমন পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির পেছনে ক্ষমতাসনিদের অন্য উদ্দেশ্য রয়েছে বলেই রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করেন। 

শক্ত করা হচ্ছে প্রশাসন

নির্বাচনের আগে পুলিশ ও প্রশাসনে ব্যাপক রদবদলের কর্মকান্ড নিয়ে গণমাধ্যমে তোলপাড় হচ্ছে। প্রশাসনে একদিকে যেমেন চলছে বদলির আর কার সঙ্গে পাল্লা দিয়েছে পদোন্নতি। রাজনৈতিক মহলের সন্দেহ সরকার নির্বাচনের আগে মনের মতো প্রশাসন সাজাচ্ছে। তবে মনের মতো মানতে নারাজ প্রশাসনের বেশ কয়েকজন। তারা বলে কঠোরভাবেই ক্ষমতাসীনরা মাঠ সাজাচ্ছে। কেননা দেখা গেছে, পাঁচ দিনেই ২৮ জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক (ডিসি) নিয়োগ দিয়েছে। কেননা জাতীয় নির্বাচনে সাধারণত জেলা প্রশাসকেরা রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন। অন্যদিকো ভোটের সময় এবং তার আগে পুলিশ সুপার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) মাঠ প্রশাসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সবার জানান। দেখা গেছে, সম্প্রতি পুলিশ সুপার পদেও ১৩ জনের বদলি হয়েছে। একই সময়ে ইউএনও পদে নতুন নিয়োগ পেয়েছেন ৪৫ জন। এছাড়াও ভোটের আগে পুলিশের আরও অর্ধশতাধিক পদে রদবদল আসছে বলে খবর বেরিয়েছে বিভিন্ন শীর্ষ গণমাধ্যমে। আর একারণে নির্বাচন যেহেতু কাছাকাছি তাই এসব নিয়োগ নিয়ে রাজনৈতিক মহলে নানান ধরণের কানাঘুষা আছে। 

শেষ কথা

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ১৪ দলীয় জোটের বৈঠক হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ১৪ দলের সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু, জাতীয় পার্টি-জেপি’র সভাপতি আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, ওয়ার্কার্স পার্টি সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার প্রমুখ। বৈঠকের একটি সূত্র নাম প্রকাশ না শর্তে দেশ প্রতিনিধিকে জানান, প্রধানমন্ত্রী বডি ল্যাংগুয়েজ পর্যবেক্ষণ করে বুঝেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের এবারের কঠোর বার্তাটি। তিনি বলেন, কোনোভাবেই বিএনপি’র হাতে ক্ষমতা তুলে দিতে পদক্ষেপ নেবে না আওয়ামী লীগ সরকার। কোনোভাবেই বিএনপি’র দাবির কাছেও মাথা নত করবে না। এর পাশাপাশি বিদেশী কেনো দেশ বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো ক্ষমতাধর রাষ্ট্রের কোনো ধরনের পদক্ষেপেও ভ্রুক্ষেপ করবেন না প্রধানমন্ত্রী-এমনটাই বুঝেছেন তিনি। এই প্রতিনিধিকে ১৪ দলের শরিক এই নেতা এই প্রতিনিধিকে আরো বলেন, বৈঠকে চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আগামী জাতীয় নির্বাচনের নানা দিক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এতে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক মহলের তৎপরতা, যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ প্রতিনিধিদলের সাম্প্রতিক সফরের বিষয়ে নানা তথ্য তুলে ধরেন অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে। তার চোখে মুখে এমনটাই দেখেছেন বলে ১৪ দলের সেই নেতারা এই প্রতিনিধিকে জানান। তিনি জানান, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর একটি মন্তব্য তার মনের কঠোরতার নমুনা টের পেয়েছেন। কেননা সেখানে প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়তার সাথেই বলেছেন, জীবনে বিনিময়ে তিনি যড়যন্ত্র মোকালোয় প্রস্তুত। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর সাথে ১৪ দলের বৈঠকের পরের দিনই একটি অনুষ্ঠানে দেখা গেছে কঠোরতার আরেক নমুনা। সরকার পতনের দাবিতে রাজপথে আন্দোলনরত দলগুলোর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষের কোনো ক্ষতি করলে ছাড় দেয়া হবে না, ছেঁকে ছেঁকে ধরা হবে। প্রধানমন্ত্রীর এমন দৃঢ়তার পর থেকেই কূটনীতিকদের সাথে বৈঠকেও ভাষার বদলে গেছে আওয়ামী লীগের। ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে আলাপ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের খুবই দৃঢ়তার সাথেই বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আমেরিকানদের আমরা যা বলেছি, আজ ব্রিটিশ হাইকমিশনারকেও ঠিক তাই বলেছি। পৃথিবীর অন্যান্য গণতান্ত্রিক দেশের মতোই এ দেশের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে। সরকার রুটিন দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন ভূমিকা পালন করবে। প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর থেকে এভাবেই ২০১৪ সালের মতোই বিএনপি জাতীয় নির্বাচন বর্জন করলে আবার একতরফা নির্বাচন আয়োজনের ইঙ্গিতও দিয়ে যাচ্ছে সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা। কোনো আন্তর্জাতিক পরাশক্তির চাপে অথবা কারও কোনো প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশের নির্বাচন হবে না বলে ইতিমধ্যে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।  অন্যদিকে ঢাকা-১৭ আসনের প্রার্থী হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় বিবৃতি দেয়া ১২টি দেশ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আগামীকাল (বুধবার) তলব করার ঘটনাটিও সরকারের বেশ শক্ত অবস্থানের জানান দিচ্ছে। ভোটের দিন হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়াও কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস ও হাইকমিশন ওই বিবৃতি দিয়েছিল। হিরো আলমের ওপর হামলা নিয়ে টুইট করায় এর আগে জাতিসংঘের প্রতিনিধিকেও তলব করা হয়েছিল। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকমহল মনে করেন, প্রধানমন্ত্রী থেকে নিয়ে তার অধ:স্তনদের এমন শক্ত বক্তব্যে পরিস্কার যে সরকার নির্বাচন প্রশ্নে বিরোধী দলের কাছে মাথা নত করবে না। আরেকটি একরতরফা নির্বাচনে মাধ্যমে ক্ষমতায় আসীন হয়ে ভিন্ন কৌশল নিয়ে দেশী বিদেশী চাপ মোকাবেলা করবে-এমটাই ভাবছেন অনেকে। এমনটাই এখন শোনা যাচ্ছে রাজনৈতিক মাঠে। সরকারের এমন কঠোর মনোভাব টের পেয়েই বিএনপি একদফা নিয়ে মাঠে নেমেছে বলে কারো কারো অভিমত। একারণেই তারুণ্যের সমাবেশের মতো বিশাল কর্মসূচির রেশ না কাটতেই মাত্র দু’দিন পরেই সেই রাজধানীতেই ২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার মহাসমাবেশ করার ঘোষণা দিতে হয়েছে বিএনপি’কে।

শেয়ার করুন