এবারও কী ত্রানকর্তার ভুমিকায় মুশফিক লিটন? আজ টেষ্টের পঞ্চম বা শেষ দিনে মুশফিক লিটন যদি সফল হন তাহলে বাংলাদেশ হাসবে, ব্যার্থ হওয়ার অর্থ দুশ্চিন্তা। পরাজয়ের শঙ্কা। মিরপুর টেষ্টে হারের শঙ্কা। সিরিজ হারের দুশ্চিন্তা। এমন এক সমীকরনে এখণ টিম বাংলাদেশ। ব
বাংলাদেশের টপ অর্ডার আবারও ব্যার্থ পুরাপুরি। প্রথম ইনিংসে টসে জিতে ব্যাটিং করতে নেমে না হয়, ময়েশ্চার-টয়েশ্চার বা আলগা ঘাস এগুলো বলে পার হওয়া গিয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসেও যদি সেই একই চিত্র হয়, তাকে তো ব্যার্থতা, চরম ব্যার্থতা বলতে হবে টপ অর্ডারকে। নিজ মাঠে এমন ব্যাটিং? শ্রীলঙ্কাই তো। অস্ট্রেলিয়া বা নিউজিল্যান্ড,পাকিস্তান,ইংল্যান্ডের বোলিং নয়। তাহলে এতটা ব্যার্থ কেন বাংলাদেশের টপ অর্ডার।
প্রথম ইনিংসে ২৪ রানে পাচ উইকেট হারানোর পর ম্যাচটা আর হাতেই থাকার কথা ছিলনা। সে ইনিংসে মুশফিক-লিটন দাসের ২৭২ রানের দুর্দান্ত পার্টনারশীপটা বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরায়। এরপর শ্রীলঙ্কা ব্যাটিংয়ে নেমে যে পারফরমেন্স দেখিয়েছে, মনে হচ্ছিল এটা মিরপুর নয়। খেলছে তারা সিংহলিজ স্পোর্টস গ্রাউন্ডে নতুবা গল এ। বাংলাদেশ অনেক কষ্টে যেখানে করলো ৩৬৫ রান। সেখানে শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংসে করেছে ৫০৬। শ্রীলঙ্কারও দুই ব্যাটসম্যান সেঞ্চুরী করেন, বাংলাদেশের মুশফিক ও লিটনের মতই। অ্যাঞ্চেলো ম্যাথুস করেন অপরাজিত ১৪৫ ও দিনেশ চান্দিমাল ১২৪।
এতে প্রথম ইনিংসে লীড নেয় শ্রীলঙ্কা। যা দ্বিতীয় ইনিংস খেলতে নেমে আবারও প্রচন্ড চাপের কারন হয়ে যায়। হারিয়ে ফেলে মুহুর্তেই চার উইকেট। এবার ২৩ রানে ওই চার উইকেটের পতন। তামিম ইকবাল, মাহমুদুল হাসান জয়, অধিনায়ক মুমিনুল হক ও নাজমুল হোসাইন শান্ত। ক্রিজে যথারীতি সেই মুশফিক ও লিটন। দিন শেষে ৩৪/৪।
আজ ১০৭ রান পিছিয়ে থেকে খেলা শুরু করবে ওই দুই ব্যাটসম্যান। অর্থাৎ যে হারে উইকেট যাচ্ছে তাতে ইনিংস পরাজয় এড়ানোই প্রধান টার্গেট এখন বাংলাদেশের। এরপর ড্র এর চেষ্টা। শ্রীলঙ্কা চমৎকার ব্যাটিং করে অন্তত সিরিজ হারের শঙ্কা মুক্ত। এখন আজ তারা আপ্রান চেষ্টায় নামবে বাংলাদেশকে কিভাবে দ্রুত অলআউট করে ম্যাচটাতে জেতা যায়। এ প্রেসারটা কিভাবে সামলাবেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা সেটাই এখন দেখার বিষয়। মুশফিক ১৪ ও লিটন ১ রান নিয়ে ক্রিজে।
এ ইনিংসে প্রাপ্তি সাকিবের পাচ উইকেট লাভ। টেস্টে এ নিয়ে ১৯ বার ইনিংসে ৫ উইকেট নিলেন সাকিব। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে যা সর্বোচ্চ। ১০ বার ৫ উইকেট নিয়ে দুইয়ে তাইজুল ইসলাম। ৮ বার নিয়ে তিনে মেহেদী হাসান মিরাজ।