পুরোনো কবিতার বই পড়ছিলাম এক বৈকালে
তুমি এসে দাঁড়ালে ব্যালকনিতে
পাশে পাইন শাখে কাঠবিড়ালী লেজ নাড়িয়ে নাচছে
সূর্য মামা লালিমা ছড়িয়ে ডুবতে ব্যস্ত অস্তাচলে।
এলোচুল মাথা ঘুরিয়ে তুমি এদিক ওদিক দেখলে,
অতঃপর আকাশ পানে তাকিয়ে রইলে,
অত্যাশ্চর্য কিছু কি দেখা দিয়েছে?
সহসা সশব্দে পড়তে লাগি কণ্ঠ উচিয়ে-
‘প্রিয় তুমি হারাবার নয়, তোমার স্মৃতি ভুলবার নয়
হে আরাধ্য আঁধারের যবনিকায় তুমি মুছে যাবার নয়’!
কান্নাজড়িত বাষ্পতাড়িত কণ্ঠ আরো উঁচুতে উঠিয়ে
‘নদী-নালা খাল-বিল শুকিয়ে যাবে,
বন-বাদাড়ে দাবানল প্রজ্বলিত হবে,
তপ্ত মরুভ‚মিতে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে ডাকি- প্রিয় প্রিয়..’
তুমি প্রস্থান করলে, কাঠবিড়ালীকে দেখি না শাখে,
মিলিয়ে গেছে রবির আলো এদিকে আঁধার ছেয়েছে;
রুদ্ধ কণ্ঠ, নৈঃশব্দ্য শুধু ঝিঁঝিপোকা ডাকছে।
তুমি ফিরলে
এক হাতে মুড়ি মাখা আরেকটিতে ধূমায়িত চা ধরে,
বাতি না জ্বাললেও পোশাকের শুভ্রতা জ্যোতি ছড়াচ্ছে;
নিচে গাড়ির শব্দ- সম্ভবত কাকা বাবুই এসেছে;
কবিতার প্রহর ফুরিয়েছে।