২৬ এপ্রিল ২০১২, শুক্রবার, ০৬:০০:১৩ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :


নারী অভিবাসী শ্রমিকদের নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য নয়
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২১-১২-২০২২
নারী অভিবাসী শ্রমিকদের নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য নয়


আমাদের সমাজেও অনেকে আছেন, যাঁরা এসব নারী অভিবাসী শ্রমিকদের সম্পর্কে নানা রকম নেতিবাচক মন্তব্য বলেন। এ ক্ষেত্রে সবাইকে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে হবে। গত ২০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সিডব্লিউসিএস, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও কানাডার যৌথ উদ্যোগে নারী অভিবাসী শ্রমিকের অধিকারবিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা উঠে আসে। 

এতে সেন্টার ফর ওমেন অ্যান্ড চিলড্রেন স্টাডিজের (সিডব্লিউসিএস) সভাপতি ইশরাত শারমিন বলেছেন, বিদেশে নারীদের নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করার আহ্বান। তিনি বলেন, বিদেশ ফেরত অনেক নারী কর্মী এতটাই মানসিক আঘাতপ্রাপ্ত যে বিমানবন্দরে কর্মরত কারও সঙ্গে কথাও বলতে চান না। বিদেশে কাজ করতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার এই নারীদের কাউন্সেলিং করতে হবে। এই নারী কর্মীরা কম টাকা আনলেও পরিবারের কাছে নিগৃহীত হন, আবার টাকা বেশি আনলেও পরিবার ও আশপাশের মানুষের বিরূপ মন্তব্যের শিকার হন। মধ্যপ্রাচ্যসহ বিদেশে নারীদের নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করতে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সেন্টার ফর ওমেন অ্যান্ড চিলড্রেন স্টাডিজের (সিডব্লিউসিএস) সভাপতি ইশরাত শারমিন।

ইশরাত শারমিন মধ্যপ্রাচ্যসহ যেসব দেশে নারী কর্মী পাঠানোর বিষয়ে সরকার চুক্তি করছে, সেসব ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন । তিনি বলেন, নারী কর্মীদের সাপ্তাহিক ও বার্ষিক ছুটির বিষয়টি চুক্তিতে থাকা নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া তাঁদের বেতন, স্বাস্থ্যসেবা ও খাদ্য নিশ্চিতকরণে গুরুত্বারোপ করতে হবে। দালালদের দৌরাত্ম্য বন্ধ করতে তাঁদের আইনি কাঠামোয় এনে জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।

অনুষ্ঠানেস মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিডব্লিউসিএসের নির্বাহী সদস্য ফরিদা ইয়াসমিন। তিনি বলেন, ‘আমরা নারী অভিবাসী কর্মীদের বিষয়ে ১৫টি সংবাদপত্র, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিমানবন্দরের তথ্য নিয়ে কাজ করেছি। এ বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৯৯ হাজার ৬৮৪ নারী অভিবাসী কর্মী হিসেবে গেছেন। নারী শ্রমিকদের ৬৬ শতাংশ সৌদি আরবে কাজ করতে যাচ্ছেন। কিন্তু সেখানে নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হচ্ছেন তাঁরা। তিনি বলেন, বিদেশে কাজ করতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার কোনো অভিবাসী কর্মী সন্তান নিয়ে ফেরত এলে ওই সন্তানের দায়িত্ব রাষ্ট্রকেই নিতে হবে। ফিরে আসা নারী কর্মীদের পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রবাসীকল্যাণ ব্যাংককে আরও প্রবাসীবান্ধব করে তুলতে হবে। অভিবাসন নিয়ে দ্রুত আইনের সংশোধনী পাস করা হোক।’ সভায় উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সিনিয়র প্রোগ্রাম সমন্বয়ক মহুয়া লিয়া ফালিয়া, ওয়ারবি ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালক জেসিয়া খাতুনস বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগী নারী শ্রমিক অভিবাসি বক্তব্য রাখেন।

শেয়ার করুন