২৮ মার্চ ২০১২, বৃহস্পতিবার, ০৮:৩৯:১৭ অপরাহ্ন


সাংবাদিকদের সাথে সাফল্য এবং প্রত্যাশার কথা তুলে ধরলেন খলিল
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১১-০৫-২০২২
সাংবাদিকদের সাথে সাফল্য এবং প্রত্যাশার কথা তুলে ধরলেন খলিল মোহাম্মদ খলিলুর রহমান ও বিভিন্ন মিডিয়ার প্রতিনিধিবৃন্দ


মোহাম্মদ খলিলুর রহমান বাংলাদেশী কম্যুনিটিতে অত্যন্ত পরিচিত মুখ। বিশেষ করে একজন সফল ব্যবসায়ী হিসাবে। তার সবগুলো ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশী অধ্যুষিত ব্রঙ্কসে। তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ব্রঙ্কসে হলেও খাবারের সুনাম পুরো নিউইয়র্কসহ তার আশেপাশের স্টেটগুলোতে। মাত্র চার বছর আগে শুরু করেছিলেন খলিল বিরিয়ানী। এই চার বছরের মধ্যেই তিনি পেয়েছেন ব্যাপক সাফল্য। তবে এই সাফল্য মোটেও সহজ ছিলো না। এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে সততা, কঠোর পরিশ্রম এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাবার পরিবেশন। নিজেই শেফ আর তার নামেই করেছেন প্রতিষ্ঠানগুলো। যা সাধারণত আমাদের কম্যুনিটিতে দেখা যায় না। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশী কম্যুনিটিতে খলিল একটি ব্যান্ড নেমে পরিণত হয়েছে। বিশ্বাস এবং আস্থার প্রতিষ্ঠান হিসাবে মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। সেই মোহাম্মদ খলিলুর রহমান গত ৯ মে সন্ধ্যায় ব্রঙ্কসে তারই প্রতিষ্ঠানে নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত এবং প্রচারিত মিডিয়া প্রতিনিধিদের সাথে এক ব্যাতিক্রমী অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এই আয়োজনে ছিলো সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় এবং তাদের সম্মানে নৈশভোজ।

সাংবাদিক শামীম আল আমিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক হাবিব রহমান। এরপরই মোহাম্মদ খলিলুর রহমান সাংবাদিকদের স্বাগত জানিয়ে তার সাফল্য এবং আগামীর প্রত্যাশার গল্প উপস্থাপন করেন। খলিলুর রহমান বলেন, আমি ২০০৮ সালে আমেরিকায় আসি। আমেরিকায় এসে জ্যামাইকার একটি রেস্টুরেন্টে শেফ হিসাবে কাজ করেন। আরো কিছু প্রতিষ্ঠানে কাজ করি, সেই সাথে লেখাপড়া। তিনি বলেন, আমি চার বছর আগে আমার প্রথম প্রতিষ্ঠান খলিল বিরিয়ানী দিয়ে ব্যবসা শুরু করি। এই চার বছরে আমি চারটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করি। আমি চেষ্টা করছি এক টুকরো বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায়। আমার চারটি প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৬৫ জন কর্মচারি কাজ করছেন। সাপ্তাহিক পে রোল রয়েছে প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার ডলার। তিনি আরো বলেন, আমি আপনাদের পেয়ে ধন্য। তিনি অকপটে স্বীকার করেন যে, আমার এই সাফল্যের পেছনে মিডিয়ার ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। সে জন্য তিনি মিডিয়া প্রতিনিধিদের ধন্যবাদ জানান। তিনি আরো বলেন, শুধু নিউইয়র্কে নয় আমেরিকার অন্যান্য স্টেটেও খলিলের শাখা করতে চাই। সেই সাথে বাংলাদেশী খাদ্য যেন মূলধারায় তুলে ধরতে পারি সেই জন্য আপনাদের সহযোগিতা চাই। তিনি বলেন, আমাদের ক্রেতাদের মধ্যে ৩০ থেকে ৪০% বিদেশী রয়েছে। এ ছাড়াও নিউইয়র্কের বেশ কয়েকটি স্কুলে আমরা ক্যাটারিং করছি। সাংবাদিকেদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার পরিবারের প্রতিটি সদস্য আমাকে সহযোগিতা করছে। এমন কি আমার ছেলে তার মেজর পরিবর্তন করেছে শুধুমাত্র বাবার ব্যবসার হাল ধরার জন্য। আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের কম্যুনিটিতে অনেকেই শেফ পরিচয় দিতে কুণ্ঠাবোধ করেন। আর আমি গর্ববোধ করি, যে কারণে আমি প্রতিষ্ঠানের নামই দিয়েছি আমার নামে। তিনি বলেন, সাফল্যের জন্য প্রয়োজন সততা, পরিশ্রম, ফ্রেশ এবং স্বাস্থ্যসম্মত খাবার। এ ছাড়াও তিনি জানান, খলিল ফুড ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে তিনি নতুন আসা লোকজনকে ট্রেনিং দিয়ে কাজ করার উপযুক্ত করে তোলেন।

অনুষ্ঠানে নিউইয়র্কের প্রায় প্রতিটি মিডিয়ার প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। তাকে লাল গোলাপ দিয়ে ফুলেল অভিনন্দন জানানো হয়। মিডিয়া প্রতিনিধিরা খলিলুর রহমানকে এই ধরনের অনুষ্ঠান করার জন্য ধন্যবাদ জানান এবং প্রেসিডেন্টশিয়াল অ্যাওয়ার্ড পাওয়ার জন্য তাকে অভিনন্দন জানান।

শেয়ার করুন