০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, শনিবার, ৬:০১:৩৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


সড়কপথে নিরাপদ ঈদ যাতায়াতে আগাম ব্যবস্থা চায় জাতীয় কমিটি
নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-০৩-২০২৩
সড়কপথে নিরাপদ ঈদ যাতায়াতে আগাম ব্যবস্থা চায় জাতীয় কমিটি


সম্ভাব্য দুর্ঘটনা ও জনদুর্ভোগ এড়াতে ঈদ-যাতায়াত ব্যবস্থায় আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি।  এ জন্য ঈদযাত্রা শুরুর আগেই ভাঙাচোরা সড়কগুলো সংস্কার ও গণপরিবহন সংকট নিরসনে সকল রুটে বিআরটিসির বাস চালুর দাবি জানিয়েছে নাগরিক সংগঠনটি।  পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখে আজ বুধবার (১ মার্চ) এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি হাজি মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের প্রতি এ দাবি জানান।  এছাড়া বিবৃতিতে ঈদের আগের ও পরের ১০ দিন সকল জাতীয় মহাসড়কে মোটরসাইকেলসহ তিন চাকাবিশিষ্ট ও স্থানীয়ভাবে তৈরি ইঞ্জিনচালিত সকল ধরনের যানবাহন নিষিদ্ধের দাবি জানানো হয়েছে। 

উর্ধ্বমুখি সড়ক দুর্ঘটনা ও প্রাণহানিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতিতে বলা হয়, এ বিষয়ে এখনই কঠোর পদক্ষেপ না নিলে ঈদ যাতায়াতে দুর্ঘটনার মাত্রা অসহনীয় পর্যায়ে যেতে পারে।      

বিবৃতিতে জাতীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ বলেন, সারাবছরই দেশে অনেক জনবহুল সড়কের বেহাল দশা দেখা যায়। ঈদের আগে তড়িঘড়ি করে এসব সড়কের মেরামত কাজ শুরু হলেও তা সঠিকভাবে হয় না। 

এর ফলে একদিকে সরকারি অর্থের অপচয় হয়, অন্যদিকে দুর্ঘটনার ঝুঁকিও থেকে যায়। সেই সঙ্গে বাসযাত্রীদের দুর্ভোগ বাড়ে। তাই বেহাল সড়কগুলো অতিদ্রুত মেরামতের দাবি জানান সংগঠনটির নেতারা।   সড়কপথে ঘরমুখি মানুষ তীব্র যানবাহন সংকটে পড়েন উল্লেখ করে বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, বাসস্বল্পতার সুযোগে বিভিন্ন কোম্পানি ভাড়া বাড়িয়ে দেন। 

অনেক পরিবহন কাউন্টারে বাড়তি ভাড়ার অতিরিক্ত দামেও টিকিট বিক্রি করা হয়। অনেক কাউন্টারকর্মী টিকিট না দিয়ে যাত্রীদের বাসে উঠিয়ে দেন।  বাসশ্রমিকেরা ওইসব যাত্রীর কাছ থেকে মাঝপথে জবরদস্তি করে নির্ধারিত ভাড়ার দ্বিগুণ-তিনগুণ টাকা আদায় করেন।  এছাড়া প্রতি ঈদে অধিকাংশ বাস সার্ভিসের সময়সূচি বিপর্যয় দেখা দেয়। এর ফলে অগণিত যাত্রী চরম দুর্ভোগের শিকার হন। 

নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির নেতারা তীব্র পরিবহন সংকট ও ভাড়ানৈরাজ্যের দু:সহ যন্ত্রণা নিরসনে ঢাকাসহ বড় শহরগুলো থেকে দূরপাল্লার সকল রুটে বিশেষ ব্যবস্থায় বিআরটিসির ‘ঈদ স্পেশাল বাস সার্ভিস’ চালুর দাবি জানান।      


শেয়ার করুন