২৩ এপ্রিল ২০১২, মঙ্গলবার, ০১:১৯:৩৮ অপরাহ্ন


ব্লিঙ্কেন - মোমেন বৈঠকে বাংলাদেশে সুষ্ট গ্রহনযোগ্য ও অংশগ্রনমুলক নির্বাচনের প্রত্যাশা
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-০৪-২০২৩
ব্লিঙ্কেন - মোমেন বৈঠকে বাংলাদেশে সুষ্ট  গ্রহনযোগ্য ও অংশগ্রনমুলক নির্বাচনের প্রত্যাশা


বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হয় যেন অবাধ,সুষ্ট এবং গ্রহনযোগ্য সে নিশ্চয়তা চাইলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি জে ব্লিঙ্কেন। বরাবরের মত এবারও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকে ওই প্রত্যাশা ব্যাক্ত করেন। এ সময় অ্যান্থনি জে ব্লিঙ্কেন বলেন, বিশ্ব বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের পানে তাকিয়ে রয়েছে। অবশ্য আমরাও তাকিয়ে আছি। যাতে বাংলাদেশে এই অঞ্চল ও বিশ্বের জন্য অবাধ ও সুষ্টু নির্বাচনের শক্তিশালী উদাহরণ তৈরী করতে পারে।


সোমবার বাংলাদেশ সময় মধ্যরাতে অনুষ্টিত ওই বৈঠকে দুইপক্ষেরই আরো ক’জন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। জানা গেছে, মাত্র ৩০ মিনিটের মত স্থায়ী ছিল ওই বৈঠক। ইতিমধ্যে ওই বৈঠকের একটি সারাংশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি আকারে মিডিয়ায় সরবরাহ করেছে ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট। সেখানে বলা হয়, অ্যান্থনি জে ব্লিঙ্কেন গুড আফটারনুন বলে শুরু করে তিনি দুই দেশের দীর্ঘ ৫০ বছরের সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেন।  একই সঙ্গে দুই দেশের মানুষের মধ্যে গভীর সম্পর্ক, দুই দেশের মধ্যে জলবায়ু ও স্বাস্থ্যখাতে সহযোগিতার কথাও উল্লেখ করে বাংলাদেশ যে এক মিলিয়ন রোহিঙ্গা আশ্রয় দিয়েছে তারও প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যে দুই দেশ একই সঙ্গে কাজ করে যাব। তিনি বলেন, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি অবশ্যই অবাধ এবং সুষ্ঠু হতে হবে। শুধু বাংলাদেশ নয় বরং আন্তর্জাতিকভাবেও নির্বাচনটি গ্রহণযোগ্য হওয়ার তাগিদ দিয়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,এটি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় পর্যায়ের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। 

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য বাংলাদেশ এবং দেশের জনগণকে সাধুবাদ জানিয়ে ব্লিঙ্কেন বলেন, বাংলাদেশ ১০ লক্ষ রোহিঙ্গাদের উদারতার সঙ্গে যেভাবে আশ্রয় দিয়েছে সেটাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। দুই দেশের সম্পর্ক আরও মজবুত করার ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক উন্নয়ন, মানবাধিকার এবং রোহিঙ্গা শরণার্থী ইস্যুতে জোর দেন তিনি। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য শেষে সূচনা বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। এতে দুই দেশের সম্পর্কের ভীত অত্যন্ত মজবুত উল্লেখ তিনি বলেন, বাংলাদেশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বহুমাত্রিক এবং গতিশীল, যা বিগত ৫০ বছরে ধাপে ধাপে বিকশিত হয়েছে। মন্ত্রী মোমেন বলেন, আমরা চাই সামনের ৫০ বছর এবং তারপরেও যেন এটি আরও আরও বৃদ্ধি পায়।


গত স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে চিঠি লিখেছিলেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন। সেই চিঠি দু'টির অংশবিশেষ বৈঠকে তুলে ধরেন মোমেন। বাংলাদেশের সরকার প্রধানকে লেখা মার্কিন প্রেসিডেন্টের চিঠির সমাপনীতে মুক্তিযুদ্ধের সর্বজনীন স্লোগান 'জয় বাংলা' উল্লেখ থাকার বিষয়টি বিশেষভাবে তুলে ধরেন মোমেন। সেই সঙ্গে বাইডেনের চিঠির জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি চিঠি বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দিয়েছেন জানিয়ে মোমেন বলেন, বৈঠক শেষে আমি তা আপনার কাছে হস্তান্তর করবো। ব্লিঙ্কেনের চিঠিতে বাংলাদেশকে এ অঞ্চলের পরবর্তী গুরুত্বপূর্ণ নেতা হিসেবে উল্লেখ করে প্রশংসাসম্বলিত যেসব কথা বলা হয়েছে তার প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে মোমেন।

 


শেয়ার করুন