০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৩:০২:৪১ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


হামলাকারী গ্রেফতার
ফিলাডেলফিয়ায় ঈদের নামাজে সশস্ত্র হামলার চেষ্টা ব্যর্থ
ফিলাডেলফিয়া থেকে মোহাম্মদ ইসলাম
  • আপডেট করা হয়েছে : ০২-০৪-২০২৫
ফিলাডেলফিয়ায় ঈদের নামাজে সশস্ত্র হামলার চেষ্টা ব্যর্থ হামলাকারীকে গ্রেফতার করছে পুলিশ


গত ৩০ মার্চ ফিলাডেলফিয়ার বুইস্ট এভিনিউ ও বোনাফন স্ট্রিটের কাছে ঈদুল ফিতরের নামাজের সময় এক সশস্ত্র হামলার প্রচেষ্টা ব্যর্থ করা হয়েছে। এক শ্বেতাঙ্গ পুরুষ একটি অটোমেটিক রাইফেলসহ নামাজের স্থানের কাছে আসে এবং গণহত্যার পরিকল্পনা করছিলো। 

সৌভাগ্যবশত, এক সতর্ক নাগরিক তার অস্বাভাবিক আচরণ ও অস্ত্রের উপস্থিতি টের পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশকে অবহিত করেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ সন্দেহভাজনকে গ্রেপতার করে এবং তার কাছ থেকে বড় ধরনের অস্ত্র উদ্ধার করে। পুলিশ এখন তার মোটিভ ও সম্ভাব্য যোগাযোগ নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে। 

স্থানীয় মুসলিম সম্প্রদায় এই ঘটনায় উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। একজন মুসল্লি বলেন, ঈদের দিনে এমন ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্র আমাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। তবে আমরা আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করি যে একটি বড় ট্র্যাজেডি রোধ করা সম্ভব হয়েছে। 

এই ঘটনা প্রধান প্রধান গণমাধ্যমে এখনও ব্যাপকভাবে প্রচারিত না হলেও স্থানীয় কমিউনিটি নেতারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সচেতনতা ও সতর্কতা জারি করেছেন। ফিলাডেলফিয়া পুলিশ বিভাগ মুসলিম সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা জোরদারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে এবং ধর্মীয় স্থানগুলিতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। 

স্থানীয় নেতারা সকলকে সতর্ক থাকতে এবং কোনো সন্দেহজনক কার্যকলাপ দেখলে সঙ্গে সঙ্গে কর্তৃপক্ষকে জানানোর অনুরোধ করেছেন। এ প্রসঙ্গে বেসাপের এক প্রতিনিধি বলেন, এই ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে একতা ও সচেতনতাই কমিউনিটিকে সুরক্ষিত রাখে। বিভেদ বা অভ্যন্তরীণ সংঘাত আমাদের দুর্বল করে। বিশেষ করে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অভিবাসী সম্প্রদায়গুলোর প্রতি নজরদারি বাড়ছে। আমাদেরকে নাগরিক অধিকার রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।

শেয়ার করুন