২৯ এপ্রিল ২০১২, সোমবার, ০৫:২১:৪৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগে দরিদ্রমুক্ত দেশ গড়ে উঠবে - আসাদুজ্জামান খান কামাল ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে, বাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির দাবি ‘বিদেশে দেশবিরোধী অপপ্রচারকারীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় আইনে ব্যবস্থা নিন’ ভূল স্বীকার করে সরে দাড়ানোয় একজনের বহিস্কারাদেশ প্রত্যাহার বাফেলোতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই বাংলাদেশী নিহত ‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান


আবু হুরায়রা মসজিদের উদ্বোধনে মেয়র
মসজিদ ঘর থেকে বেড়িয়ে আসুন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-০৩-২০২৩
মসজিদ ঘর থেকে বেড়িয়ে আসুন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ান ফিতা কেটে মসজিদ ভবনের উদ্বোধন করছেন মেয়র এরিক অ্যাডমস


নিউইয়র্কে এবার মসজিদ উদ্বোধন করলেন সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামস। নিউইয়র্ক সিটির ইতিহাসে কোনো মেয়রের মসজিদ উদ্বোধন করতে যাওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম। গত ১৮ মার্চ দুপুরে ইস্ট এলমার্স্ট এলাকায় স্থাপিত আবু হুরায়রা মসজিদের চত্বরে পৌঁছলে তার মাথায় টুপি পরিয়ে দেয়া হয়। টুপি পরিয়ে দেন কুইন্স ডেমোক্রেটিক লিডার অ্যাট লার্জ অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী। তিনি মেয়রসহ অতিথিদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থও কোরআনও উপহার দেন। এ সময় মসজিদ কমিটির কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং, কুইন্স ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি মিলিন্ডা ক্যাটস, অ্যাসেম্বলিওম্যান জেনিফার রাজকুমার, ডেমোক্রেট দলের ডিস্ট্রিক্ট লিডার অ্যাট লার্জ অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী, মসজিদ কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ এ রউফ রশিদ, সাধারণ সম্পাদক নবী হোসেন, মসজিদের নির্মাতা গৌরাঙ্গ কুন্ড, মূলধারার রাজনীতিবিদ এলিজাবেথ ক্রাউলি বক্তব্য রাখেন। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মুসলিম ধর্মাবলম্বী হাজারো মানুষ। 

এর আগে মসজিদ উদ্বোধন করতে মেয়র আসবেন এই খবর ছড়িয়ে পড়লে সকাল থেকেই কয়েক হাজার মানুষ জড়ো হন থার্টি ফার্স্ট অ্যাভিনিউ ও ৭৮ স্ট্রিটে ইস্ট এলমার্স্টের মসজিদ চত্বরে। দুপুর ১২টার কিছু পরে মেয়র সেখানে পৌঁছলে তাকে উষ্ণ অভিবাদন জানানো হয়। 

এর পর মেয়র তার বক্তৃতায় বলেন, শুধু মসজিদ বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গড়ে তুললেই হবে না। সবার কাছে একটা বিষয় পরিষ্কার থাকতে হবে যে, প্রতিটি মানুষ স্রষ্টার প্রতিনিধি হিসেবে পৃথিবীতে এসেছে এবং একজন আল্লাহতে বিশ্বাসী মানুষ কখনো প্রকৃত বিশ্বাসী হতে পারবেন না, যতক্ষণ না তিনি আল্লাহর নির্দেশ পালনে পুরোপুরিভাবে নিবেদিত হতে না পারবেন। তিনি বলেন, মসজিদ এবং ঘর থেকে বাইরে আসুন, গৃহহীন ক্ষুধার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান, ঘৃণা-বিদ্বেষ ভুলে যান। অপরাধীরা যেন এই সমাজকে অস্থিতিশীল করে তুলতে না পারে, সেজন্য একসঙ্গে কাজ করুন। এটাই হবে একজন প্রকৃত মুসলমানের পরিচয়। মেয়র বলেন, তিনি মেয়র হওয়ার পর মুসলমানদের জন্য এমন কিছু উদ্যোগ নিয়েছেন যা অতীতে কোনো মেয়র নেননি।

কংগ্রেসওম্যান গ্রেস মেং বলেন, ইসলাম শান্তির ধর্ম। এটা প্রমাণ করতে হবে কাজকর্মের মাধ্যমে। তিনি আরো বলেন, নিউইয়র্কসহ উত্তর আমেরিকায় বসবাসরত মুসলিম সম্প্রদায় শান্তিপ্রিয়। তারা এই নিউইয়র্ক এবং আমেরিকার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে।

জেনিফার রাজকুমার সবাইকে পবিত্র রমজানের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, পুরো রমজান মাসে তিনি নিউইয়র্কের প্রতিটি মসজিদে ইফতারের জন্য খেজুর প্রেরণ করবেন।

মসজিদের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী বলেন, এটাই প্রথম নিউইয়র্ক সিটিতে মসজিদ মেয়র কর্তৃক মসজিদ উদ্বোধনের ঘটনা। এজন্য মেয়রকে ধন্যবাদ জানান। তিনি আরো বলেন, এই মসজিদ প্রতিষ্ঠার সঙ্গে সঙ্গে আমরা কমিউনিটিতে নতুন প্রজন্মের জন্য ইউনিটি সেন্টার প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি। এজন্য আমরা আনন্দিত।

গৌরাঙ্গ কুন্ড বলেন, আমার ওপর দায়িত্ব ছিল এই মসজিদ নির্মাণ করা, আমি সেই দায়িত্ব পালন করেছি।

এর আগে পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয় উদ্বাধনী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কংগ্রেস ওম্যান গ্রেস ম্যান, ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি মেলিন্ডা ক্যাটস, অ্যাটর্নি মইন চৌধুরী, অ্যাসেম্বলিওম্যান জেনিফার রাজকুমার, জ্যামাইকা মুসলিম সেন্টারের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম দেলোয়ারসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা। তারা সবাই বাংলাদেশি মুসলমান সমাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন। আমেরিকার মুসলমান উন্নয়নে বাইডেন প্রশাসন কাজ করছে বলেও জানান। 

আবু হোরায়রা মসজিদ ইস্ট এলমার্স্ট এলাকায় বসবাসরত মুসলমানদের নৈতিক ও আত্মিক উন্নয়নে গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে পারবে বলে বক্তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এদিকে এ এলাকায় এতো বড় মসজিদ ও ইসলামিক কমপ্লেক্স হওয়ায় ভিশন খুশি এলকার তরুণ সমাজসহ ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। ভিনদেশি ও পুলিশ কর্মকর্তারাও গিয়েছিলেন মসজিদটির উদ্বোধন দেখতে। তারাও বলেছেন, এটি কমিউনিটি গঠনে জোরালো ভূমিকা রাখতে পারবে।

শেয়ার করুন