০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ১০:১০:৪৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এক্সপ্লোসিভ অর্ডন্যান্স ডিসপোজাল প্লাটুন
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৭-০৪-২০২৩
শান্তিরক্ষা মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এক্সপ্লোসিভ অর্ডন্যান্স ডিসপোজাল প্লাটুন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন কঙ্গোতে যোগ দিতে বাংলাদেশ এক্সপ্লোসিভ অর্ডন্যান্স ডিসপোজাল (ব্যানইওডি) প্লাটুনের সদস্যরা


বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আরো একটি নতুন কন্টিনজেন্ট বাংলাদেশ এক্সপ্লোসিভ অর্ডন্যান্স ডিসপোজাল (ব্যানইওডি) প্লাটুনের ৩৬ জন সদস্য কঙ্গোতে প্রথমবারের মতো মোতায়েনের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেছে। গত ১৩ এপ্রিল রাতে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাদের বহনকারী বিমানটি ছেড়ে যায়। ইতিমধ্যেই তারা কঙ্গোতে পৌঁছেছেন।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ইউনাইটেড নেশনস অর্গানাইজেশন স্টাবিলাইজেশন মিশন ইন দ্য ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব দ্য কঙ্গো (মনুস্কো) মিশনের এক্সপ্লোসিভ অর্ডন্যান্স ডিসপোজালের অংশ হিসেবে এই কন্টিনজেন্টটি অপারেশন এলাকায় জরুরি মোতায়েন করা হবে। কন্টিনজেন্টটির মূল দায়িত্ব হবে এক্সপ্লোসিভ অর্ডন্যান্স ডিসপোজালের সহায়তা প্রদান করা। জাতিসংঘ সদর দপ্তরের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে এই কন্টিনজেন্টকে প্রস্তুত এবং অপারেশনাল এলাকায় নিয়োগের সব কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্প্রতি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ভাষণে শান্তিরক্ষীদের পেশাদারিত্ব ও আত্মত্যাগ প্রদর্শনের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়া সেনাবাহিনী প্রধানের অভিজ্ঞ দিকনির্দেশনা, সামরিক কূটনীতি এবং দক্ষ নেতৃত্বের ফলেই বিভিন্ন মিশনে বাংলাদেশের জনবল এবং সক্ষমতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে চিফ অব স্টাফ, বিভিন্ন মিশনে ডেপুটি ফোর্স কমান্ডার ও সেক্টর কমান্ডার পদে দায়িত্ব পালনসহ মিশনের নেতৃস্থানীয় পদে বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীদের পদায়নও বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।

গত তিন দশকে বাংলাদেশের গর্বিত শান্তিরক্ষীরা বিশ্বের ৪০টি দেশে ৫৬টি শান্তিরক্ষা মিশন সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন। এসব দুঃসাহসিক অভিযানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১ লাখ ৫১ হাজার ৯৩০ জন সদস্য বিশ্ব শান্তিরক্ষায় প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণ করে বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৩১ জন সদস্য নিহত এবং ২৩২ জন সদস্য আহত হন। বর্তমানে জাতিসংঘের ৯টি দেশের ১০টি মিশনে ৬ হাজার ৯ জন সেনাসদস্য কর্মরত আছেন।

শেয়ার করুন