২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৫:১৮:০৩ অপরাহ্ন
শিরোনাম :


ইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সাথে মির্জা ফখরুলের রুদ্ধদ্বার বৈঠক
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৫-০৭-২০২৩
ইউ রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলির সাথে মির্জা ফখরুলের রুদ্ধদ্বার বৈঠক ইউ রাষ্ট্রদূতের সাথে মির্জা ফখরুলের বৈঠক


ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে এদেশে একটা এক্সপার্ট টিম আসবে আগামী সাপ্তাহে এবং এই এক্সপার্ট টিমের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর কথা হবে, আলোচনা হবে, সিভিল সোসাইটির কথা হবে। এই টিমের এডভান্সার আলোচনার ব্যাপারেই আমাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাথে। আলোচনাটা হয়েছে যে, বর্তমানে বাংলাদেশে নির্বাচনের পরিস্থিতি আছে কিনা, এই সরকারের অধীনে নির্বাচন সম্ভব কি সম্ভব নয় সেটাই তারা জানতে চেয়েছে।”

ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি‘র সাথে এক ঘন্টা রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গত ৪ জুলাই মঙ্গলবার বিকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এই বৈঠক হয়। বিকাল তিনটায় রাষ্ট্রদূতের পতাকাবাহী গাড়ি কার্যালয়ে প্রবেশ করে। বৈঠকে রাষ্ট্রদূতের সাথে ডিসিএম স্প্যানিয়ার বার্ন্ড ও পলিটিক্যাল অফিসার সেবাস্টিয়ান উপস্থিত ছিলেন। বিএনপি মহাসচিবের সাথে ছিলেন দলের মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান। এক ঘন্টা বৈঠকের পর রাষ্ট্রদূতকে বিদায় দিয়ে কার্যালয়ের গেইটের সামনে অপেক্ষামান সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

তিনি বলেন, ‘‘আপনারা নিশ্চয় জানেন যে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে এদেশে একটা এক্সপার্ট টিম আসবে আগামী সাপ্তাহে এবং এই এক্সপার্ট টিমের সঙ্গে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর কথা হবে, আলোচনা হবে, সিভিল সোসাইটির কথা হবে। এই টিমের এডভান্সার আলোচনার ব্যাপারেই আমাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আপনারা যেটা আঁচ করছেন যে, নির্বাচনের ব্যাপারেই আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি, আমাদের কি চিন্তা, আমরা কি ভাবছি, আমরা কি করছি এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।”

নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া আগামী নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না, ২০১৪-২০১৮ সালের নির্বাচনে তা প্রমাণিত হয়েছে- সে বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বক্তব্য কি জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘তারা যেটা সব সময় চাচ্ছেন, অনেকবারই বলেছেন যে, তারা বাংলাদেশে একটা অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চায়, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়। একইভাবে তারা আরো এক্সপ্লোর করার জন্য আগামীতে তাদের একটা টিম আসবে বাংলাদেশে আসলে কোনো সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচন করার সুযোগ আছে কিনা এটা দেখার জন্যে। তারা আসবেন এবং ওই টিমটার বিষয়ে আলোচনা করবার জন্যে এখানে যে দূতাবাস আছে সেই দূতাবাসের অ্যাম্বাসেডর এসছিলেন।”

আপনারা কি বলেছেন’ প্রশ্ন করা হলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা পরিস্কার করে যেটা বলেছি, বাংলাদেশে যে পরিস্থিতি এখানে নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্র্বাচন হবে না এবং এই সরকারের অধীনে নির্বাচন করা সম্ভব নয়।

আপনারা বলেছেন, নির্দলীয় সরকারের কথা, সরকার বলছে সংবিধানের বাইরে তারা যাবে না- দুই পক্ষই অনঢ় অবস্থানের মধ্যে আছেন , কূটনৈতিকরাও তাদের অবস্থান থেকে কাজ করছেন- এরকম অবস্থায় আন্তর্জাতিক মহলের মধ্যস্থতায় সংলাপের সম্ভাবনা আছে কিনা’ জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমি এই বিষয় এখনই কোনো কথা বলতে পারবো না। সেই ধরনের কোনো আলোচনা আজকে হয়নি। 

ওাজনীতিতে বারবার একটা কথা আলোচনায় আসছে, নির্বাচনকালীন প্রেসক্রিপশন সেখানটাই ওনাদের (ইইউ) কোনো পরামর্শ আছে কিনা প্রশ্ন করলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘প্রেসক্রিপশনের তো প্রশ্নই উঠতে পারে না, কিসের প্রেসক্রিপশন? এখানে নির্বাচন হতে হবে সুষ্ঠুভাবে, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন সম্ভব নয় নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার ছাড়া। বর্তমানে আওয়ামী লীগ যে অবস্থানটা তৈরি করেছে তাতে প্রমাণিত হয়ে গেছে নির্দলীয় সরকার ছাড়া এখানে নির্বাচন সম্ভব না। প্রেসক্রিপশনের প্রশ্ন না, এখানে সংবিধানে আছে ভোটাররা ভোট দেবে, ভোট দিয়ে সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচনে সরকার গঠন হয়।

শেয়ার করুন