০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০২:০৭:২৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


যৌথ বিবৃতিতে বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনের ২৩ জন প্রতিনিধি
ড্রেজার পরিচালনা ও মেরামতখাতের অনিয়ম তদন্তের দাবি
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০২-১১-২০২২
ড্রেজার পরিচালনা ও মেরামতখাতের অনিয়ম তদন্তের দাবি


নদী খনন ও নিয়মিত পলি অপসারণে ব্যবহৃত ড্রেজারগুলো সংরক্ষণ, পরিচালনা ও মেরামতখাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন পেশার নাগরিকেরা। রাষ্ট্রীয় অর্থের অপব্যবহার ও অপচয় বন্ধে এ খাতের গত তিন বছরের অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য উদঘাটনে একটি স্বাধীন বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। 

আজ বুধবার (২ নভেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে বিভিন্ন নাগরিক সংগঠনের ২৩ জন প্রতিনিধি এ দাবি জানান।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) নৌযান চলাচলের উপযোগী নাব্যতা উন্নয়ন ও সংরক্ষণে নদী খনন ও নিয়মিত নৌপথের পলি অপসারণ করে থাকে। জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ এ কাজের জন্য সংস্থার বহরে ৪৫টি ড্রেজারসহ প্রয়োজনীয়সংখ্যক জলযান রয়েছে। এগুলো সংরক্ষণ, পরিচালনা ও মেরামতের জন্য বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগের অধীনে রয়েছে আলাদা কয়েকটি ‘ড্রেজারবেইজ’। 

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের বরাত দিয়ে যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, ড্রেজার ও সহায়ক জলযানগুলো সংরক্ষণ, পরিচালনা ও মেরামতখাতে ব্যাপক আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে জলযানগুলোর মিটার টেম্পারিং করে জ্বালানি তেল আত্মসাত ও মেরামতের নামে সরকারি টাকা হরিলুট অন্যতম। বিবৃতিদাতারা এ খাতের গত তিন বছরের অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তের জন্য বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন। এছাড়া স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে প্রতি মাসে খাতভিত্তিক খরচের তথ্য গণমাধ্যমে সরবরাহ ও সংস্থার ওয়েবসাইটে প্রকাশের দাবি জানানো হয় বিবৃতিতে।  
 
বিবৃতিদাতারা হলেন- কনজ্যুমার এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সহসভাপতি এস এম নাজের হোসাইন, বিশিষ্ট শিশুসংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুর রহমান সেলিম, নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাকির হোসেন, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক অমিতরঞ্জন দে, গ্রিন ক্লাব অব বাংলাদেশের (জিসিবি) কার্যকরী সভাপতি হাজী মোহাম্মদ শহীদ মিয়া, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে, সুন্দরবন ও


উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র, নৌপ্রকৌশলী মো. আবদুল হামিদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি মানিকলাল ঘোষ, প্রভারটি ইমুলিনেশন এ্যাসিস্ট্যান্স সেন্টার ফর এভরিহোয়্যারের (পিস) নির্বাহী পরিচালক ইফমা হুসেইন, উন্নয়ন ধারা ট্রাস্টের সদস্যসচিব আমিনুর রসুল বাবুল, আলোকিত গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি বাপ্পিদেব বর্মণ, দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল আলম, মিডিয়া ফোরাম ফর হিউম্যান রাইটস এ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডেভেলপমেন্টের (মেড) নির্বাহী পরিচালক রফিকুল ইসলাম সবুজ,



বাংলাদেশ হকার্স ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার হায়াৎ, লেখক ও শিশুসংগঠক রাজন ভট্টাচার্য, জনলোকের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী রফিকুল ইসলাম সুজন, সচেতন সংস্থার আহ্বায়ক সাকিলা পারভীন, কমিটি টু প্রোটেক্ট রিভার এ্যান্ড কোস্টের (সিপিআরসি) সভাপতি কামরুজ্জামান নাছিম, ঢাকা উত্তর সিটি নাগরিক ফোরামের যুগ্ম সম্পাদক মোস্তফা কামাল আকন্দ, পুরনো ঢাকা নাগরিক উদ্যোগের সভাপতি নাজিম উদ্দিন ও মুক্তি শিখার আহ্বায়ক জিহাদ আরিফ। 


শেয়ার করুন