২৭ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০১:৩০:০৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


পাকিস্তান না শ্রীলঙ্কা
সালেক সুফী
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৪-০৯-২০২৩
পাকিস্তান না শ্রীলঙ্কা শাহীন জ্বলে উঠতে পারেননি ভারতের বিপক্ষে,আজ পারবেন তো? /ছবি সংগৃহীত


এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে কে টিকবে? শ্রীলঙ্কা না পাকিস্তান। সঙ্গতকারনেই ম্যাচের দিকে সজাগ দৃষ্টি থাকছে। কারন যে দলটি জিতবে সে খেলবে ফাইনালে ভারতের বিপক্ষে। ফলে এশিয়া কাপ জিততে যেমনটা ভারত আজ শ্রীলঙ্কাকেই চাইবে, অপরদিকে ফাইনালের আমেজ বিশ্ব ক্রিকেটাঙ্গনে ছড়াতে ভারত পাকিস্তান লড়াইটাও দেখার প্রত্যাশা অনেকের। ট্রফিতে যে কেউই জিতে নেবে। কিন্তু এ আসরে চীরপ্রতিদ্বন্দি ভারত পাকিস্তানের মধ্যে হাইভোল্টেজ ম্যাচটা তো আর দেখা হলো না। যেটা হয়েছে তার আমেজ নস্ট করে দিয়েছে বৃষ্টি। বাকী যেটুকু হয়েছে সেখানে পাকিস্তান তাদের স্বাভাবিক ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে না পেরে রণেভঙ্গ দিয়ে ম্যাচটি পানসে করে দিয়েছিল।


এমনই এক প্রেক্ষাপটে আজ প্রেমাদাসায় ঘরের মাঠে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বর্তমান শিরোপাধারী দল শ্রীলংকা খেলবে টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেভারিট পাকিস্তনের বিরুদ্ধে। যে দল বিজয়ী হবে তারাই হবে ১৭ সেপ্টেম্বর একই মাঠে ইতিমধ্যেই ফাইনালে পৌঁছানো শক্তিশালী ভারত দলের প্রতিদ্বন্দ্বী। ভারত কিন্তু

পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কা দুটি দলকেই পরাজিত করে সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। জনপ্রিয়তার কারণে বিশ্বজোড়া ক্রিকেট আমাদেদের এক বিশাল অংশ আগ্রহী পাকিস্তান-ভারত ফাইনাল দেখতে। কিন্তু ভুলে গেলে চলবে না এযাবৎ অনুষ্ঠিত হওয়া ১৫ টি এশিয়া কাপে ৭ বার শিরোপা জিতেছে ভারত, ৬ বার শ্রীলংকা এবং ২ বার পাকিস্তান। শ্রীলংকা বর্তমান শিরোপাধারী। এবারের টুর্নামেন্টে শ্রীলংকার খেলায় ধারাবাহিকতা আছে। অন্যদিকে পাকিস্তান এবারের টুর্নামেন্টে অনেক প্রস্তুতি নিয়ে শক্তিশালী দল নিয়ে এসেছিলো। প্রস্তুতি পর্বে দীর্ঘদিন শ্রীলংকায় থেকে ,টেস্ট সিরিজ ,টি ২০ সিরিজ খেলেছে, অনেক খেলোয়াড় লংকান প্রিমিয়ার লিগে অংশ নিয়ে উইকেট এবং পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে।


শ্রীলংকা দলের প্রথম পছন্দের  চার বলার ম্যাচ ফিট না থাকলেও ওদের সমৃদ্ধ বোলিং গভীরতার কারণে অপেক্ষাকৃত নবীনরা দারুন মানিয়ে নিয়েছে। মাথিশা পাথিরানা, মাহেশ থিকসানার পাশাপাশি নবীন দিনুথ ওয়েললাগে দারুন কার্যকরী মনে হচ্ছে। আর তাই শ্রীলংকার ব্যাটিং আশা অনুযায়ী সফল না হলেও ওদের পারফরমেন্স কিন্তু ধারাবাহিক হয়েছে।


অন্যদিকে পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণ মূলত পেস নির্ভর। শাহীন শাহ ,নাসিম শাহ ,হারিস রউফ ওদের দিনে যে কোনো ব্যাটিং ধসিয়ে দেয়ার ক্ষমতা রাখে।  কিন্তু পাকিস্তানের স্পিন আক্রমণ দুর্বল। বোলিং গভীরতাও সীমিত। তদুপরি তিন প্রধান বোলারদের রোটেট করে লোড ম্যানেজ না করে আনফিট হয়ে পড়েছে নাসিম শাহ ,হারিস রউফ. আজ হয়ত খেলানো হবে ওয়াসিম জুনিয়র এবং শেষ মুহূর্তে উড়িয়ে আনা শাহনেওয়াজ ধানীকে।  জানিনা অপেক্ষাকৃত দুর্বল বোলিং নিয়ে পাকিস্তান কতটা সফল হবে উজ্জিবিত স্থানীয় দলের বিরুদ্ধে। টুর্নামেন্টে দুর্বল নেপাল এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে পাকিস্তান ভালো ব্যাটিং করলেও ভারতের বিরুদ্ধে ভেঙে পড়েছে। শ্রীলংকার বাম হাতি মেধাবী ব্যাটসমেনদের বিরুদ্ধে বাবর -রিজওয়ান- ইফতিখার জ্বলে না উঠলে পাকিস্তান আজ সুবিধা করতে পারবে না
রান রেটে পাকিস্তান অনেক পিছিয়ে। 

আজ যদি বৃষ্টি বিঘ্ন ঘটে তাহলে শ্রীলংকা চলে যাবে ফাইনালে।  ক্রিকেটে চূড়ান্ত ভাবে কিছু বলা বোকামি। যে দল আজ তাদের পরিকল্পনা সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করবে জিতবে।  দেখা যাক আজ সেমী ফাইনাল কারা জিতে নেয়।

শেয়ার করুন