০৭ জুলাই ২০১২, রবিবার, ০৯:১৭:৫৮ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
ভারতের পর ৮ জুলাই চীন যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা বিরোধী আন্দোলনে আজ ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি জনগনের অধিকার খর্ব করতে সরকার আদালতকে ব্যবহার করছে-মান্না দুর্নীতি নিয়ে বিএনপির বক্তৃতাই বড় কৌতুক - পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে যেসব চুক্তি হয়েছে তাতে দেশের স্বার্থ নেই নিউ ইয়র্ক সিটির ১১২.৪ বিলিয়ন ডলারের বাজেট ঘোষণা ‘ট্রানজিট তো অলরেডি দেওয়া আছে, সেখানে ক্ষতিটা কী হচ্ছে’ শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রোধে জাতিসংঘে বাংলাদেশের অবদান তুলে ধরলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী উপদেষ্টাদের পাপের আগুনে জ্বলছে জ্বালানি-বিদ্যুৎ খাত বিএনপির নতুন কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগে টেনশন


খালেদা জিয়ার দুঃখ প্রকাশ
বিশেষ প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৯-০৬-২০২৪
খালেদা জিয়ার দুঃখ প্রকাশ খালেদা জিয়ার সাথে ঈদ সাক্ষাতের পর কথা বলছেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন


বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে রাতে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন দলের স্থায়ী কমিটির ছয় সদস্য। স্থায়ী কমিটির ৬ নেতার পরে দলের সিনিয়র ৯ নেতা বেগম জিয়ার সাথে দেখা করেছেন। গত ১৭ জুন সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে খালেদার গুলশানের বাসা ‘ফিরোজা’য় যান খন্দকার মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান ও সেলিমা রহমান।

রাত সাড়ে ৯টার পর তারা বেরিয়ে আসেন। গেইটের সামনে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘‘আজকে এই পবিত্র ঈদের দিনে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য আমরা উপস্থিত হয়েছিলাম। আপনারা জানেন যে, প্রত্যেক বছরই আমাদের নেত্রীর সাথে ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য আমরা একত্রিত হই। এই বছরও তাই করেছি।” আমাদের মহাসচিব (মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর) তিনি নিজের দেশের বাড়িতে আছেন। সেজন্য তিনি আজকে অনুপস্থিত।

নিজের দীর্ঘদিন অসুস্থতা থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে খন্দকার মোশাররফ বলেন, আমি ব্যক্তিগত অসুস্থ। আপনারা জানেন আমি প্রায় এক বছর অসুস্থ। আল্লাহ তায়ালা আমাকে আপনাদের দোয়ায় আমাদের নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, স্থায়ী কমিটির সদস্যগণসহ সকল স্তরের নেতা-কর্মীদের দোয়ায় আল্লাহ তায়ালা আমাকে ফেরত পাঠিয়েছেন.... আপনাদের সামনে উপস্থিত করার সুযোগ করে দিয়েছেন। সেজন্য আমি মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করি এবং আমাদের নেতা-কর্মীসহ দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানাই।

তিনি বলেন, আমরা প্রত্যেক ঈদে আমাদের নেত্রীর সাথে দেখা-সাক্ষাৎ করি এবং ঈদের ‍শুভেচ্ছা বিনিময় করি। এখানে কিন্তু রাজনীতি নিয়ে আমরা আলোচনা করি না। আমাদের নেত্রীও করেন না। আজকেও তাই হয়েছে। তিনি আরো বলেন, দেশের মানুষের যে অর্থনৈতিক অবস্থা, দৈন্যতা, আজকে যে খারাপ অবস্থা... আজকে যে ঈদ সকলে সেইভাবে আনন্দের সাথে করতে পারেনি এ ব্যাপারে আমরা কষ্টে আছি, সকলে এই ব্যাপারে দুঃখিত। আমাদের (বেগম খালেদা জিয়া) নেত্রীও দূঃখ প্রকাশ করেছেন। দেশের মানুষজনকে এবং দলের নেতা-কর্মীকে দেশনেত্রী শুভেচ্ছা জানিয়েছে এবং ভবিষ্যতে বাংলাদেশে মানুষ যেভাবে চায় সেভাবে যাতে করে অর্থনৈতিক-সামাজিক সর্বক্ষেত্রে উন্নতি হয়ে সকলে আনন্দের সাথে, সুখ-স্বচ্ছন্দের সাথে এই ধরনের ঈদ এবং জীবন-যাপন করতে পারে সেজন্য আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দোয়া করেছেন।

স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সাক্ষাতের পরে দলের ভাইস চেয়ারম্যান মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আবদুল্লাহ আল নোমান, বরকত উল্লাহ বুলু, আবদুল আউয়াল মিন্টু, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সুজা উদ্দিন, আবদুল কাইয়ুম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স বিএনপি চেয়ারপারসনের সাথে দেখা করে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

ঈদের আগের দিন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত কর্ণেল অলি আহমেদও গুলশানের বাসায় বিএনপি চেয়ারপারসনের সাথে দেখা করেন।

৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি জটিলতা ও লিভারের রোগে ভুগছেন। তিনি গুলশানের বাসা ফিরোজায় থাকছেন চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে।

দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকারের নির্বাহী আদেশে শর্তসাপেক্ষে সাজা স্থগিত করে সাময়িকভাবে মুক্তি দেওয়া হয় তাকে। এরপর থেকে গুলশানের ওই বাসায় থাকছেন খালেদা জিয়া, যেখানে দলের নেতাকর্মীসহ অন্যরা তার সাক্ষাৎ পান না। কেবল দুই ঈদে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা খালেদা জিয়ার সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করে আসছেন।

শেয়ার করুন