২০ এপ্রিল ২০১২, শনিবার, ০১:২৬:৫৬ পূর্বাহ্ন


যে কোনো দল করতে পারেন শুধু মনে রাখবেন দেশটা সবার : রথীন্দ্রনাথ রায়
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-০৪-২০২২
যে কোনো দল করতে পারেন শুধু মনে রাখবেন দেশটা সবার : রথীন্দ্রনাথ রায় ক্রেস্ট গ্রহণ করছেন রথীন্দ্রনাথ রায়


আপনি আওয়ামী লীগ করেন, বিএনপি করেন, জাতীয় পার্টি অথবা জামাত করেন তাতে কোনো অসুবিধা নেই। এমন কিছু করবেন না, যাতে রাষ্ট্রের ক্ষতি হয়। কারণ সবাইকে মনে রাখতে হবে দেশটা আমাদের সবার। গত ২৬ মার্চ শোটাইম মিউজিক আয়োজিত জ্যাকসন হাইটসের জুইস সেন্টারে অনুষ্ঠিত স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে একুশে পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী রথীন্দ্রনাথ এসব কথা বলেন। শোটাইম মিউজিকের প্রেসিডেন্ট আলমগীর খান আলমের সভাপতিত্বে এবং শিল্পী সেলিম ইব্রাহিমের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে দুই শিল্পী এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা রথীন্দ্রনাথ রায় এবং শহীদ হাসান ও ডা. চৌধুরী সরওয়ারুল হাসানকে বিশেষ সম্মাননা জানানো হয়। তাদের হাতে সম্মাননা তুলে দেন অনুষ্ঠানের অতিথি বাংলা সিডিপ্যাপের প্রেসিডেন্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু জাফর মাহমুদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট চিকিত্সক ডা. চৌধুরী সরওয়ারুল হাসান। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন গোল্ডেন এজ হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট এবং ডিস্ট্রিক্ট ২৪-এ থেকে ডিস্ট্রিক্ট লিডার পদে প্রতিদ্ব›দ্বী শাহ নেওয়াজ, ইমিগ্র্যান্ড এল্ডার হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট গিয়াস আহমেদ, লায়ন্স কাবের প্রেসিডেন্ট আহসান হাবিব, এএআরসি হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট মাকসুদুল হক চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মশিউর রহমান, বিশিষ্ট সাংবাদিক মাইন উদ্দীন আহমেদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নূরুল আজিম, মূলধারার রাজনীতিবিদ আলবার্ট, বিশিষ্ট শিল্পী শাহ মাহবুব, যুক্তরাষ্ট্র জাতীয় পার্টির সভাপতি হাজী আব্দুর রহমান প্রমুখ।

শিল্পী রথীন্দ্রনাথ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে বলেন, আমরা যারা প্রবাসে থাকি দেশের প্রতি তাদের দায়িত্ব বেশি। আমাদের বুঝতে হবে আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক। আমরা এমন কিছু করবো না যাতে আমাদের দেশের মুখে চুন-কালি না পড়ে। আমরা দেশকে ভালোবাসবো এবং এগিয়ে নিয়ে যাবো। তিনি আরো বলেন, ২২ বছর বয়সে আমি যুদ্ধে গিয়েছি। আমি মনে করি যুদ্ধে প্রতিটি দলের কন্টিভিউশন রয়েছে। এটা কারো একক কৃতিত্ব ছিল না। আওয়ামী লীগ করেন, বিএনপি করেন, জাতীয় পার্টি বা জামায়াত করেন তাতে কোনো অসুবিধা নেই, কিন্তু দেশের ক্ষতি হয় এমন কিছু করবেন না। কারণ মনে রাখতে হবে দেশটা আমাদের সবার।

শহীদ হাসান বলেন, সবচেয়ে বড় কথা হলো আমাদের মনে রাখতে হবে আমরা কোন দেশের নাগরিক। দেশ পরিচালনায় ভুলভ্রান্তি থাকতে পারে, কিন্তু সেগুলো আমাদের বসে সমধান করতে হবে। আর একটা জিনিস আমাদের মনে রাখতে হবে- স্বাধীনতাযুদ্ধে যার যে আবদান তা আমাদের দিতে হবে। একজন বড় করতে গিয়ে আমরা যেন আরেকজনকে ছোট না করি। দেশ স্বাধীনে সবার অংশীদারিত্ব রয়েছে। মনে রাখবেন দেশ থাকলে আমি থাকবো।

আবু জাফর মাহমুদ বলেন, আজকের এই অনুষ্ঠানে আমার উপস্থিতি ভালোবাসার। দেশকে ভালোবাসি বলেই এই অনুষ্ঠানে এসেছি। আমাদের সবার বড় দায়িত্ব হলো দেশকে ভালোবাসা। আমরা দেশকে ভালোবাসলে দেশ এগিয়ে যাবে।

শাহ নেওয়াজ তাকে ভোট দেয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান। সেই সাথে সকল মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন।

গিয়াস আহমেদ বলেন, আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক এটা কিন্তু আজকে আমাদের দেশে কোনো স্বাধীনতা নেই। যে স্বপ্ন নিয়ে বাংলাদেশের মানুষ দেশ স্বাধীন করেছিল সেই স্বাধীনতা আজকে ভ‚লুণ্ঠিত। এর থেকে আমাদের বেরিয়ে আসতে হবে।

মাকসুল হক চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতা কোনো একক দল বা ব্যক্তির কৃতিত্ব নয়। যার যার কৃতিত্ব তাকে দিতে হবে।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে সংগীত পরিবেশন করেন চন্দন চৌধুরী, ত্রিনিয়া হাসান, অনিক রাজ প্রমুখ শিল্পীরা।

শেয়ার করুন