২৯ মার্চ ২০১২, শুক্রবার, ০৭:২০:২৯ অপরাহ্ন


পাহাড়ী ঢলে তলিয়ে যাচ্ছে সব
সিলেটে ভয়াভহ রুপ নিচ্ছে পানি, উদ্ধারে সেনাবাহিনী
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৭-০৬-২০২২
সিলেটে ভয়াভহ রুপ নিচ্ছে পানি, উদ্ধারে সেনাবাহিনী গ্রামগঞ্জ তো দুরে থাক। শহরও প্লাবিত। পানির নীচে চলে যাচ্ছে সব, উদ্ধার তৎপরতায় সেনাবাহিনী /ছবি সংগৃহীত


বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে আবারও শুরু হয়েছে বন্যা। উজান থেকে আসা পাহাড়ী ঢলে তলিয়ে গেছে সিলেট নগরের ২০ - ৩০টি এলাকা। এ ছাড়াও জেলার কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, জৈন্তাপুর, কানাইঘাট,জকিগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জ, বিশ্বনাথ ও সিলেট সদর উপজেলার অন্তত ১ হাজারেরও বেশী গ্রাম এরই মধ্যে বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়েছে।

এছাড়া সুনামগঞ্জ জেলারও প্রায় এক হাজারের উপরে গ্রাম এখন পানির নিচে বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে। সুনামগঞ্জের ছাতক এবং দোয়ারা বাজার উপজেলা দুটির পুরোপুরি পানিতে তলিয়েছে। পরিস্থিতি ভয়াবহ রুপ নিয়েছে। সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে শুকনো জায়গা খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে।


মুলত পাহাড়ী ঢল আর ভারী বর্ষন সিলেট সুনামগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। এর আগেও এমন পরিস্থিতি তৈরী হয়েছিল। ওই অবস্থা কাটিয়ে উঠতে না উঠতে মাত্র এক মাসের মাথায় আবারো পানিতে ভাসছে এ দুটি জেলা। দুই জেলার নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।তীর উপচে নতুন করে হাজার হাজার বাড়িঘরে নদীর পানি ঢুকছে। সড়ক তলিয়ে যাচ্ছে মুহুর্তে। পাকা রাস্তার উপর পানি প্রবাহিত হচ্ছে তীব্র গতিতে। এতে অন্তত ১০ লাখেরও বেশী মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে। দূর্গত এলাকায় প্রয়োজনীয় খাদ্য ও উদ্ধার তৎপরতা না থাকায় মানবিক বিপর্যয়ের শঙ্কা দেখা দিয়েছে।


রাস্তার অস্থিত্ব খুজে পাওয়া যাচ্ছেনা। সেখানে দখল নিয়েছে পানি/ছবি সংগৃহীত 


এদিকে সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের গোবিন্দগঞ্জ-দিঘলী এলাকা প্লাবিত হওয়ায় সুনামগঞ্জের সাথে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। ইতিমধ্যে উদ্ধার কাজের জন্য সেনাবাহিনী তলব করা হয়েছে। জানা গেছে ইতিমধ্যে তারা কাজ শুরু করে দিয়েছেন। 


স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেট কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলার প্রধান দুই নদী সুরমা ও কুশিয়ারার বিভিন্ন পয়েন্টে অস্বাভাবিক হারে পানি বেড়েছে। সুরমা নদী কানাইঘাট ও সিলেট পয়েন্টে,  বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা নদী ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে  বিপদসীমার উপরে এবং সারি নদের সারিঘাট পয়েন্টে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর বাইরে জেলার ছোট ছোট অন্যান্য নদীর পানিও ক্রমশ বেড়ে বিপদসীমা অতিক্রম করছে।


শেয়ার করুন