০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ০৪:৩৩:৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


ক্যালিফোর্নিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মেধাবী ছাত্র আরিফ মোহাম্মদের মর্মান্তিক মৃত্যু
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২২-১১-২০২৩
ক্যালিফোর্নিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মেধাবী ছাত্র আরিফ মোহাম্মদের মর্মান্তিক মৃত্যু বাবার সঙ্গে আরিফ মোহাম্মদ নাদিম


আরিফ মোহাম্মদ নাদিম। বয়স মাত্র ১৮ বছর। পরিবারের সঙ্গে তার বসবাস ছিল নিউইয়র্কে। বর্তমানে তার পরিবার থাকে নিউইয়র্কের লংআইল্যান্ড সিটিতে। এক সময় থাকতেন ম্যানহাটনে। বাবা মাইনুদ্দীন মোহাম্মদ খোকা জানালেন, আমার ছেলে আরিফ মোহাম্মদ নাদিম ছিল অত্যন্ত মেধাবী। ছোটবেলা থেকেই সে জিনিয়াস। পড়েছিলেন ব্রঙ্কস সায়েন্সে। স্কুলে পড়ার সময়ই বাবাকে বলেছিলেন, বাবা আমি কম্পিউটার সায়েন্সে আমেরিকার বিখ্যাত কলেজে পড়বো। চার ছেলের মধ্যে আরিফ মোহাম্মদ নাদিম সবার বড়। ছেলে ইচ্ছার কথা শুনে বাবা বলেছিলেন কোনো অসুবিধা নেই বাবা, তুমি যেখানে পড়তে চাও আমি সেখানে পড়াবো। অর্থ নিয়ে কোনো চিন্তা করো না। আরিফ মোহাম্মদ নাদিম মেধাবী হওয়ার কারণে সে ফুল স্কলারশিপ পেয়েছিল। আরিফ মোহাম্মদ নাদিমের সেই স্বপ্ন পূরণ হলো। সে চান্স পেয়েছিল ক্যালিফোর্নিয়ার ওকল্যান্ড কাউন্ট্রি কলেজে। এক বছর পর তার বোস্টনে আসার কথা। কিন্তু আরিফ মোহাম্মদ নাদিমের আর বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়া হলো না। গত ১৯ নভেম্বর রাত প্রায় সাড়ে ১১টা দিকে আরিফ মোহাম্মদ নাদিম এক সড়ক দুর্ঘটনায় মর্মান্তিকভাবে মৃত্যুবরণ করে (ইন্না লিল্লাহে... রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১৮ বছর। মৃত্যুকালে সে বাবা-মা, ভাইসহ আত্মীয়স্বজন রেখে গেছে।

আরিফ মোহাম্মদ নাদিমের বাবা মাইনুদ্দীন মোহাম্মদ খোকা জানান, আমি বিষয়টি প্রথমে জানতাম না। আমাকে আমার এক বন্ধু বিষয়টি জানায়। আমি দেখে তো কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে যাই। আমার সোনার ছেলের এই অবস্থা। তিনি বলেন, ঘটনার দিন আরিফ মোহাম্মদ নাদিম তার এক বন্ধুকে এয়ারপোর্টে নামাতে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে তার আরো এক বন্ধু ছিল। আরিফ মোহাম্মদ নাদিম গাড়িটি ক্যাম্পন থেকে নিয়েছিলেন। রাস্তায় কোনো কারণে গাড়িতে সমস্যা দেখা দিলে আরিফ মোহাম্মদ নাদিম গাড়ি থেকে নামেন। ওই সময় তাকে আরেকটি গাড়ি ধাক্কা দেয়। মারাত্মক আহত অবস্থায় আরিফ মোহাম্মদ নাদিমকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কোনোভাবেই আরিফ মোহাম্মদ নাদিমের পরিবার এটা মেনে নিতে পারছেন না। আরিফ মোহাম্মদ নাদিমের বাড়িতে এখন শোকের মাতম। লংআইল্যান্ড সিটি এলাকায় এখন শোকের মাতম। আরিফ মোহাম্মদ নাদিমের বাবা ২১ নভেম্বর ক্যালিফোর্নিয়ার উদ্দেশে রওয়ানা হবেন। সেখান থেকে ছেলের লাশ নিউইয়র্ক নিয়ে আসবেন। এখানে আনার পর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে এবং এখানেই দাফন করা হবে। আরিফ মোহাম্মদ নাদিমের দেশের বাড়ি নোয়াখালির সোনাইমুড়িতে।

শেয়ার করুন