২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৭:৪৫:১৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :


প্রধানমন্ত্রী আসছেন ১৭ সেপ্টেম্বর : সংবর্ধনা দিবে মহানগর আ’লীগ
অস্তিত্ব সংকটে যুক্তরাষ্ট্র আ’লীগ
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৬-০৯-২০২৩
অস্তিত্ব সংকটে যুক্তরাষ্ট্র আ’লীগ সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন ইমদাদ চৌধুরী


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ অধিবেশনে যোগদান উপলক্ষে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্ক আসছেন। তিনি নিউইয়র্কের জেএফকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাবে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। কিন্তু গষেণ যেন পাল্টে গেল, অস্তিত্বের সংকটে পড়ে গেল যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ। কারণ প্রধানমন্ত্রী যখনই নিউইয়র্ক আসেন, তখনই যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ সংবর্ধনার আয়োজন করে কিন্তু এবার প্রধামন্ত্রীর সংবর্ধনার দায়িত্ব পেল নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগ। এটা নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে শুরু হয়ে গেল নানা গুঞ্জন। তাদের প্রশ্ন তাহলে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কমিটি কী বিলুপ্ত? যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কী অস্তিত্ব নেই? মূল দল থাকতে কেন অঙ্গ সংগঠনকে দায়িত্ব দেয়া হলো? এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। লক্ষ্য করা যাচ্ছে উত্তেজনা। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান বাংলাদেশে বসে রয়েছেন। ৬ সেপ্টেম্বর তার আমেরিকায় আসার কথা। একটি সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি যখন ঢাকা এয়ারপোর্টে আসেন, সেই সময় আব্দুস সোবহান এমপি নাকি তাকে ফোনে জানিয়েছেন, এবার প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনার দায়িত্ব পালন করবে নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগ। শো পরিচালনা করবে নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগ আর দর্শকের ভূমিকা পালন করবেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী? জানা গেছে, এই বিভক্তির জন্য দায়ী আব্দুস সোবহান এমপি। প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা যেখানে সুন্দরভাবে আয়োজন করার কথা সেখানে কী না অসুন্দর, অশান্তি ও বিভক্তির আগুন। এ অশান্তির আগুন নেভাবে কে?

প্রধানমন্ত্রীর এই সফরকে কেন্দ্র করে নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগ গত ৩১ আগস্ট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসে নবান্ন পার্টি হলে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি রফিকুর রহমান রফিক এবং সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ চৌধুরী।

প্রধানমন্ত্রীর নাগরিক সংবর্ধনা প্রতিবারই যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজন করা হয়। এবারই প্রথম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সংবর্ধনা নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজন করা হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদন আছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ চৌধুরী বলেন দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশে আমি এই সংবাদ সম্মেলন করছি। তিনি আরো বলেন, আগামী ২২ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকাল ৫টায় নিউইয়র্কের ম্যারিয়ট ম্যাকুস হোটেলের বলরুমে নাগরিক সংবর্ধনা আয়োজন করবে নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগ। এজন্য তিনি সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন। আরেক প্রশ্নের জবাবে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন বাবু বলেন, প্রধানমন্ত্রী নাগরিক সংবর্ধনার আয়োজন করবে নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগ, তবে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগসহ সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠান সফল করার লক্ষে সহযোগিতা করবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলী সিদ্দিকী, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ড. মাসুদুল হাসান, উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক শাহ বখতিয়ার, কার্যনির্বাহী সদস্য সরাফ সরকার, মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শাহনাজ মমতাজ, নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাসুদ সিরাজী, সহ-সভাপতি সাইকুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শিবলী সাদিক, দুলাল বিল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহফুজুল হক হায়দার, সুমন মাহমুদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শেখ শফিকুর রহমান, বাবুল আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা নুরুজ্জামান সর্দার, সুবল দেবনাথ, কামাল হোসেন রাকিব, দুরুদ মিয়া রনেল, হেলাল মিয়া, ছাত্রলীগ নেতা জেড এ জয়, ব্রঙ্কস আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল মুহিত, ব্রুকলিন আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম, চার্চ ম্যাকডোনাল্ড ইউনিট সভাপতি ম. ইসমত, জ্যাকসন হাইটস ইউনিট সভাপতি শাহ চিশতি, সাধারণ সম্পাদক তানভীর হায়দার প্রমুখ।

শুরুতে কোরআন তেলাওয়াত ও দোয়া পরিচালনা করেন আবদুল মুহিত এবং সকল শহিদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সবশেষে সভাপতি রফিকুর রহমান সমাপনী বক্তব্য রাখেন এবং উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমনে নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগের পথসভা ও কর্মিসভা

জাতিসংঘের ৭৮তম অধিবেশনে যোগদান উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে আসবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুক্তরাষ্ট্র আগমনকে কেন্দ্র করে নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগ ৪ সেপ্টেম্বর সোমবার জ্যাকসন হাইটসের ডাইভার্সিটি প্লাজায় পথসভা এবং এবং পরে জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন রেস্টুরেন্টে এক কর্মীসভার আয়োজন করে। হঠাৎ করেই অস্তিত্ব সংকটে পড়ে গেল যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ। এই সংবর্ধনার আয়োজন করার কথা ছিলো যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ কিন্তু এখন করছে নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগ।

সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহমান এবং সভা পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শাহীন আজমল। সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুক্তরাষ্ট্র অবস্থানকালে নেত্রীর ভ্যানগার্ড হিসাবে দায়িত্ব পালন করার জন্য দলমত নির্বিশেষে সবার প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে যারা সর্ম্বধনা সভার আয়োজনের দায়িত্ব পাবে তাদের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনার সর্ম্বধনা সভাকে সফল করার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের আহ্বান জানান দলের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মজিবুর রহমান। তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নেই। আমাদের কাছে নেত্রীর সম্মান এবং সর্ম্বধনা সবচাইতে বড়। তিনি বলেন, নেত্রী যদি আমাদেরকে অনুমোদন দেন, তাহলে নিউইয়র্ক স্টেট আওয়ামী লীগ জননেত্রী শেখ হাসিনার সর্ম্বধনা সভার আয়োজন করতে চাই। তবে নেত্রীর নির্দেশই আমাদের কাছে চূড়ান্ত নির্দেশ। তিনি যা বলবেন যা নির্দেশ দিবেন আমরা সেভাবেই সবার সাথে কাজ করে নেত্রীর সর্ম্বধনা সভাকে সফল করব।

সভায় দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও উপদেষ্টাবৃন্দ দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য রাখেন। সভা শেষে শেখ হাসিনার সরকার বারবার দরকার শ্লোগানে সভাস্থল মুখরিত করে তোলেন।

শেয়ার করুন