২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৪:২৮:২৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :


রোহিঙ্গাদের নিয়ে আলোচনায় নেতৃবৃন্দ
রোহিঙ্গা শিবিরে নারী কর্মীদের ইতিবাচক পরিবেশ তৈরির দাবি
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৩-০৮-২০২৩
রোহিঙ্গা শিবিরে নারী কর্মীদের ইতিবাচক পরিবেশ তৈরির দাবি রোহিঙ্গাদের নিয়ে আলোচনায় নেতৃবৃন্দ


বিশ্ব মানবিক দিবস (World Humanitarian Day) উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বক্তারা মানবিক কর্মসূচিতে নিযুক্ত মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান। তাঁরা মানবিক কর্মসূচিকে কার্যকর করতে সকল কর্মসূচি প্রণয়ন এবং বাস্তবায়নে স্থানীয় সংগঠনগুলোর নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার উপর গুরুত্বারোপ করেন। এর পাশাপাশি তারা রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে নারী কর্মীদের জন্য একটি ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করার এবং তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের গুরুত্বের উপর জোর দেন। কোস্ট ফাউন্ডেশন, কক্সবাজার সিএসও-এনজিও ফোরাম এবং বিডিসিএসও সমন্বয় প্রক্রিয়া যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে রোববার বিশ্ব মানবিক দিবস উপলক্ষে। 

No Matter What-Together we stand beside affected communities - Empower local actors শিরোনামের অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কোস্ট ফাউন্ডেশনের পরিচালক মোস্তফা কামাল আকন্দ, এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন একই প্রতিষ্ঠানের মোঃ ইকবাল উদ্দিন। অন্যান্যের মাঝে এতে আরও বক্তৃতা করেন,  সিসিএনএফ-এর কো-চেয়ার আবু মোরশেদ চৌধুরী, ইপসা’র নির্বাহী পরিচালক আরিফুল ইসলাম, অগ্রযাত্রার প্রধান নির্বাহী নীলিমা জাহান, এনজিও প্ল্যাটফর্মের আমির হোসেন, উদয়ন বাংলাদেশের শেখ আসাদ, তৃণমূল উন্নয়ন সংস্থা (টিইউএস) ফাউন্ডেশনের খন্দকার ফারুক আহমেদ এবং সুশীলনের উপদেষ্টা মুজিবুর রহমান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন কোস্ট ফাউন্ডেশনের উপ-নির্বাহী পরিচালক সনৎ কুমার ভৌমিক।

মোঃ ইকবাল উদ্দিন কয়েকটি সুনির্দিষ্ট সুপারিশ তুলে ধরেন, যেমন-মানবিক কর্মকান্ডে নিয়োজিত স্থানীয় কর্মীদের অধিকার ও মর্যাদা রক্ষা করা, তাঁদের জন্য ন্যায্য বেতন, সুযোগ-সুবিধা, জীবন বীমা, গ্রান্ড বার্গেইন-এ প্রতিশ্রুত দাতাদের ২৫% তহবিল স্থানীয় সংগঠনগুলোকে প্রদানের রোডম্যাপ ঘোষণা করা, স্থানীয় পর্যায়ে দ্রুত সাড়াদানের ক্ষেত্রে স্থানীয় সংগঠন ও নেতৃত্বের বিকাশ ও স্থানীয় সংগঠনগুলোকে শক্তিশালী করা। 

আবু মুর্শেদ চৌধুরী মানবিক কর্মসূচিতে মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি একটি ঝুঁকি-বণ্টন ধারণার পক্ষে কথা বলেন এবং প্রকল্প তৈরির সময়ই ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার সঙ্গে দাতাসহ সকল অংশীদারকে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান। 

নীলিমা জাহান রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে নারী কর্মীদের জন্য একটি ইতিবাচক পরিবেশ তৈরি করার এবং তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের গুরুত্বের উপর জোর দেন। 

আমির হোসেন খরচ কমাতে এবং স্থানীয় নেতৃত্বের বিকাশের স্বার্থে দাতাদের কাছ থেকে স্থানীয় সংস্থাগুলিতে সরাসরি অর্থায়নের সুপারিশ করেন। শেখ আসাদ গ্র্যান্ড বর্গেইন চুক্তির কার্যকর বাস্তবায়নে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান। মজিবুর রহমান স্থানীয়, জাতীয় ও আইএনজিওদের মধ্যে একটি বৈষম্যহীন পরিবেশ নিশ্চিত করার জোর দাবি জানান। 

আরিফুর রহমান তহবিলের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করার স্বার্থে বাংলাদেশী এনজিওগুলির জন্য সরাসরি অর্থায়নের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দাতা সংস্থা এবং কর্মসূচি বাস্তবায়নকারী সংস্থারগুলোর মধ্যে মধ্যস্থাকারী সংস্থাগুলি প্রায় পরিচালন ব্যয়ের নামে একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ তহবিল নিয়ে যায়। ফলে মাঠ পর্যায়ে পর্যাপ্ত তহবিলের সংকট দেখা দেয়।

শেয়ার করুন