১৯ এপ্রিল ২০১২, শুক্রবার, ০৯:৫৯:২৩ অপরাহ্ন


এস্টোরিয়ার বৈশাখী রেস্টুরেন্ট এক বাংলাদেশি গুলি করলো আরেক বাংলাদেশিকে
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৭-০৬-২০২৩
এস্টোরিয়ার বৈশাখী রেস্টুরেন্ট এক বাংলাদেশি গুলি করলো আরেক বাংলাদেশিকে মাস্ক পরে গুলি করার দৃশ্য


নিউইয়র্কের বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকাগুলোর মধ্যে প্রথম এলাকা ছিল এস্টোরিয়ার ৩৬ অ্যাভিনিউ। নিউইয়র্কে বাংলাদেশের সভা-সমাবেশ এবং আড্ডার একমাত্র প্রিয় স্থান ছিল এস্টোরিয়ার ৩৬ অ্যাভিনিউ। সেই এস্টোরিয়ায় বাংলাদেশ রেস্টুন্টে বৈশাখী। সেখানে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এই গোলাগুলিতে এক বাংলাদেশি আহত হয়েছেন। গত ৩ জুন বিকাল সাড়ে ৩টার সময় এই ঘটনা ঘটে। অভিযোগ রয়েছে, যে গুলি করেছে সে-ও একজন বাংলাদেশি আমেরিকান। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। তবে অনেকেই বলেছেন, যে গুলি করেছে সে নেশাগ্রস্ত। দীর্ঘদিন থেকেই সে নেশার সঙ্গে জাড়িত। জানা গেছে, বৈশাখী রেস্টুরেন্টের কর্মচারী সাব্বির আহমেদের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী দোকানের মালিকের ছেলের সঙ্গে বেশ কয়েকবার বাদানুবাদের ঘটনা ঘটে। ঘটনার দুই দিন আগেও ওই ছেলে বৈশাখী রেস্টুরেন্টে যায় এবং সাব্বিরের সঙ্গে বিবাধে জড়িয়ে পড়ে। বেশ কয়েকবার সাব্বির আহমেদের সঙ্গে ওই ছেলে এবং তার কায়েকজন সহযোগিদের ঝগড়া হয়। তারা বৈশাখী রেস্টুরেন্টের গ্লাসও ভেঙে ফেলে। এক পর্যায়ে তারা সাব্বির আহমেদকে শাঁসাতে থাকে এবং হুমকি দিতে থাকে। এক পর্যায়ে সাব্বির আহমেদ এবং কয়েকজন ওই ছেলে এবং তার সাথীদের মারমুখী হয়ে তাড়িয়ে দেন। এই ঘটনার জের ধরে ওই ছেলে গত ৩ জুন বিকেল ওই ছেলে এসে সাব্বির আহমেদকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। জানা গেছে, সাব্বির আহমেদকে লক্ষ্য করে তিন রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়। একটি গুলি সাব্বিরের কোমরের নিচে লাগে। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, সাব্বির আহমেদ বাঁচার জন্য দোকানের চারিদিকে দৌড়াতে থাকেন, আর ওই হামলাকারী তার পেছনে পেছনে দৌড়াতে থাকে। এক পর্যায়ে সাব্বির আহমেদ পড়ে যান। এই অবস্থায় পাশের দোকানের মালিক মার্ক নিক্সসন পুলিশকে কল করেন। পুলিশ কল করার সঙ্গে সঙ্গেই দুর্বৃত্ত পালিয়ে যায়। পুলিশ এসে সাব্বির আহমেদকে এলেমহার্স্ট হাসপাতালে ভর্তি করে। তার অবস্থা আশঙ্কামুক্ত। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিকে এখনো পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। হামলাকারীকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ।

এদিকে বৈশাখী রেস্টুরেন্টের অন্যতম মালিক আবু তাহের মিডিয়াকে বলেন, শনিবার দুপুরের দিকে বৈশাখী রেস্টুরেন্টে সাব্বিরকে লক্ষ্য করে গুলি করে পালিয়ে যান এক বাংলাদেশি। ওই ব্যক্তি লাল হুডি ও মাস্ক পরে এসেছিলেন। তাৎক্ষণিকভাবে সাব্বিরকে উদ্ধার করে স্থানীয় এলেমহার্স্ট হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসার পর আশঙ্কামুক্ত হওয়ায় সন্ধ্যার দিকে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

আবু তাহের আরো বলেন, গুলির শব্দ শুনে একজন ক্রেতা জরুরি সেবা ৯১১-এ কল করেন। পরে পুলিশ এসে তদন্তের স্বার্থে ৫ জুন সকাল পর্যন্ত দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়।

এই ঘটনায় বাংলাদেশি কমিউনিটিতে আতঙ্ক বিরাজ করছে। দিনে দুপুরে রেস্টুরেন্টে কাস্টোমার থাকা অবস্থায় কীভাবে এটা সম্ভব? এই অবস্থায় মানুষের নিরাপত্তা কোথায়? নতুন প্রজন্ম বাংলাদেশি আমেরিকানদের একটি অংশ নেশার দিকে ঝুঁকে পড়েছে। ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত ডোজের কারণে নতুন প্রজন্মের বেশ কয়েকজন বাংলাদেশিকে হারাতে হয়েছে। আর বাংলাদেশিরা যদি বন্দুক হাতে তুলে নেয়, তাহলে এই কমিউনিটির ভবিষ্যৎ কী?

শেয়ার করুন