১৮ মে ২০১২, শনিবার, ৬:২৬:৩৯ পূর্বাহ্ন


জনমনে আতঙ্ক ও চরম নিরাপত্তাহীনতা : আসক
নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ০১-১১-২০২৩
জনমনে আতঙ্ক ও চরম নিরাপত্তাহীনতা : আসক


আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি পুনরায় সহিংস হয়ে উঠেছে যা জনমনে আতঙ্ক ও চরম নিরাপত্তাহীনতা তৈরি করছে। ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে একজন পুলিশ সদস্য, একজন সাংবাদিকসহ তিনজন নিহত হয়েছে, এবং আহত হয়েছে প্রায় শতাধিক। গণপরিবহনে অগ্নিসংযোগ ও নেতা-কর্মীদের ধর-পাকড় বা গ্রেফতারের ঘটনা ঘটছে। এমনকি প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ন্যায় ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) এমন রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে এবং নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে এ অরাজকতার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছে। একইসাথে আসক দেশের সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি গ্রহণ; বিশেষত, ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক জোটকে প্রতিপক্ষের প্রতি সহনশীল আচরণের মধ্য দিয়ে তাদের রাজনৈতিক অধিকার চর্চার ক্ষেত্রে যেন অনভিপ্রেত বাঁধা প্রয়োগের ঘটনা না ঘটে তা নিশ্চিত করার আহবান জানাচ্ছে।

শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশের অধিকার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি রাজনৈতিক অধিকার। বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৭ অনুচ্ছেদে সুস্পষ্টভাবে শান্তিপূর্ণ সভা-সমাবেশের অধিকার প্রদান করা হয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর এমন পাল্টাপাল্টি সহিংস কর্মসূচি প্রকৃতপক্ষে জনদুর্ভোগ ও প্রাণহানি ঘটাচ্ছে। জনগণের নিরাপত্তা ও দেশের অর্থনৈতিক অবস্থাকে তোয়াক্কা না করে এমন কর্মসূচি কোনভাবেই কাম্য নয়। আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক অধিকার চর্চার ক্ষেত্র নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি দায়িত্বশীল ও সংযত আচরন প্রদর্শনের আহবান জানাচ্ছে। সেই সাথে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে সহিংসতার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনার জন্য নিরপেক্ষ ও কার্যকর তদন্ত নিশ্চিত করার দাবী জানাচ্ছে। আসক সহিংসতা নয়, পারষ্পরিক আলোচনা ও সংলাপের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের ওপর জোর দিচ্ছে।

শেয়ার করুন