১২ এপ্রিল ২০১২, বুধবার, ১১:৫৭:৪৬ পূর্বাহ্ন


মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস
জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৬-০৩-২০২৩
জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতি  ও প্রধানমন্ত্রী


মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আজ সকালে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে রাষ্ট্রপতি মোঃ আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

রাষ্ট্রপতি প্রথম এরপর প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিসৌধের বেেিদতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর একটি চৌকস দল এ সময় রাষ্ট্রীয় সালাম জানায় এবং বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে।



আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা দলের পক্ষ থেকে তাঁর দলীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধান স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গনে রাখা দর্শনার্থী বইয়েও স্বাক্ষর করেন। এ সময় জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪-দলের নেতৃবৃন্দ এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে জাতীয় সংসদের স্পিকার ও প্রধান বিচারপতি জাতীয় সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

দেশ আজ ৫৩তম স্বাধীনতা দিবস পালন করছে। প্রতি বছর, ২৬ মার্চ ইতিহাসের সবচেয়ে করুণ স্মৃতি নিয়ে আসে ২৫ মার্চের কালোরাত, ১৯৭১ সালের এই রাত থেকে নয় মাসের রক্তক্ষয়ী অগ্নিপরীক্ষার সূচনা হয়েছিল।  

সামরিক বাহিনীর দমন-পীড়নের পরিপ্রেক্ষিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ (২৫ মার্চের পরের রাতে) ধানমন্ডিতে ৩২ নন্বরে তাঁর বাসভবন থেকে তৎকালীন ইপিআর (ইস্ট পাকিস্তান রাইফেলস) ওয়ারলেসের মাধ্যমে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।

দীর্ঘ নয় মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানী দখলদার বাহিনীর হাত থেকে মুক্তি অর্জন করে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে জন্ম লাভ করে।

আজকের এই দিনটি বাঙালি জাতির কাছে অত্যন্ত গৌরবময় ও মূল্যবান।  

 

শেয়ার করুন