০৬ মে ২০১২, সোমবার, ০৩:২৮:১৮ পূর্বাহ্ন


প্রেসিডেন্ট পদে আতিক-সেলিম-আহবাব ও সেক্রেটারি পদে সাইদ-বদিউল ও ফয়েজ জয়ী
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৪-০৪-২০২৪
প্রেসিডেন্ট পদে আতিক-সেলিম-আহবাব ও সেক্রেটারি পদে সাইদ-বদিউল ও ফয়েজ জয়ী


প্রায় ১৯ মাস দায়িত্ব পালন করেছিলেন। কেন্দ্র থেকেই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল নিউইয়র্ক বিএনপির তিনটি কমিটিকে। এই তিনটি কমিটি হলো নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপি, নিউইয়র্ক মহানগর দক্ষিণ বিএনপি এবং নিউইয়র্ক মহানগর উত্তর বিএনপি। এই তিনটি কমিটির নেতৃত্বে ঠিকঠাক মতোই আন্দোলন-সংগ্রাম চলছিল। হঠাৎ করেই বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও দক্ষিণ আমেরিকার দায়ত্বিপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওহি নাজিল করলেন, এই তিন কমিটির সুপার পাঁচ পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতার নির্দেশ অমান্য করে সেই ক্ষমতা কার! সেই নির্দেশ অনুযায়ীই তিন কমিটির নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করে। প্রার্থীরাও মনোনয়নপত্র ক্রয় করে এবং নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেন। তিনটি কমিটির নির্বাচন গত ২১ এপ্রিল উৎসবমুখর, শান্তি এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে নিউইয়র্কের তিনটি স্থানে অনুষ্ঠিত হয়। তিন নির্বাচন কমিশনই দৃঢ়তার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে একটি সুন্দর, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেন। নির্বাচন মানেই পরীক্ষা এবং বেচাকেনার হাট। তারপরও নির্বাচনে যোগ্য প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। কেন্দ্র থেকে আহ্বায়ক এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে যাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তারা তাদের যোগ্যতার প্রমাণ রেখেছেন। যদিও আহ্বায়ক কমিটির ৪১ জন সদস্যই ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। সোজা কথা তারাই প্রার্থী, তারাই ভোটার। আবার যারা সুপার ফাইভ নির্বাচিত হবেন, তারাই বাকি পদগুলো ওই ৪১ জনের মধ্যে পূরণ করবেন। সেখানে কেন্দ্রের নির্দেশনাও থাকতে পারে। নির্বাচনের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে কোনো কোনো প্রার্থীর পক্ষ থেকে বেশ কিছু দাবিনামাও দেওয়া হয় নির্বাচন কমিশনকে। তিনটি কমিটির প্রধান নির্বাচন কমিশনারবৃন্দ সেটার সুন্দর সমাধান দেন এবং সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে সক্ষম হন। সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে নিউইয়র্ক স্টেট ও নিউইয়র্ক মহানগর দক্ষিণ বিএনপির নির্বাচন অনেকটা সহজ সমীকরণে অনুষ্ঠিত হলেও নিউইয়র্ক মহানগর উত্তর বিএনপির নির্বাচনে কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। তিনটি কমিটিতে পাঁচ পদে ৩৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তিনটি কেন্দ্রেই প্রার্থী, ভোটার এবং তাদের সমর্থকদের উপস্থিতিতে ছিল উৎসবমুখর পরিবেশ। উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আলহাজ আব্দুল লতিফ সম্রাট, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য গিয়াস আহমেদ, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান মিল্টন ভূইয়া। আরো উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি আলহাজ বাবর উদ্দিন, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এম বাতিন, বিএনপি নেতা এবাদ চৌধুরী, বিএনপি নেতা বেলাল চৌধুরী, স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মাকসুদুল হক চৌধুরী, যুবদল নেতা মিজানুর রহমান মিজান, গোলাম হোসেন প্রমুখ।

এই নির্বাচনে দেশ পত্রিকার রিপোর্টের সত্যতা মিলেছে। যোগ্য প্রার্থীরাই বিজয়ী হয়েছেন। স্টেট বিএনপির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক মোহাম্মদ অলিউল্যাহ আতিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব সাইদুর রহমান। নিউইয়র্ক মহানগর দক্ষিণের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব বদিউল আলম। নিউইয়র্ক মহানগর উত্তরের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান কমিটির আহ্বায়ক আহবাব চৌধুরী খোকন এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব ফয়েজ চৌধুরী। এই ছয় নেতা তাদের যোগ্য নেতৃত্বে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। তারা প্রমাণ করেছেন কেন্দ্রের চয়েস ভুল ছিল না। কেন্দ্র সঠিক এবং যোগ্য লোকের হাতেই নেতৃত্ব দিয়েছিল। আবার ভোটাররাও ভোট দিয়ে তাদের যোগ্য নেতৃত্ব বেচে নিয়েছে। নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, ইতিমধ্যেই তারা কেন্দ্রে বেসরকারি ফলাফল পাঠিয়েদিয়েছেন। কেন্দ্র থেকেই চূড়ান্ত ফলাফল অনুমোদন করে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।

নিউইয়র্কের লাগোয়ার্ডিয়া প্লাজা হোটেলের বলরুমে নিউইয়র্ক স্টেট কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গ্রহণ শুরু হয় দুপুর ১২টায় এবং শেষ হয় বিকালে ৪টা ৩০ মিনিটে। ৪১ জন ভোটারের মধ্যে ৩৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ভোট গ্রহণ শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাওছার আহমেদ নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের সদস্য আমিনুল ইসলাম চৌধুরী, নীরা রাব্বানী এবং মাহবুবুর রহমান মুকুল। উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আলহাজ আব্দুল লতিফ সম্রাট, গিয়াস আহমেদ, সব প্রার্থী, ভোটার এবং তাদের সমর্থকরা। নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণার পূর্বে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাওছার আহমেদ সব প্রার্থী এবং ভোটারকে ধন্যবাদ জানান, একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে সহযোগিতার জন্য। তিনি কমিশনের সদস্যদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, সবার সম্মিলিত সহযোগিতার কারণেই আমরা একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে পেরেছি। তিনি জয়ী এবং পরাজিত প্রার্থী সবাইকে মিলেমিশে দলের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনর করার আহ্বান জানান।

বেসরকারি ফলাফলে সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন মোহাম্মত আলউল্লাহ আতিকুর রহমান। তার প্রাপ্ত ভোট ২৭। তার প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াজ মাহমুদ পেয়েছেন ৬ ভোট এবং আনোয়ার হোসেন পেয়েছেন মাত্র ৫ ভোট। সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছেন জসীম উদ্দিন ভিপি। তার প্রাপ্ত ভোট ২৮। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী শহিদুল ইসলাম শিকদার পেয়েছেন ১০ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন সাইদুর রহমান সাইদ। তার প্রাপ্ত ভোট ২৭। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী মোতাহার হোসেন পেয়েছেন ১০ ভোট। সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে ২৯ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ আরিফুর রহমান। তার প্রতিদ্বন্দ্বী হাবিবুর রহমান পেয়েছেন মাত্র ৮ ভোট। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ২৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ রইচ উদ্দিন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জিয়াউল হক মিলন পেয়েছেন ১২ ভোট।

যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক নেতৃবৃন্দের ফুলেল শুভেচ্ছা 

২১ এপ্রিল রবিবার নিউইয়র্ক লাগোর্ডিয়া প্লাজা হোটেলে অনুষ্ঠিত নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সম্মেলনে কাউন্সিলারদের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত সভাপতি মাওলানা ওলি উল্ল্যাহ মোহাম্মদ আতিকুর রহমান, সিনিয়র সহসভাপতি জসিমউদ্দিন ভিপি, সাধারণ সম্পাদক মো: সাইদুর রহমান সাইদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক রইচ উদ্দিনকে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা কামাল পাশা বাবুল ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো: আনোয়ারুল ইসলাম আনোয়ার যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি পরিবারের পক্ষ থেকে নির্বাচিত সদস্যদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

এসময় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক এই দুই সিনিয়র নেতা ও উপস্থিত নেতৃবৃন্দ সম্মেলনের মাধ্যমে নির্বাচিত নিউইয়র্ক সিটি বিএনপির উত্তর ও দক্ষিণের বিজয়ী কর্মকর্তাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

নিউইয়র্ক মহানগর দক্ষিণ বিএনপি

নিউইয়র্ক মহানগর দক্ষিণ বিএনপির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় লং আইল্যান্ডের ফাইভ স্টার ব্যাঙ্কুয়েট হলে। ভোট গ্রহণ শুরু হয় দুপুর ১২টায় এবং শেষ হয় বিকালে ৪টায়। ৪১ জন ভোটারের মধ্যে ৩৯ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ভোট গ্রহণ শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এমলাক হোসেন ফয়সল নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের সদস্য আরিফ চৌধুরী, মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন এবং জোহারা বেগম। উপস্থিত ছিলেন সব প্রার্থী, ভোটার এবং তাদের সমর্থকরা। নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণার পূর্বে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এমলাক হোসেন ফয়সল সব প্রার্থী এবং ভোটারকে ধন্যবাদ জানান, একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে সহযোগিতার জন্য। তিনি কমিশনের সদস্যদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, সবার সম্মিলিত সহযোগিতার কারণেই আমরা একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে পেরেছি। তিনি জয়ী এবং পরাজিত প্রার্থী সবাইকে মিলেমিশে দলের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করার আহ্বান জানান।

নিউইয়র্ক মহানগর দক্ষিণের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন হাবিবুর রহমান সেলিম রেজা। তার প্রাপ্ত ভোট ২৮। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ খলকুর রহমান পেয়েছেন ১১ ভোট। সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন ২৩ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী মোহাম্মদ রিপন মিয়া পেয়েছেন ১৬ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে মোহাম্মদ বদিউল আলম ২৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছাইদুর খান ডিউক পেয়েছেন ১৩ ভোট। সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে ২৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান হোসাইন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী জিয়াউল হক মিশন পেয়েছেন ১৪ ভোট। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আলমগীর হোসেন মৃদা ২৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী নূরে আলম পেয়েছেন ১৪ ভোট।

নিউইয়র্ক মহানগর উত্তর

নিউইয়র্ক মহানগর উত্তর বিএনপির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় লাগোয়ার্ডিয়া মেরিয়ট হোটেলের বলরুমে। দুপুর ১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোট গ্রহণ এবং গণনা শেষে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. মোহাম্মদ নূরুল আমিন পলাশ নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণা করেন। এ সময় নির্বাচন কমিশনের সদস্য জাফর তালুকদার, মোহাম্মদ বাচ্চু মিয়া এবং এ আর মাহবুবুল হক, সব প্রার্থী, ভোটার এবং তাদের সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন। নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল ঘোষণার পূর্বে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ড. নূরুল আমিন পলাশ সব প্রার্থী এবং ভোটারকে ধন্যবাদ জানান, একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনে সহযোগিতার জন্য। তিনি কমিশনের সদস্যদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, সবার সম্মিলিত সহযোগিতার কারণেই আমরা একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে পেরেছি। তিনি জয়ী এবং পরাজিত প্রার্থী সবাইকে মিলেমিশে দলের স্বার্থে ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনর করার আহ্বান জানান।

উত্তরের নির্বাচনে ৪১ জন ভোটারের মধ্যে ৩৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। নির্বাচনে পঁচটি পদে ১২ জন প্রার্থী ছিলেন। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই নির্বাচনে সভাপতি পদে আহবাব চৌধুরী খোকন ২১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ইমরান শাহ রন পেয়েছেন ১৭ ভোট।

সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে কাজী আমিনুল ইসলাম স্বপন ১৫ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী রেদওয়ানা রাজ্জাক ১২ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন। ১১ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন এম জাহাঙ্গীর হাসাইন। সাধারণ সম্পাদক পদে ফয়েজ আহমেদ চৌধুরী ১৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কামরুল হাসান ১৩ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হয়েছেন। সৈয়দ গৌছুল হোসেন ৮ ভোট পেয়ে তৃতীয় হয়েছেন। সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে আনোয়ার জাহিদ ২৩ ভোট জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. সোলায়মান ১৫ ভোট পেয়েছেন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মোহাম্মদ শাহীন চৌধুরী ২৮ ভোট পেয়ে জয়লাভ করেছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী

মো. আনোয়ারুল আলম ভুইয়া ১০ ভোট পেয়েছেন।

নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে তিন কমিটির প্রার্থীদের সমর্থকরা উল্লাস প্রকাশ করেন। ফলফল ঘোষণার পর তিন কমিটির প্রার্থী, ভোটার এবং সমর্থকরা জ্যাকসন হাইটসে চলে আসেন। সেখানে মিষ্টি বিতরণ করা হয় এবং জয়ী প্রার্থীদের ফুলেল অভিনন্দন জানানো হয়।

নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান মোতাহার হোসেনের

নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য স্টেট বিএনপির (কাউন্সিল) নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মোহাম্মদ মোতাহার হোসেন। তিনি বলেন, এই নির্বাচনে কোনো আচরণবিধি ছিল না এবং ফলাফল ছিল পাতানো। এই পাতানো ফলাফল আমি প্রত্যাখ্যান করলাম। গত ২১ এপ্রিল রোববার নিউইয়র্কের লাগোয়ার্ডিয়া প্লাজা হোটেলে দুপুর ১২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির (কাউন্সিল) নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকনের পূর্বপরিকল্পিত, নীলনকশা বাস্তবায়ন হয়েছে বলে উল্লেখ করেন। 

সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী মোতাহার জানান, বারবার চাওয়া সত্ত্বেও নির্বাচনের কোনো আচরণবিধি দেখাতে পারেনি। এ নির্বাচনে কোনো প্যানেল থাকার কথা ছিল না, কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন খোকন তার নিজ এলাকার লোক দিয়ে প্যানেল তৈরি করে তাদের পক্ষে লন্ডন থেকেই গণসংযোগসহ সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেছেন। ভোটের কয়েকদিন আগে থেকেই তিনি সরাসরি ভোটারদের ফোন করে নানা প্রলোভন দেখিয়ে বিভ্রান্ত করেন। আগে থেকেই তিনি তার নিজ জেলা-এলাকার প্রার্থীদের জেতানোর জন্য ভোটার ও নির্বাচন কমিশনারদের চাপ সৃষ্টি করেন। এ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনাররা সুকৌশলে তার পূর্বপরিকল্পিত নীলনকশা বাস্তবায়ন করেছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

মোতাহার বলেন, আনোয়ার হোসেন খোকন দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য অঙ্গরাজ্যগুলোতে বিতর্কিত কমিটি প্রদান করে সুসংগঠিত বিএনপি কর্মীদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি করেছেন। ফলে দিন দিন বিভক্ত হয়ে পড়েছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। তার এ ধরনের কর্মাকান্ডে নেতৃত্ব শূন্য হয়ে পড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কসহ বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের বিএনপি। তার বিতর্কিত কর্মকাণ্ড বন্ধে জরুরিভিত্তিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাসহ দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

শেয়ার করুন