২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০১:৩৩:৬ পূর্বাহ্ন


ডামি নির্বাচনের পরই বাজার সিন্ডিকেট মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে -ফয়জুল করীম
নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৬-০১-২০২৪
ডামি নির্বাচনের পরই বাজার সিন্ডিকেট মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে -ফয়জুল করীম


ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেছেন, ভরা মওসুমেও চাল ও সবজির মূল্য বৃদ্ধির ঘটনা জনগণকে পীড়া দিচ্ছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে জনজীবন চরম দুর্বিষহ করে তুলেছে। বাজারে আমনের নতুন চাল উঠেছে। উঠেছে নতুন আলু, নতুন পেঁয়াজ। শীতের শাকসবজি। স্বাভাবিকভাবে দাম কমার কথা। প্রতিবছর তা-ই ঘটে। কিন্তু সিন্ডিকেটের কারণে এখন অর্থনীতির কোনো সাধারণ সূত্রই যেন কাজ করছে না বাজারে।


সোমবার বিকেলে পুরানা পল্টনস্থ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপরক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগ) অধ্যাপাক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মুফতি মোস্তফা কামাল।


মুফতী ফয়জুল করীম বলেন, ৭ জানুয়ারি প্রহসনের ডামি নির্বাচন ও ডামি মন্ত্রীসভা গঠনের পর পরই নিত্যপণ্যের প্রায় সকল পণ্যেরই দাম বেড়েছে বহুগুণ। শীতকালীন সবজি, আমনের মওসুমে প্রতি কেজি চালে ৫ থেকে ৮ টাকা বৃদ্ধি সাধারণ ও খেটে খাওয়া জনগণকে শঙ্কিত করে তুলেছে।


তিনি আরো বলেন, পণ্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও, এমনকি নতুন পণ্য উঠলেও সেসবের দামও ক্রমাগত বাড়ছেই। চাল, মুরগি, আদা, রসুন, আলু, পেঁয়াজ-সবকিছুর দামই অসহনীয়। বস্তুত অসৎ ব্যবসায়ী এবং বাজার সিন্ডিকেটের কারণে এদেশের বাজারে এখন অর্থনীতির সব সূত্র অকার্যকর হয়ে পড়েছে। নানা পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলে সান্তনা দেওয়া হলেও বাজারে সিন্ডিকেট এখনো রয়েছে বহাল তবিয়তে। বস্তুত সিন্ডিকেট ভাঙতে ব্যর্থ হয়েছে কর্তৃপক্ষ। সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে দেশের বাজারব্যবস্থা। আর সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা। কোনো নিত্যপণ্যের ব্যবসাই এখন আর সিন্ডিকেটমুক্ত নেই। কিন্তু প্রশ্ন হলো, বাজারে সিন্ডিকেটের কারসাজি চলছে, অসৎ ব্যবসায়ীরা অসাধু পন্থা অবলম্বন করে অতি মুনাফা লুটছে-এসব কি দেখার কেউ নেই?


তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারির নির্বাচন নিয়ে নিত্যনতুন জালিয়াতি ফাঁস হচ্ছে। আর ফাঁস করছেন সংশ্লিষ্ট দলের লোকজনই। নির্বাচনে চুরি ও প্রতারণার তথ্য ধামাচাপা দিতে তড়িঘড়ি করে প্রজ্ঞাপন জারি ও শপথের আয়োজন করা হয়েছে। যে মন্ত্রীসভা নিয়ে জনগণের কোন আগ্রহ নেই। কে কোন মন্ত্রণালয় পেলো এ নিয়ে দেশের মানুষের কোন কথা বা আগ্রহ নেই। এটা সরকারের জন্য লজ্জার।

শেয়ার করুন