২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৯:২১:৫৪ অপরাহ্ন
শিরোনাম :


জোনায়েদ সাকি বললেন
নির্বাচন ছাড়াই ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থা কায়েম আছে
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ৩০-০৮-২০২৩
নির্বাচন ছাড়াই ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থা কায়েম আছে জোনায়েদ সাকি


গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী  জোনায়েদ সাকি বলেছেন, বাংলাদেশে নির্বাচন ছাড়াই একটা ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থা কায়েম আছে। এই ব্যবস্থায় জনগণের ভোটাধিকার ও গণমানুষের স্বার্থের জন্যে আমরা সংগ্রাম করে যাচ্ছি। গত ২৯ আগস্ট মঙ্গলবার গণসংহতি আন্দোলনের ২১ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেনন। এসময় দলের প্রধান সমন্বয়কারী  জোনায়েদ সাকির নেতৃতে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে জনগণের মুক্তিসংগ্রামের সকল শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করা হয়। শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণে উপস্থিত ছিলেন দলের রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য তাসলিমা আখ্তার, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, জুলহাসনাইন বাবু এবং কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা আলিফ দেওয়ান ও জাতীয় পরিষদের সদস্য মাহবুল খাঁন সেন্টু প্রমুখ।

এ সময় জোনায়েদ সাকি আরো বলেন, একটা গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা জনগণের সামগ্রিক মঙ্গলের স্বার্থে কাজ করছি। তিনি বলেন দেশে এখন সর্বাত্মক ভোটাধিকারের লড়াই চলছে। এই ভোটাধিকার ও ফ্যাসবাদবিরোধী লড়াই হচ্ছে ১৮ কোটি মানুষের লড়াই। ভোটাধিকার কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলেরও লড়াই নয়; সকল রাজনৈতিক দলের লড়াই। যে যার অবস্থান থেকে ও স্বতন্ত্র অবস্থান থেকে দেশে যুগপৎ লড়াই চলছে। এই ফ্যাসিস্ট শাসনকালে যখন নিপীড়ন, নির্যাতন ও দুঃশাসনে পুরো দেশ ও জনগোষ্ঠী গভীর যাঁতাকলের নিচে পতিত- তখন এই ব্যবস্থার উচ্ছেদ না করে মানুষের মুক্তি অসম্ভব। তিনি আরো বলেন, এই রাষ্ট্রকে একটা গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফেরাতে হলে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে হবে। আর সেটা একমাত্র হতে পারে এই সরকারের পদত্যাগের মধ্য দিয়ে, একটা জাতীয় রাজনৈতিক বন্দোবস্তের মাধ্যমে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে পরে। তিনি আরো বলেন, আজকে আমাদের যৌথ আন্দোলনের মঞ্চ গণতন্ত্র মঞ্চ থেকে ৩১ দফার ভিত্তিতে একদফা দেয়া হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত অবৈধ ভোটডাকাত এই সরকার পদত্যাগ করবে না এবং একটা সুষ্ঠ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হবে না ততক্ষণ পর্যন্ত সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। আর আমরা এও জানি, নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরও বাংলাদেশ রাষ্ট্রের অগণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এবং সাংবিধানিক স্বৈরতন্ত্র উচ্ছেদ করতে হলে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের সংগ্রামকে বেগবান করতে হবে।

এদিকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকাল ৩টা ৩০ মিনিটে রিপোর্টার্স ইউনিটিতে দলের প্রধান সমন্বয়কারী জননেতা জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে এক আলোচনা, সভার আয়োজন করা হয়েছে। সভায় জাতীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, দেশের বিশিষ্ট চিন্তক, নাগরিক এবং সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত থাকবেন ও আলোচনা করবেন। 

২০০২ সালের ২৯ আগস্টের এই দিনে সাম্রাজ্যবাদবিরোধী ছাত্র সংগঠন, শ্রমিক, নারীদের সংগঠনসহ নয়টি সংগঠনের সমন্বয়ে যৌথ রাজনৈতিক জোট হিসেবে গণসংহতি আন্দোলন যাত্রা শুরু করে; পরবর্তীতে ২০১৫ সালে রাজনৈতিক পার্টি গঠন করা হয়। দলটির পক্ষ থেকে বলা হয় দেশের সকল গণতান্ত্রিক ও জাতীয় সম্পদ রক্ষার আন্দোলনে, শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি আদায়ের আন্দোলনে এবং নাগরিকদের আন্দোলনসহ জনগণের নানা আন্দোলনে গণসংহতি আন্দোলন নিজেদের গত ২১ বছর ধরে নিয়োজিত রেখেছে। আর এখন বাংলাদেশে জনগণের ভোটসহ গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষায় যে ৩১ দফার ভিত্তিতে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের দাবিতে আন্দোলন চলছে সেখানে সর্বাত্মক বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তুলতে নেতৃত্ব দিচ্ছে।

শেয়ার করুন