২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০২:৩৬:৫৯ পূর্বাহ্ন


অভিযোগ মির্জা ফখরুল ইসলামের
ওবায়দুল কাদের প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল- ইউরেনিয়াম কি জিনিস তাই জানেন না
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১০-১০-২০২৩
ওবায়দুল কাদের প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল- ইউরেনিয়াম কি জিনিস তাই জানেন না


ক্ষমতাসীনরা দেশকে লুটেরাদের স্বর্গ রাজ্যে পরিণত করেছে বলে অভিযোগ করেছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। মঙ্গলবার বিকালে এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘‘ এটাকে একটা লুটেরাদের স্বর্গ রাজ্যে পরিণত করেছে।ছোটকালে আমাদের মায়েরা আমাদের ঘুমাতে নিয়ে একটা গান গাইতো… ছেলে ঘুমালো, পাড়া ঘুমালো বর্গী এলো দেশে… এরা হলো সেই বর্গী। তারা আসবে, লুট করবে, নিয়ে চলে যাবে। এবার মানুষ জেগে উ্ঠেছে। আমার বিশ্বাস, সকল মানুষের বিশ্বাস, জনমানুষের বিশ্বাস এবার পরিবর্তন হবে। আর কথা নয়, কথা একটাই, আর কাল বিলম্ব না করে আসুন আমরা সবাই দলমত-নির্বিশেষে আমি বলছি, আমাদের আহ্বান সকলের প্রতি, বাম-ডান, উত্তর-দক্ষিন বুঝি না যারা দেশকে ভালোবাসেন তারা সবাই জেগে উঠুন, ঐক্যবদ্ধ হোন। এই ভয়াবহ দানব থেকে দেশকে রক্ষা করুন, এই দানবকে সরাতে হবে।’’

‘ইউরেনিয়াম প্রসঙ্গে’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাহেব ব্যক্তিগতভাবে তাকে চিনি, আওয়ামী লীগের মধ্যে যে কয়েকজন পড়াশুনা করা মানুষ তার মধ্যে তিনি একজন.. আমরা তাই জানতাম। তার যে এই করুণ অবস্থা। ইউরেনিয়াম কি জিনিস তাই জানেন না। এটার জন্য তো বিশেষ জ্ঞানের প্রয়োজন হয় না। এটা হচ্ছে উনি যে একটা কথা বলেছেন না…তলে তলে… এই কথায় পোক্ত হয়েছেন। এটাই হয় দলগুলোতে সরকারগুলোতে তোষামোদি এমন পর্যায়ে চলে যায় তা হাস্যরসে পরিণত হয়। আমাদের কোনো এক নেতা বাইরে থাকেন। কালকে তাকে বললাম …উনি আমাকে বললেন, এই ধরনের কথা উনি(ওবায়দুল কাদের) বলেছেন। আপনি কিন্তু প্রতিবাদ করতে যাইয়েন না। কেনো? এটা তো আমাদের জন্য বিনোদনের ব্যাপার হয়ে গেছে, এটা আমাদের জন্য এন্টারটেইনমেন্ট।”

‘অর্থনীতি ভয়াবহ নিশ্চিতার দিকে’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘‘ সর্বনাশ করে দিয়েছে বাংলাদেশের…সর্বনাশ। আমার কথা না পত্রিকাগুলো খুলে দেখুন অর্থনীতির সূচকগুলো নামতে শুরু করেছে নিচের দিকে। রেমিটেন্স কমে যাচ্ছে, গার্মেন্টস রপ্তানি কমে যাচ্ছে, বৈদেশিক টাকা আসছে না। এমন একটা অবস্থা করেছে যে, আর কয়েক মাস পরে আমদানি করার জন্য যে টাকা রিজার্ভে দরকার সেই টাকাও থাকবে না। রিজার্ভ একদম নিচে নেমে যাবে। এটা আমি বলছি না, আওয়ামী ঘরোনার যে বড় বড় অর্থনীতিবিদ আছেন তারা বলতে শুরু করেছেন ভয়ংকর অবস্থা। এটা যদি ঠিক না করা যায়, অবিলম্বে যদি ব্যবস্থা না যায় ভয়াবহ অর্থনৈতিক অনিশ্চিয়তার খেসারত দিতে হবে।”

তিনি বলেন, ‘‘ যারা সরকারে আছে তাদের জনগনের প্রতি কোনো মায়া নেই, কোনো দরদ নাই, তাদের কোনো একাউন্টেবিলিটি নাই, তাদের কোথাও জবাবদিহি করতে হয় না। তারা বিদ্যুত উতপাদন করবে, আমদানি করবে যত খুশি চুরি করবে তাদেরকে প্রশ্নও করা যায় না। তাদেরকে ইনডেমনিটি দেয়া হয়েছে।রুপপুরে পারমানবিক পাওয়ার প্লান্ট করেছে। সবদেশেই এই প্লান্টে খরচ হয়েছে তার থেকে চারগুন বেশি পয়সা দিয়ে রাশিয়া থেকে ইউরেনিয়াম কেনা হয়েছে। কারণ কি? ওই যে চার গুন বেশি খরচ তার থেকে ভাগাভাগি হয়ে যাবে ওদের কমিশন ওরা নিয়ে যাবে বাস।পদ্মাসেতু করেছে ভালো কথা। সেখানে খরচ সর্বোচ্চ যেটা হওয়ার কথা তার চেয়ে বেশি ৪গুন বেশি পয়সা দিয়ে করা হলো। এখন সেতুর ওপর রেললাইন করা হয়েছে… আজকে উদ্বোধন হয়েছে। কত টাকায় এটা করেছেন বলেন। এগুলো বললে ওদের মাথা খারাপ হয়েছে।”

ঢাকা রিপোর্টাস ইউনিটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদের উদ্যোগে ‘গণতন্ত্র, সার্বভৌমত্ব ও রোহিঙ্গা সংকট : শহীদ আবরার ফাহাদের প্রেরণা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা হয়।

গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় এবি পার্টির চেয়ারম্যান এএফএম সোলায়মান চৌধুরী, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, সাম্যবাদী দলের সৈয়দ নুরুল ইসলাম, গণঅধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব ফারুক হাসান, কেন্দ্রীয় নেতা মিয়া মশিউজ্জামান, তারেক রহমান, ইসমাইল মন্ডল, শিরিন আখতার শিরিন প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।



শেয়ার করুন