শো-টাইম মিউজিক প্রবাসে বাংলা সংস্কৃতি লালনে এবং ভিনদেশে বাংলা সংস্কৃতি ছড়িয়ে দিতে দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে শো-টাইম মিউজিকের প্রেসিডেন্ট আলমগীর খান আলম এক্ষেত্রে প্রশংসনীয় ভ‚মিকা পালন করছে। গত দুই বছর করোনার কারণে কমিউনিটিতে খুব একটা অনুষ্ঠান হয়নি। করোনা মহামারীর আতঙ্ক বন্ধের পর কমিউনিটি আবার সরব হয়ে উঠেছে। সেই সাথে আলমগীর খান আলমও। ইতিমধ্যেই তিনি বেশ কয়েকটি অনুষ্ঠান করেছেন। আগামীতে আরো করবেন। এমন সপ্তাহ রয়েছে তার কয়েকটি অনুষ্ঠান রয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় তিনি বাংলা নববর্ষকে বরণ করে নিয়েছেন। তার পরপরই করেছেন রিভার ক্রুজ এবং বাংলাদেশের হার্টথ্রোব সিঙ্গার তাহসানের একক সংগীতসন্ধ্যায়। নববর্ষ বরণের অনুষ্ঠান ছিলো গত ১৪ মে। ১৫ মে দুপুরে ছিলো রিভার ক্রুজ এবং সন্ধ্যায় ছিলো তাহসানের একক সংগীতসন্ধ্যা। রিভার ক্রুজ ছিলো ইস্ট ইভারে, আর তাহসানের একক সংগীতসন্ধ্যা ছিলো উডসাইডের কুইন্স প্যালেসে।
বাংলা নববর্ষের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন রেস্টুরেন্টের সামনে। শুক্রবার জুমার নামাজের পর ইলিশ-পান্তা, বিভিন্ন ভর্তাসহ দেশীয় নানা পদের খাবার দিয়ে পান্তা ইলিশের কার্যক্রম। নিউইয়র্কের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা ছোট-বড় সব বয়সী মানুষ খাবার খেয়ে তৃপ্তির ঢেঁকুর তেলেন। খাবারের পাশাপাশি চলতে থাকে বাংলাদেশ থেকে আসা ও নিউইয়র্কের বসবাসকারী শিল্পীদের পরিবেশনায় গান। নেচে-গেয়ে তা উপভোগ করেন উপস্থিত মানুষ। ছিল নৃত্য। মাঝে মাঝে হালকা বৃৃষ্টি অনুষ্ঠানে আসা মানুষের আনন্দে এতোটুকু ভাটা পড়েনি।
কমিউনিটির পরিচিত মুখ সাদিয়া খন্দকারের প্রাণবন্ত উপস্থাপনায় অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন শো-টাইম মিউজিকের প্রেসিডেন্ট আলমগীর খান আলম। তিনি নিউইয়র্ক তথা, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলা সংস্কৃতি নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে তার ভ‚মিকা অব্যাহত রাখবে।
এ সময় উপস্থিত সুধীকে বৈশাখী শুভেচ্ছা জানান বিশিষ্ট কমিউনিটি অ্যাকটিভিস্ট ও ডিস্ট্রিক্ট লিডার প্রার্থী শাহ নেওয়াজ, বারী হোম কেয়ারের সিইও আসিফ বারী টুটুল, রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী নূরুল আজিম, জেবিবিএ’র সাধারণ সম্পাদক তারেক হাসান খান, বাংলাদেশ সোসাইটির শিা বিষয়ক সম্পাদক আহসান হাবিব, আশা হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট আকাশ রহমান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী দুলাল বেহেদু, বিশিষ্ট চিকিত্সক ডা. চৌধুরী সারওয়ারুল হাসান।
সংগীত পরিবেশন করেন রানো নেওয়াজ, মোস্তফা অনিক রাজ, শামীম সিদ্দিকী, তৃনিয়া হাসান। সময়ের অভাবে সংগীত পরিবেশন করতে পারেননি প্রবাসের জনপ্রিয় শিল্পী শাহ মাহবুব।