০২ মে ২০১২, বৃহস্পতিবার, ০৯:১৪:০৭ পূর্বাহ্ন


কাদেরের ইউরোনিয়াম ঢেলে দেয়ার জবাবে আব্বাস
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-১০-২০২৩
কাদেরের ইউরোনিয়াম ঢেলে দেয়ার জবাবে আব্বাস বক্তব্য রাখছেন মির্জা আব্বাস


বিরোধী দলের নেতাদের মাথায় ইউরেনিয়াম ঢেলে দেয়ার ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যকে ‘পাগলের প্রলাপ’ বলে অভিহিত করেছেন মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, এখন যদি আমি বলি যে, ইউরেনিয়াম এটার যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, এই প্রতিক্রিয়ায় একজন মানুষ মারা যেতে পারে। তাহলে কি আপনি হুমকির আসামী হলেন না। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাসকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন আপনি। পরিস্কার ভাষায় বলে দিতে চাই আমাদের এই কয়েকজন স্থায়ী কমিটির সদস্যকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। জাতির আদালতে বিচারের জন্য রেখে গেলাম, আইনের আদালতে ইনশাল্লাহ ব্যবস্থা নেবো। এবার আর ছাড় দেবো না।

গত ১০ অক্টোবর মঙ্গলবার দুপুরে এক স্মরণ সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আমি কাদেও (ওবায়দুল কাদের) সাহেবকে প্রশ্ন করতে চাই, এই ভাই ইউরোনিয়াম কত প্রকার ও কি কি আপনি জানেন। এই সম্পর্কে আপনার কোনো জ্ঞান আছে। অজ্ঞান ব্যক্তির অজ্ঞান কথা, একজন অজ্ঞান ব্যক্তির অজ্ঞান কথা, একজন উন্মাদ ব্যক্তির পাগলের প্রলাপ।”

গত ৯ অক্টোবর সোমবার উত্তর আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা বলছি রূপপুর যারা বন্ধ করতে চায় সে ফখরুল, মঈন খানের মাথায় রাশিয়ার ইউরেনিয়াম ঢেলে দেব। দুই চালান এসেছে। সেটা আমরা কিছু ফখরুলের মাথায়, কিছু গয়েশ্বরের মাথায়, কিছু আব্বাসের মাথায়, কিছু মঈন ইউ আহমেদের ( মঈন খান) মাথায়, কিছু রিজভী পাগলার মাথায় যে লাফাবে মাথায় ইউরেনিয়াম ঢেলে ঠান্ডা করে দেব। ডান্ডা মেরে ঠান্ডা করব না, ইউরেনিয়াম মাথায় ঢেলে ঠান্ডা করে দেব।

মির্জা আব্বাস বলেন, এখন যদি আমি বলি যে, ইউরেনিয়াম এটার যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া, এই প্রতিক্রিয়ায় একজন মানুষ মারা যেতে পারে। তাহলে কি আপনি হুমকির আসামী হলেন না। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাসকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন আপনি। পরিস্কার ভাষায় বলে দিতে চাই আমাদের এই কয়েকজন স্থায়ী কমিটির সদস্যকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন। জাতির আদালতে বিচারের জন্য রেখে গেলাম, আইনের আদালতে ইনশাল্লাহ ব্যবস্থা নেবো। এবার আর ছাড় দেবো না।

তিনি বলেন, আপনারা টুস করে পদ্মায় ফেলে দেবেন-এটা কি আমরা ভুলে গেছি। আরে ইউরেনিয়ামের হুমকি দেন- এটা কি শুরু করেছেন? রাজনীতি করেন, রাজনৈতিক কাজ-কর্ম করেন, রাজনৈতিক ভাষায় কথা বলেন। শিষ্টাচারের সাথে কথা বলতে শেখেন। আর যদি অশিষ্টাচারের ভাষায় কথা বলতে চান। ঠিক আছে একটা গালি আছে গালি দিয়ে দেখেন। আমরা তো গালি দেই না। বিএনপি ভদ্র লোকের দল আর আওয়ামী লীগ অসভ্যের দল। অনেক লোক আছে লেখা-পড়া শিখেছে এরা মামলা করছে, গ্রেফতার করছে, মিছিল করলে লাঠিপেটা করে এসমস্ত জিনিস থেকে আমাদেরকে রেহাই পেতে এখন আন্দোলনে নামতে হবে।

শহীদ জেহাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে সকলকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এক হওয়ার আহ্বান রেখে মির্জা আব্বাস বলেন, আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলনের ঝাঁপিয়ে পড়তে পারি অবশ্যই এই সরকারের পতন ঘটবে।

জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে শহীদ জেহাদ পরিষদের উদ্যোগে নব্বইয়ের স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত নাজির উদ্দিন জেহাদের ৩৩তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে এই স্মরণ সভা হয়। ১৯৯০ সালের ১০ অক্টোবর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর পুরানা পল্টনে পুলিশের গুলিতে নিহত হন নাজির উদ্দিন জেহাদ।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিবের সভাপতিত্বে ও নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলমের সঞ্চালনায় নব্বইয়ের ছাত্র নেতা আসাদুজ্জামান রিপন, খায়রুল কবির খোকন, জহির উদ্দিন স্বপন, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, ফজলুল হক মিলন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কামরুজ্জামান রতন, খন্দকার লুতফুর রহমান, আসাদুর রহমান খান, নাসির উদ্দিন অসীম, মীর সরাফত আলী সপু, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, শহিদুল ইসলাম, আকরামুল হাসান ও কারাবন্দি নেতা আমান উল্লাহ আমানের ছেলে ঢাকা জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক ইবনে আমান অমি প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

শেয়ার করুন