২০ মে ২০১২, সোমবার, ০৪:০৯:১৬ পূর্বাহ্ন


ভয়েস অব আমেরিকাকে শেখ হাসিনা
তারেককে ফিরিয়ে নিয়ে আমরা রায় কার্যকর করতে চাই
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ০৩-০৫-২০২৩
তারেককে ফিরিয়ে নিয়ে আমরা রায় কার্যকর করতে চাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা


বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে পার্টনারশীপের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র সফরে রয়েছেন। তার এ সফরকালীন সময়ে গত ২৯ এপ্রিল একান্ত সাক্ষাতকার দিয়েছেন ভয়েস অফ আমেরিকার বাংলা বিভাগের সাথে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তার ওই দীর্ঘ সাক্ষাতকারে তুলে ধরেছেন বিভিন্ন প্রসঙ্গ। তার মধ্যে রয়েছে আগামী নির্বাচনের প্রক্কালে বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির করা দাবি তত্ত্বাধায়ক সরকার সঙ্গে সংলাপ করবেন কিনা, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে শেখ হাসিনা সরকারের অঙ্গীকার সে বিষয়ে, এলাকা ভিত্তিক বিদ্যুতের দাম, রোহিঙ্গা শরণার্থী স্বদেশে প্রত্যাবর্তন, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনা, উপমহাদেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, র‌্যাবের উর্ধতন কর্মকর্তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গসহ নানা বিষয়ে অত্যান্ত খোলামেলা আলোচনা করেন তার ওই সাক্ষাতকারে।  

এছাড়া পদ্মা সেতুর কথিত দুর্নীতি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যকার সম্পর্কের টানাপোড়েন ও তা অতিক্রম করে বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে পঞ্চাশ বছরের অংশীদারিত্বের সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়েও কথা বলেন তিনি।

সম্প্রতি বাংলাদেশের সকল নাগরিকদের জন্য সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন পাশ করা হয়েছে। আগামী জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকে এই আইন চালু হচ্ছে। বর্তমানে ঐচ্ছিক হলেও ২০৩০ সালের মধ্যে এটি সব নাগরিকের জন্য বাধ্যতামূলক করে পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন করার লক্ষ্য বাংলাদেশ সরকারের। এ বিষয় নিয়েও সাক্ষাৎকারে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারের পরিকল্পনা তুলে ধরেন।

নিম্নে দেয়া হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওই সাক্ষাতকারের উল্লেখযোগ্য কিছু অংশ। 

বিএনপির সঙ্গে তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রসঙ্গ  

তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে বিএনপির সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘কাদের সঙ্গে আলোচনা করব? এক তো সাজাপ্রাপ্ত আসামি, তারপর আবার আমার বাবা-মা ও ভাই-বোনদের খুনি, যুদ্ধাপরাধী। তারপরও দেশের স্বার্থে, দেশের গণতন্ত্রের স্বার্থে অনেক উদারতা দেখিয়েছি। তবে এখন আর তাদের সঙ্গে কথা বলার মতো কিছু নেই।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার ২১ হাজার নেতাকর্মীকে তারা হত্যা করেছে, মানুষকে পুড়িয়ে হত্যার করার পর সেসব মানুষের পরিবারগুলো যে কষ্ট পাচ্ছে। যারা পুড়েও বেঁচে আছে, তাদের সকলের চিকিৎসার ব্যবস্থা আমরা করেছি। পোড়া মানুষগুলোর কষ্ট দেখলে আর ওদের (বিএনপির) সঙ্গে বসতে ইচ্ছে হয় না। মনে হয়, ওদের সঙ্গে বসলে আমি পোড়া মানুষগুলোর গন্ধ পাই।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে বারবার আলোচনা করেছি। কিন্তু আসলে বিএনপি এমন একটি রাজনৈতিক দল যেটি সৃষ্টি করেছে একজন সামরিক শাসক। যে ১৯৭৫ সালে আমার বাবা, মা, ভাই, বোনকে হত্যা করেছে। একজন প্রেসিডেন্টকে হত্যা করে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় এসেছে। একজন সেনাপ্রধান নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা দিয়ে চেয়ারে বসল। বসে হ্যাঁ-না ভোটের নামে নাটক, সেখানে না নয়, সব হ্যাঁ ভোটই হয়ে গেল। পরে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন করল। এর পরে গিয়ে রাজনৈতিক দল সৃষ্টি করল, ক্ষমতায় বসে থেকে। এ কথাটা সবাইকে মনে রাখতে হবে, অস্ত্র হাতে নিয়ে ক্ষমতা দখল করে, ক্ষমতায় বসে থেকে যে রাজনৈতিক দল সৃষ্টি করা হয়েছে নেটাই হচ্ছে বিএনপি।’

ভয়েস অব আমেরিকার শতরূপা বড়ুয়াকে দেওয়া ভিডিও সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি সৃষ্টির পর ১৯৮৯ সালে যে নির্বাচনটা করল, সেটা কিন্তু সম্পূর্ণ ভোট কারচুপির যে দৃষ্টান্ত বলতে গেলে তারাই সৃষ্টি করল। হ্যাঁ-না ভোট, রাষ্ট্রপতি ভোট এবং জাতীয় সংসদের ভোট। এই যে আমাদের যে ভোট কারচুপির যে কালচারটা শুরু করল, সেটা কিন্তু বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার জন্য। আমাদের দেশের গণতন্ত্রের করুণ ইতিহাস। কারণ, আমি বলব সামরিক শাসকরাই কিন্তু ক্ষমতা দখল করেছে। জনগণের সমস্ত ক্ষমতাটা সেনানিবাসেই বন্দি ছিল।’

র‌্যাবের উপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা 

র‌্যাবের ওপর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সরকারের নেয়া সংস্কারমূলক পদক্ষেপ নিয়েছে? প্রসঙ্গে ভয়েস অব আমেরিকাকে তিনি বলেন, জঙ্গিবাদ নির্মূলসহ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে আমেরিকার পরামর্শেই কিন্তু এই র‌্যাবের সৃষ্টি হয়েছে। র‌্যাবের প্রশিক্ষণ থেকে সবকিছুই আমেরিকার করা। যখন একটি গণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় আসল, আমরা সবকিছু ঠিকমতোই চালাচ্ছি। তখন আমেরিকা কী কারণে র‌্যাবের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করল, তা আমার কাছে বোধগম্য নয়। র‌্যাবের কোনো সদস্য অপরাধ করলে তার বিচার হয়। র‌্যাবের কেউ অপরাধে জড়িয়ে পড়লে সঙ্গে সঙ্গে আমরা তাকে আইনের আওতায় নিয়ে আসি। যেটা অন্য কোনো দেশে নেই, এমনকি আমেরিকাতেও নেই। এই আইনের শাসনটা আমাদের দেশে আছে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের একজন প্রতিমন্ত্রীর মেয়ের জামাই র‌্যাবের সদস্য থাকা অবস্থায় একটি অপরাধে জড়িয়ে পড়েছিল। তাকেও সঙ্গে সঙ্গেই আইনের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, সে শাস্তিও পেয়েছে। বিষয়টিকে আমরা এভাবেই দেখছি। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে র‌্যাবের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু, হঠাৎ করে র‌্যাবের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ফলে জঙ্গিরা আবার উৎসাহিত হয়ে গেল বলে মনে হয়। এটাই হলো বাস্তবতা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে আইনের শাসন বলবৎ রয়েছে। আমরা সবকিছু আইনের দৃষ্টিতে দেখি। আবার বিনা অপরাধে কেউ যাতে শাস্তি না পায়, এটাও আমরা দেখি।

উপমহাদেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি প্রসঙ্গে 

আমি মনে করি মানুষ যত শিক্ষিত হবে। তত তার মনটা বড় হবে। আর যার যার ধর্ম সে সে পালন করবে। অন্তত এ সুযোগটা সকলের জন্য থাকা উচিৎ। এটা হলো বিশ্বাস। আমরা মুসলমানরা বলবো এ পৃথিবীটা আল্লাহর সৃষ্টি। গাছের পাতাটাও আল্লাহর হুকুম ছাড়া নড়ে না। ফলে এখানে ভাল কে ভালো দেখানো নিয়ে মন্দকে মন্দ দেখানোর জন্য সব কিছু তো আল্লাহই সৃষ্টি করে দিয়েছেন। সে ক্ষেত্রে আমাদের কারোরই তো বলার অধিকার নেই যে ও ভালো, ও মন্দ, ও খারাপ এগুলো বলার তো অধিকার আমাদের নেই। এটা যদি আমরা আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখি, তাহলে তো সে বিচার মহান রাব্বুল আল আমিনই করবেন।

আমরা এটাই বিশ্বাস করি। আমি আমাদের দেশে এটাই বলছি। এবং আমরা এখনও আমাদের দেশে যে যার যার ধর্ম পালন করে যাবার সুযোগ পাচ্ছি। যেমন আমরা একটা শ্লোগান শুরু করেছি। ‘ধর্ম যার যার উৎসব সকলের’। যখন উৎসব হবে তখন সকলেই তা পালন করছি। হ্যাঁ এর মধ্যেও কিছুটা অন্যরকম থাকে। আমাদের দেশেও আছে এতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে এটুকু বলতে পারি, আমাদের সাধারণ মানুষকে আমরা অন্তত এটুকু বুঝাতে সক্ষম হয়েছি যে এটা যার যার বিশ্বাস নিয়ে সে সে চলবে। শেষ বিচার এক জায়গাতেই হবে। সব ধর্মে কিন্তু এ কথাই বলা। তবে বাংলাদেশের ব্যাপারে আমি বলতে পারি যে আমরা ধর্ম নিরপেক্ষতা এবং যার যার ধর্ম চর্চা এটা আমরা করে যাচ্ছি। অন্তত আওয়ামী লীগ সরকারের আমালে কেউ যদি অন্য ধর্মের উপর আঘাত দেয় তাহলে সেটা কিন্তু আমরা মেনে নেই না। কারণ আমাদের ধর্ম এটা বলে না। আমাদের নবী করিম (স:) ও বলেছেন অন্যকে তোমরা আঘাত করো না। আমরা সেটা মনে চলি।  

স্মার্ট বাংলাদেশ 

ইতিমধ্যে আমরা ডিজিটাল সিস্টেম সারা বাংলাদেশে করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের ব্রডব্যান্ড, ওয়াইফাই কানেকটি ভিটি, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণ করেছি, সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে আমরা দিচ্ছি। আমাদের ছেলে মেয়েদের আমরা ট্রেনিং করাচ্ছি। দেশের বিভিন্নস্থানে হাইটেক পার্ক করে দিয়েছি। এক কথায় আমাদের জনগোষ্ঠি যেন স্মার্ট জনগোষ্ঠি হয়। অর্থাৎ সকল বিল এবং সবকিছু যাতে অনলাইন ব্যবহার করে তারা স্মার্টভাবে করতে পারে সে ব্যবস্থা করে দিচ্ছি। আমাদের ইকোনোমিটাও স্মার্ট ইকোনোমি করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে বিস্তারিত ব্যাখ্যা প্রদানসহ তিনি তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।  

তারেক রহমানকে ফিরিয়ে নেয়া 

বিভিন্ন মামলায় আসামী তারেক রহমানের ফিরিয়ে নেয়ার ব্যাপারে যুক্তরাজ্যের সরকারের সঙ্গে কী কোনো আলোচনা হয়েছে কি-না প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অবশ্যই। আমরা বিভিন্ন সময়ে যুক্তরাজ্যের সরকারের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলোচনা করেছি। সে একজন অপরাধি। যে অপরাধিই হোক না কেন তার তো ফিরিয়ে নিয়ে সাজাটা কার্যকরি হওয়া প্রয়োজন। সে ব্যাপারে আমরা প্রচেষ্টা চালাচ্ছি। তবে এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে বৃটিশ গভর্মেন্টের উপর। তারা কি ওই আসামী সেখানে রেখে লালন পালন করবে না শাস্তিটা কার্যকর করতে দেবে এটা সম্পূর্ণ তাদের উপর নির্ভর করছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হচ্ছে মানি লন্ডারিং কেস, অস্ত্র চোরাকারবারী কেস, দুর্নিতি এবং সে সাথে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা। এরকম আরো বহু মামলা তার বিরুদ্ধে রয়ে গেছে। তারেক রহমান তো কেয়ারটেকারের সময়ে মুচলেকা দিয়ে রাজনীতি আর করবে না বলে দেশ ছেড়েছিল। তাই আমরা চাই তাকে যত দ্রুত ফিরিয়ে নিয়ে এসে তার রায় কার্যকর করতে।  

রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন 

আপনারা জানেন যে আমাদের পররাষ্ট্রনীতিটা খুবই স্পষ্ট। যে সকলের সঙ্গে বন্ধুত্ব, বৈরিতা কারো সাথেই নয়। এটা আমরা মেনে চলি। যখন আমরা দেখি রোহিঙ্গদের উপর অকথ্য অত্যাচার হলো। আসলে এগুলো দেখে আমার ‘৭১ সনের মুক্তিযুদ্ধের কথা মনে পড়ে গেল। আমরা তাদেরকে আশ্রয় দিলাম। একটা মানবিক কারণে। সাথে সাথে এদের চিকিৎসা ব্যবস্থা, খাবারের ব্যবস্থা, বাসস্থানের ব্যবস্থা সবকিছু আমরা করেছি। এরপর পৃথিবীর অনেক দেশই গিয়েছে। প্রথমত তো আমাদের নিজেদেরই সব কিছু করতে হয়েছে। পাঁচটা বছর হয়ে গেছে। আমরা কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিটা দেশকেই আহ্বান জানিয়েছি যে তারা (রোহিঙ্গা) যেন তাদের নিজের দেশে ফিরে যেতে পারে। সাথে সাথে আমরা আমাদের প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমার। আমরা কিন্তু তাদের সঙ্গে ঝগড়া করতে যাইনি। আমরা তাদের সঙ্গে আলোচনা করছি। আমরা বারবার তাদের সঙ্গে আলোচনা করছি বলেছি, যে এরা আপনাদের দেশের নাগরিক। আপনারা তাদেরকে ফিরিয়ে নিয়ে যান। তারা কখনো পজেটিভ কখন প্রতিশ্রুতি এভাবে চলছে। তবে সত্যি কথা কি এটা এখন বাংলাদেশের জন্য বোঝা হয়ে যাচ্ছে। দ্বিতীয় কথা হচ্ছে প্রতিদিন নতুন নতুন শিশু জন্ম নিচ্ছে। সাথে সাথে যারা ছোট ছিল তারা বড় হচ্ছে। বড় কথা এদের অনেকেই মাদক ব্যবসা, মানব পাচারসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে যাচ্ছে। একই সঙ্গে নিজেরা নিজেদের সঙ্গে ঝগড়া করছে। বিবাধ করছে মারছে। বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে যাচ্ছে। ফলে এরা যত দ্রুত তাদের দেশে ফিরে যাবে তাদের জন্যই ভাল। তাদের শিশুদের জন্য ভাল। এখানে হয়তো কিছু এনজিও কাজ করছে। বা আমরা সরকার থেকে কিছু সুযোগ করে দিচ্ছি। কিন্তু এটা তো সার্বিকভাবে একটা জাতির জন্য ঠিক না। তারা যত তাড়াতাড়ি তাদের দেশে ফিরে যাবে তত তারাতাড়ি তারা তাদের মত করে বাঁচবে এটাই তো বড় কথা। সে জন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। এবং সব দেশকে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করে যাচ্ছি। 

এ ছাড়া ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধের কারণে যে অর্থনীতি মন্দা চলছে এতে করে বিদেশ থেকে যে সাহায্য সহযোগিতা আসতো সেগুলোও কমে যাচ্ছে। আর এদিকে ওনাদের জনসংখ্যা বাড়ছে। বাংলাদেশ একটা ছোট ভুখন্ড। সেখানে আমাদের ১৭ কোটি মানুষ। আমরা এদের খাবারসহ সবকিছু করবো। আবার এদের জন্য যে অতিরিক্ত বোঝা এটা আমরা কতকাল টানবো। আর কক্সবাজারে আমাদের যে জনসংখ্যা তার চেয়ে এদের জনসংখ্যাই যেন বেশি। দিন দিন এরা বাড়ছে। যখন এরা আমাদের দেশে প্রবেশ করে। তখন চল্লিশ হাজার মহিলা গ্রেগনেন্ট ছিল। এদের সবকিছু আমাদের করতে হয়েছে। বন্ধু রাষ্ট্রগুলোও করেছে। কিন্তু আমাদেরই তো বেশিরভাগ করতে হয়েছে।

শেয়ার করুন