২৮ এপ্রিল ২০১২, রবিবার, ০৬:৩১:০৪ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
‘শেরে বাংলা আপাদমস্তক একজন পারফেক্ট বাঙালি ছিলেন’ বিএনপির বহিস্কৃতদের জন্য সুখবর! মে দিবসে নয়পল্টনে বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেয়ার জের, বিএনপির বহিস্কার ৭৬ থাইল্যান্ডের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বান ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়


আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণে সীমিত পদক্ষেপে সিনেটরদের সমঝোতা
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-০৬-২০২২
আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণে সীমিত পদক্ষেপে সিনেটরদের সমঝোতা অস্ত্র আইন নিয়ন্ত্রণে বিক্ষোভ


আগ্নেয়াস্ত্র নিরাপত্তা-সংক্রান্ত সম্ভাব্য আইনের রূপরেখার বিষয়ে একমত হয়েছেন মার্কিন সিনেটরদের একটি অংশ। তাঁদের মধ্যে উভয় দলের সিনেটর রয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক নির্বিচারে গুলিতে হতাহত হওয়ার ঘটনায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার প্রেক্ষাপটে মার্কিন সিনেটের উভয় দলের সদস্যদের একটি অংশের মধ্যে এমন সমঝোতা হলো। সমঝোতার অংশ হিসেবে ২১ বছরের কম বয়সী অস্ত্র ক্রেতাদের ক্ষেত্রে কঠোর যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় সিনেটরদের সমর্থন থাকবে। অবৈধ অস্ত্র ক্রয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়েও সিনেটরদের সমর্থন থাকবে।

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- প্রস্তাবটিতে ১০ জন রিপাবলিকান সিনেটরের সমর্থন আছে। যার অর্থ, প্রস্তাবটি আইন হিসেবে পাস করার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট এখন রয়েছে। মার্কিন কংগ্রেসের উচ্চক সিনেট। ১০০ সদস্যের সিনেটে এখন ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকানদের সংখ্যা সমান। সিনেটে কোনো আইন পাসে ৬০টি ভোটের প্রয়োজন হয়। যুক্তরাষ্ট্রে এর আগে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইন প্রণয়নের উদ্যোগ কংগ্রেসে প্রয়োজনীয় সমর্থন পেতে ব্যর্থ হয়েছিল। 

দুদলের সিনেটরদের নেয়া উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি বলেছেন, পরিকল্পনাটি সঠিক পথে অগ্রসর হওয়ার পদপে। তবে বাইডেন যেসব পদপে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন, তার অনেক কিছুই এই পরিকল্পনায় নেই। সাম্প্রতিক দুটি নির্বিচারে গুলির ঘটনার প্রোপটে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইন প্রণয়নের দাবিতে গত ১১ জুন যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে হাজারো মানুষ বিােভ করেন। সমঝোতায় আসা সিনেটররা এক বিবৃতিতে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের শিশুদের সুরা, স্কুলগুলোকে নিরাপদ রাখা ও দেশজুড়ে সহিংসতার হুমকি কমাতে আজ তাঁরা যৌক্তিক অবস্থানে পৌঁছার একটি দ্বিদলীয় প্রস্তাব ঘোষণা দিচ্ছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, মার্কিন পরিবারগুলো ভীতসন্ত্রস্ত। এ অবস্থায় সমঝোতায় আসা, কিছু একটা করা তাঁদের দায়িত্ব, যা পরিবারগুলোর মধ্যে নিরাপত্তাবোধ ফিরিয়ে আনবে। সমাজে নিরাপত্তা ফেরাবে। মানসিক স্বাস্থ্য পরিষেবা ও স্কুলের নিরাপত্তা সরঞ্জামে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন এই সিনেটররা।

প্রস্তাবটি দ্রুত পাস করতে আইনপ্রণেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। তবে তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, যেমনটা তিনি চেয়েছিলেন, প্রস্তাবটি সেভাবে করা হয়নি।

আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বড় ধরনের সংস্কার আনার পক্ষে তার মধ্যে অ্যাসল্ট রাইফেল নিষিদ্ধ করা অন্যতম। এ ধরনের অস্ত্র টেক্সাস ও বাফেলোতে নির্বিচার গুলিবর্ষণের ঘটনায় ব্যবহার করা হয়েছিল। অথবা অন্তত অস্ত্র কেনার বয়সসীমা বাড়ানোর পক্ষে বাইডেন।

এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, স্পষ্টতই এখানে সবকিছু আসেনি, যা তিনি প্রয়োজন মনে করেছিলেন। তবে সঠিক পথে এগোনোর গুরুত্বপূর্ণ পদপে এই প্রস্তাবে প্রতিফলিত হয়েছে। এটি কংগ্রেসে পাস হলে তা হবে কয়েক দশকের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আগ্নেয়াস্ত্র নিরাপত্তা আইন।

সিনেটে ডেমোক্রেট দলীয় নেতা চাক শুমার বলেন, প্রথম পদপে হিসেবে পরিকল্পনাটি ভালো। আইনের বিস্তারিত প্রস্তুত হলে তিনি সিনেটে ভোটাভুটির জন্য একটি বিল দ্রুত উত্থাপন করতে চান। সিনেটে রিপাবলিকান দলীয় নেতা মিচ ম্যাককনেল বলেন, এই পদক্ষেপ সংলাপ ও সহযোগিতার মূল্যবোধ সামনে এসেছে। সমঝোতার খবরকে স্বাগত জানিয়েছেন কয়েকজন আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আন্দোলনকর্মী।

২০১৮ সালে ফোরিডার পার্কল্যান্ড স্কুলে বন্দুক হামলা থেকে বেঁচে যান ডেভিড হগ। আগ্নেয়াস্ত্র সহিংসতা প্রতিরোধে গঠিত ছাত্র আন্দোলন ‘মার্চ ফর আওয়ার লাইভস’-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা তিনি। পার্কল্যান্ডের স্কুলে ওই হামলায় ১৭ জন নিহত হন। এক টুইটে হগ বলেন, এটি প্রথম পদক্ষেপ। তিনি যা ভেবেছিলেন, তার চেয়ে এটা আসলেই বেশি কিছু। ছোট হলেও এই পদক্ষেপের মূল্য আছে।

গত ২৪ মে টেক্সাসের একটি স্কুলে নির্বিচার বন্দুক হামলায় ১৯ শিশুসহ ২১ জন নিহত হন। এর কয়েক দিন আগে নিউইয়র্কের বাফেলোয় একটি সুপারমার্কেটে অপর এক বন্দুক হামলায় ১০ জন নিহত হন। এরপরই যুক্তরাষ্ট্রে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের দাবি নতুন করে গতি পায়।

শেয়ার করুন