০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০২:৩১:০৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের আহ্বান জাতিসংঘের হাই কমিশনের
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৮-০৩-২০২৩
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের আহ্বান জাতিসংঘের হাই কমিশনের জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক


জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধনের জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। গত ৭ মার্চ মঙ্গলবার জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদে দেওয়া বক্তৃতায় বিভিন্ন দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরার সময় বাংলাদেশ প্রসঙ্গে ভলকার টুর্ক তাঁর পূর্বসূরি মিশেল ব্যাশেলেতের আহ্বানেরই পুনরাবৃত্তি করলেন। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া মানবাধিকার পরিষদের ৫২তম অধিবেশনের বক্তৃতায় হাইকমিশনার টুর্ক ৪০টি দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির কোন কোন বিষয়ে তাঁর উদ্বেগ রয়েছে, তা তুলে ধরেন।

বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহিংসতা বাড়তে থাকা, রাজনৈতিক কর্মীদের নির্বিচার গ্রেপ্তার, নির্বাচন সামনে রেখে মানবাধিকার এবং গণমাধ্যমকর্মীদের অব্যাহত হয়রানির কথা উল্লেখ করে এর জন্য ভলকার টুর্ক হতাশা প্রকাশ করেন।

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিষয়ে ভলকার টুর্ক বলেন, তাঁর দপ্তরের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর তিনি এটিকে সংশোধন করার আহ্বান জানাচ্ছেন। তিনি বলেন, যারা তাদের স্বাধীন মতপ্রকাশ এবং বিশ্বাসের অধিকার প্রয়োগ করছে, তাদের বিরুদ্ধে এই আইন প্রয়োগর মাধ্যমে ফৌজদারি সাজা দেওয়া অব্যাহত রয়েছে।

এর আগে গত বছরের আগস্টে বাংলাদেশ সফরের সময় সাবেক হাইকমিশনার মিশেল ব্যাশেলেত বলেছিলেন, তাঁর দপ্তর সরকারের কাছে আইনটি সংশোধনে সুনির্দিষ্ট সুপারিশমালা পেশ করেছে। তিনি তখন ওই সুপারিশ অনুযায়ী আইনটি সংশোধনের আহ্বান জানিয়েছিলেন।

গত ছয় মাসেও এই বিষয়ে সরকার কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় হাইকমিশনারের দপ্তরে সুপারিশমালার বিস্তারিত প্রকাশের জন্য যোগাযোগ করলে তাঁরা জানান যে ওএইচসিএইচআর তিনটি মূল ইস্যুর কথা উল্লেখ করেছে। ভিন্নমত প্রকাশকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা, কথিত অপরাধ প্রতিরোধের ক্ষমতার পরিধির ব্যাপকতা ও জামিন ছাড়া দীর্ঘ সময়ের বন্দিত্বের বিষয়গুলো সংশোধনের জন্যই তাঁরা সরকারকে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।

শেয়ার করুন