১৯ মে ২০১২, রবিবার, ১১:১৮:৪৪ অপরাহ্ন


বিএনপির বিপ্লব দিবসের অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল
সরকারের পতন শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৮-১১-২০২২
সরকারের পতন শুধু সময়ের ব্যাপার মাত্র বক্তব্য রাখছেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী


যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির কোনো কমিটি নেই দীর্ঘসময় ধরে। অতিসম্প্রতি বিএনপির অঙ্গ সংগঠনের কমিটি দেয়া হয়েছে। যার মথ্যে রয়েছে নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপি এবং নিউইয়র্ক সিটি উত্তর ও দক্ষিণের বিএনপি। যদিও এই তিনটি কমিটিই আহ্বায়ক কমিটি। তবে চূড়ান্ত কমিটি কবে হবে তা আল্লাহ মালুম। কারণ আহ্বায়ক কমিটির মেয়াদ কত দিন তা উল্লেখ করা হয়নি। প্রায় দেড় বছর আগে দেয়া হয় স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী কমিটি। সেই কমিটির অবশ্য মেয়াদ শেষ। কারণ এক বছরের জন্য দেয়া হয় সেই কমিটি। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির বৈধ কমিটি বলতে গেলে এখন এটাই। এ কমিটি নিয়েও ছিলো যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির মধ্যে কোন্দল-বিভক্তি। এই সুযোগ কাজে লাগিয়েছে  বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও আমেরিকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন। তিনি সমস্ত কর্মকাণ্ড বা কর্মসূচি ওই অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে করার চেষ্টা করেন। যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির নেতৃবৃন্দ যারা দীর্ঘদিন ধরে বিএনপিকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন তাদের অবজ্ঞা করার হীন প্রচেষ্টা চালান। দলের মধ্যে আরো বিভক্তি তৈরি করার ষড়যন্ত্র করছেন এবং নিজের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছেন। সেই ষড়যন্ত্র টের পেয়ে যান যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। যে কারণে তারা অতীতের সমস্ত ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে অনুষ্ঠান করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এক সভায় একজন সভাপতিত্ব করবেন এবং একজন পরিচালনা করবেন। যেই সিদ্ধান্ত সেই কাজ। তারই প্রতিফলন দেখা গেল যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি আয়োজিত বিপ্লব ও সংহতি দিবসের অনুষ্ঠানে।

গত ৮ নভেম্বর রাতে জ্যাকসন হাইটসের জুইস সেন্টারে অনুষ্ঠিত সভায় ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এই অনুষ্ঠানে ৩০-৩২ বছর যাবৎ সক্রিয় বিএনপির অনেকেই ছিলেন। সকলেই বাংলাদেশে চলমান বিএনপির আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ এবং আন্তর্জাতিক জনমত গড়তে কাজের সংকল্প ব্যক্ত করেছেন। কেউ কেউ আন্দোলনের জন্যে তহবিল গঠনের কথাও উল্লেখ করেছেন।

মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেছেন, ‘সরকারের দুঃশাসন থেকে দেশকে রক্ষা করে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে সবাইকে যোগ দিতে হবে। দেশে মানবাধিকার নেই, গণতন্ত্র নেই। শুধু বিএনপি নয় দেশের আপামর জনতাকে সঙ্গে নিয়ে স্বৈরশাসনের অবসান ঘটাতে হবে। যে আন্দোলন দানা বেঁধেছে তার ফলে এটা বলা যায় যে, সরকারের বিদায় ঘটবেই। সরকারের পতন শুধু সময়ের ব্যাপার’। তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় নির্দলীয়-নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিকল্প নেই এবং এই দাবি আদায়ে সকলকে অনড় থাকতে হবে। এখন পদ-পদবি নিয়ে দলাদলির সময় নয়, এখন হচ্ছে আন্দোলনের এবং নিজ নিজ আত্মীয়-স্বজনকে বিএনপির কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত করার সময়’।

এই সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ- সভাপতি, সাবেক আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও মূলধারার রাজনীতিক গিয়াস আহমেদ। স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী কমিটির সদস্য সচিব মিজানুর রহমান মিল্টন ভূইয়ার সমন্বয়ে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কাজী আজম এবং কোষাধ্যক্ষ জসীম ভূইয়া। পরিচালনায় বিশেষ সহযোগিতায় ছিলেন যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক এম এ বাতিন।

এ সভায় বিশেষ সম্মানিত অতিথি ছিলেন সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক সম্পাদক কণ্ঠশিল্পী বেবী নাজনীন। সমন্বয়ের দায়িত্বে ছিলেন স্বাধীনতা সুবর্ণজয়ন্তী কমিটির আহ্বায়ক ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান।

আলোচনায় আরো অংশ নেন ডা. মজিবুর রহমান মজুমদার, কামাল সাঈদ মোহন, শরাফত হোসেন বাবু, আবদুস সবুর, অ্যাডভোকেট জামাল আহমেদ জনি, আনোয়ার হোসেন, মঞ্জুর আহমেদ চৌধুরী, মুক্তিযোদ্ধা বাবর উদ্দিন, নিয়াজ আহম্মেদ জুয়েল, নুর মোহাম্মদ, জাহাঙ্গীর সরকার, মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম আনোয়ার, ফারুক হোসেন মজুমদার, জহিরুল ইসলাম মোল্লা, মোশারফ হোসেন সবুজ, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুল হক চৌধুরী, এম এ বাতিন, পারভেজ সাজ্জাদ, জাহাঙ্গীর সোহরাওয়ার্দী, আতিকুল আহাদ, সাইফুর খান হারুন এবং মাজহারুল ইসলাম জনি প্রমুখ।

নেতৃবৃন্দের মধ্যে আরো ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র জাসাসের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সায়েম রহমান, সৈয়দ এম রেজা, শাহ আলম, আব্দুস সবুর, ফিরোজ আহমেদ, এস এম ফেরদৌস, শরিফ লস্কর, শাহাদৎ হোসেন রাজু, এবাদ চৌধুরী, আবুল কাশেম, মিজানুর রহমান মিজান, বাসিত রহমান, সৈয়দা মাহমুদা শিরিন, রফিকুল ইসলাম দুলাল, আমানত হোসেন আমান, মোর্শেদ আলম বাবর, হাসান আহমেদ, মোস্তাক আহমেদ, জাকারিয়া অপু।

শেয়ার করুন