২৬ এপ্রিল ২০১২, শুক্রবার, ০৬:৪২:৫৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনা সম্ভব, তবে প্রক্রিয়া জটিল’ খালেদা জিয়ার সঙ্গে মির্জা ফখরুলের ঘন্টাব্যাপী সাক্ষাৎ বিশ্বের প্রতি যুদ্ধকে ‘না’ বলার আহ্বান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠা হয়েছে - হাবিবুল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের প্রতিবেদন অনুমান ও অপ্রমাণিত অভিযোগ নির্ভর- পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয় ইউরোপে ভারতীয় ৫২৭ পণ্যে ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদন শনাক্ত বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে কড়াকড়ি বিএনপির আন্দোলন ঠেকানোই ক্ষমতাসীনদের প্রধান চ্যালেঞ্জ বিএনপিকে মাঠে ফেরাচ্ছে আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন নিয়ে অদৃশ্য চাপে বিএনপি


সরকার সবাইকে বোকা বানাচ্ছেন- ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-০৭-২০২২
সরকার সবাইকে বোকা বানাচ্ছেন-  ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী


বন্যা,খরা ও পরিবেশ বিপর্যয় রোধে সরকারের ব্যর্থতা ও উদাসীনতার প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাব সামনে বিক্ষোভ সমাবেশে গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, সরকার সবাইকে বোকা বানাচ্ছেন। এ সময় তিনি বলেন, সামনে কঠিন পথ। তরুণ প্রজন্মকে সবসময় রাস্তা দখল করে নিজের অধিকার আদায়ে সরকারকে বাধ্য করার পরামর্শ দেন তিনি।


জাফরুল্লাহ চৌধুরী আরও  বলেন, ২৫ জুন হাসি হাসি মুখে প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনলেও ঈদে লাখো পরিবার ভালো খাবার পাবে না, পোশাক পাবে না। সবগুলো সুইচ গেট খুলে দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ করেছে ভারত। কিন্তু শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে কথা বলবেন না শেখ হাসিনা।


গণঅধিকার পরিষদ এর সদস্য সচিব ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুলহক নুর বলেন, ত্রাণের জন্য হাহাকার, খাবারের জন্য হাহাকার, কিন্তু সরকার সেদিকে কর্ণপাত না করে গণমাধ্যমসহ সমস্ত  কিছুকে ব্যস্ত রেখেছে এক পদ্মা সেতু নিয়ে। সরকার পদ্মা সেতু নিয়ে বাড়াবাড়ি, অতিকথন করেছে তাতে জনগণ বিরক্ত। পদ্মা সেতুর উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে ১০ লাখ লোকের সমাগম করার জন্য সরকার গত ২ মাস ধরে প্রচারণা চালাচ্ছে স্কুল, কলেজ সব জায়গায় নির্দেশনা দিয়েছে কিন্ত সেই অনুষ্ঠানে ১ লাখ লোকও উপস্থিত ছিলো না তাতে বুঝা যায় জনগণ এই সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছে।


নুর আরও বলেন সরকার জোর-জবরদস্তি করে ক্ষমতায় আছে, মানুষের ভোটাধিকার নাই, দেশে আইনের শাসন নাই।শুধুমাত্র ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য এই সরকার ভারতের গোলামি করছে। মহানবীর অবমাননাতেও এই সরকার চুপ ছিল। প্রতিটি দলের ব্যানার নিয়ে শেখ হাসিনার পতনের দাবিতে রাস্তায় নামার আহ্বান জানান তিনি। বলেন, আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে ৫৩ নদীর পানির ন্যায্য হিসাব ভারতকে বুঝিয়ে দিতে হবে। 


গণঅধিকার পরিষদ এর যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খাঁন বলেন, সরকারদলীয়রা আজকে নদী, চর বিল দখল করেছে। ঢাকার একজন সংসদ সদস্য মারা গেছেন। তার নাম আসলামুল হক। নদী ও জলাশয়ের ৫৪ একর জায়গা দখল করে তিনি উন্নয়ন প্রজেক্ট শুরু করেছিলেন। এখন কি এই জমি তিনি কবরে নিয়ে গেছেন?


যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান বলেন, এই সরকার বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে।

জাতীয় সংসদে এখন আর জনগণের কল্যাণে কোন আইন তৈরি হয়না, জাতীয় সংসদে এখন গান বাজনা হয়। আমাদের সিলেটের সন্তান দাবি করা পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিলেট সুনামগঞ্জের ৪০ লাখ মানুষকে পানিবন্দী অবস্থায় রেখে ভারতে উড়াল দিলেন, ভারতে গিয়েও নুন্যতম সম্মান পেলেননা।


যুগ্ম আহ্বায়ক আবু হানিফ বলেন,বন্যাকবলিত মানুষের দুঃখ দুর্দশার কথা যেন মানুষ জানতে না পারে, গণমাধ্যমে যেন এসব খবর না আসে, সেজন্য পদ্মা সেতু নিয়ে যেন ধারাবাহিক ভাবে নিউজ করে গণমাধ্যম হাউজ গুলোতে ফরমায়েশ পাঠিয়েছে এই সরকার।একজন তো কেবল পদ্মা সেতুর নাটবল্টু খুলে দিয়েছে জনগণ এই সরকারের নাটবল্টু খুলে দিবে খুব শীঘ্রই।


গণঅধিকার পরিষদ এর যুগ্ম সদস্যসচিব সাইফুল্লাহ হায়দারের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদ যুগ্ম আহ্বায়ক সাদ্দাম হোসেন, শাকিলজ্জামান, শহিদুল ফাহিম, ঝুনু রঞ্জন দাস, ড. আব্দুল মালেক ফরাজী, মেজর (অব.) আমিন আফসারী, যুগ্ম সদস্য সচিব তারেক রহমান, মশিউর রহমান, সহকারি আহ্বায়ক তামান্না ফেরদৌস শিখা, যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আবদুর রহমান, ছাত্র অধিকার পরিষদ এর সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম প্রমুখ। 



শেয়ার করুন