০২ মে ২০১২, বৃহস্পতিবার, ০৪:৩৯:৩৮ অপরাহ্ন


রোববার সারাদেশে আওয়ামী লীগের ১০- ৫টা বিক্ষোভ কর্মসূচি
সোমবার বিএনপির দেশের সব মহানগর ও জেলা সদরে জনসমাবেশ
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৯-০৭-২০২৩
সোমবার বিএনপির দেশের সব মহানগর ও জেলা সদরে জনসমাবেশ


বিএনপি নতুন কর্মসূচি ঘোষনা করেছে। ক্ষমতাসীন সরকারের পদত্যাগ ও তত্বাবধায়ক সরকারের অধীন নির্বাচনের দাবীতে ‘এক দফা’ কর্মসূচিতে এবার দেশের সব মহানগর ও জেলা সদরে জনসমাবেশ করার ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। বিশেষ করে ঢাকার প্রবেশপথে অবস্থান কর্মসূচিতে ‘নিপীড়ন নির্যাতনের’ প্রতিবাদে সোমবার ওই কর্মসূচি পালিত হবে। শনিবার রাতে গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে রাজধানীতে যে অত্যাচার নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে, তার প্রতিবাদে আমরা আগামী সোমবার ৩১ জুলাই সারাদেশে সকল মহানগর ও জেলা সদরে জনসমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করছি।’

পুলিশ ও আওয়ামী লীগ সমর্থকরা আজ শনিবারের কর্মসূচিতে বিএনপিকে স্থানগুলোতে একরকম দাঁড়াতেই দেয়নি। ধোলাইখাল ও মাতুয়াইলে তাদের সঙ্গে বিএনপিকর্মীদের সংঘর্ষ বাঁধে। এসময় তিনটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। কে বা কারা এ আগুন দিয়েছে এ নিয়ে বক্তব্য পাল্টা বক্তব্য চলছে। 

রাজধানীতে অবস্থান কর্মসূচি ডেকে বিএনপির ‘সন্ত্রাস চালিয়েছে’ অভিযোগ তুলে তার প্রতিবাদে রোববার সারা দেশে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিক্ষোভের কর্মসূচি দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

এ বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আগামীকালই (রোববার) আমরা প্রতিবাদের দিন হিসাবে পালনের কথা ভেবেছিলাম, কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি যে, আগামীকাল রোববার সরকারি দল রাজপথে কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে। তিনি বলেন,‘আমরা তাই তাদের মত একই দিনে কর্মসূচি দিয়ে সংকট সৃষ্টি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশা করব এই গণতান্ত্রিক কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালনে কোনো বাধা সৃষ্টি করা হবে না।’ 


এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশ ও দেশের মানুষের কাঁধে সিন্দাবাদের দৈত্যের মত চেপে বসা অবৈধ সরকারের পদত্যাগ, অনির্বাচিত জাতীয় সংসদ বাতিল ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে বিএনপিসহ দেশের সকল গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের ডাকা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি বানচাল করার জন্য সরকার তার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় সন্ত্রাসীদের অন্যায় ও বেআইনিভাবে জনগণের বিরুদ্ধে নামিয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে।


ওদের নির্মম আক্রোশে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মাথায় মারাত্মক রক্তক্ষরণ, দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আমান উল্লাহ আমানসহ অসংখ্য নেতা-কর্মীকে আহত ও অগণিত নেতা-কর্মীকে নির্বিচারে গ্রেপ্তারের ঘটনা প্রমাণ করে যে, ক্ষমতালোভী এই সরকারের হাতে দেশের কোনো নাগরিক নিরাপদ নয়। এই সরকার আজ শুধু ঘৃণা ও ধিক্কার পাওয়ার যোগ্য।’  


শেয়ার করুন