২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ১০:৩৮:৩১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান


জনগণ সরকারের অপসারণ চাইবে কেন?
খন্দকার সালেক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-১১-২০২৩
জনগণ সরকারের অপসারণ চাইবে কেন?


পেছনের কথাগুলো মনে করলে দেখা যাবে ২০০৮ সালে দেশের তৎকালীন পরিস্থিতির সঙ্গে অথবা ২০০২-২০০৬ পর্যন্ত হাওয়া ভবন নিয়ন্ত্রিত সন্ত্রাস দুর্নীতিকবলিত পরিস্থিতির সঙ্গে ২০২৩ অবস্থার। নানা চ্যালেঞ্জ, নানা ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। বলতে পারেন, গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো বিকশিত হয়নি। একশ্রেণির দুর্নীতি সিন্ডিকেটের কবলে অনেক কার্যক্রম দুর্নীতি কবলিত, একশ্রেণির মাফিয়া চক্র দেশ থেকে সম্পদ পাচার করে ব্যাংক, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে প্রায় দেউলিয়া বানিয়েছে। তবু গত ১৫ বছরে কৃষি, জ্বালানি, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ খাতে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। 

মেগা প্রজেক্টসসমূহ একে একে দৃশ্যমান হয়ে দেশের অবয়ব বদলে দিচ্ছে। স্বীকার করতে দ্বিধা নেই অতিরিক্ত আমলানির্ভরতার কারণে অনেক প্রকল্পের বাস্তবায়ন সময় এবং খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রকল্পগুলোর সুফল জনগণের দুয়ারে সঠিকভাবে পৌঁছেনি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হওয়ার মুখে। কিন্তু যেভাবে সরকার সীমিত সম্পদ নিয়েও কোভিড-১৯ অতিমারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রতিক্রিয়া মোকাবিলা করেছে সেটি জামায়াত-বিএনপি সরকার কস্মিনকালেও পারতো না। 

আশা করি, সরকারপ্রধান তার গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর মাধ্যমে কিছু কিছু মন্ত্রী, সাংসদ এবং সরকার ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী মহলের দুর্নীতি এবং ক্ষমতার অপব্যবহার বিষয়ে অবহিত আছেন। সরকারপ্রধানের কিন্তু এখনো তৃণমূলে অসাধারণ জনপ্রিয়। বিদ্ধমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে বিরাজমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধু কন্যা ছাড়া আসন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার বিকল্প নেই। আগামী নির্বাচন স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ হলে সরকারপ্রধান লাভবান হবেন। দলীয় মনোনয়ন মেধা এবং সততার ভিত্তিতে হলে এবং সরকারি দলের সব অঙ্গপ্রতিষ্ঠান একযোগে কাজ করলে সরকারি দল নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করবে। সরকারপ্রধানের উচিত ১৫ বছরের কিছু ব্যর্থতা বিষয়ে জনগণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা এবং সবক্ষেত্রে দুর্নীতি নির্মূলের অঙ্গীকার। 

আগামীতে নতুনভাবে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেলে আমলানির্ভরতা কমিয়ে সরকারকে সৎ, যোগ্য পেশাদারদের সঠিক স্থানে পদায়ন করতে হবে। প্রবাস থেকে প্রয়োজনে বিষয় বিশেষজ্ঞদের আমন্ত্রণ জানিয়ে দেশ পরিচালনায় অবদান রাখার সুযোগ করে দিতে হবে। ২০২৪-২০২৮ বাংলাদেশের জন্য অতিগুরুত্বপূর্ণ। প্রয়োজন নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে সঠিক নেতৃত্ব নির্বাচন করার পরিবেশ সৃষ্টি। জনগণের কাছে দায়বদ্ধ সরকার ছাড়া আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা অসম্ভব হবে। সেই হিসেবে পার্লামেন্টে একটি দায়িত্বশীল বিরোধী দল থাকা জরুরি। 

আমি নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকেই মনে করি, বর্তমান সরকার পদত্যাগ করার কোনো যুক্তি বিরোধীদল জনগণের সামনে তুলে ধরতে পারেনি। কন্সপাইরেসি থিওরি দিয়ে সংকট সময়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা যায় টেকসই বা লাগসই সমাধান মেলে না।

শেয়ার করুন