যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি এবং যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে পালন করা হয়েছে বিএনপির চেয়ারপারসন এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ৭৯তম জন্মবার্ষিকী পালন করেছে। গত ১৪ আগস্ট রাতে জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায় কেক কাটা, দোয়া মাহফিল এবং তবারক বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও সাধারণ প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশগ্রহণ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা শিল্পী বেবী নাজনীন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য আব্দুল লতিফ সম্রাট, বিএনপির জাতীয় কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য জিল্লুর রহমান জিল্লু, বিএনপির জাতীয় কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য গিয়াস আহমেদ, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক কোষাধ্যক্ষ জসীম ভুইয়া।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম, নিয়াজ আহমেদ জুয়েল, জহিরুল ইসলাম মোল্লা, সৈয়দ এম রেজা, যুক্তরাষ্ট্র যুবদলের সাবেক সভাপতি জাকির এইচ চৌধুরী, যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আবু সাঈদ আহমেদ, বিএনপি নেতা কাজী শাখাওয়াত হোসেন আজম, কাজী আমিনুল ইসলাম স্বপন, এবাদ চৌধুরী, ফিরোজ আহমেদ, এ জি এম জাহাঙ্গীর হোসাইন, মিজানুর রহমান মিজান, আতিকুল হক আহাদ, স্টেট বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান সাইদ, শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক সাইফুর খান হারুন, ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল খালেক, বিলাল চৌধুরী প্রমুখ।
বেবী নাজনীন বলেন, গণগত্যাকারী শেখ হাসিনার বিচার করতে হবে। তাকে বিচার করা গেলে বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠত হবে না।
জিল্লুর রহমান জিল্লু বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়েছে। তবে তার ঘৃণীত জেলখানা আয়নাঘর বন্ধ করতে হবে এবং সব বন্দিকে মুক্তি দিতে হবে এবং যারা আয়নাঘর তৈরি করে মানুষের ওপর নির্যাতন করেছে, তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। তিনি আরো বলেন, গত তিনটি নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণা করতে হবে এবং আবৈধ মন্ত্রী-এমপিরা রাষ্ট্রের যেসব সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেছেন, তা ফেরত আনতে হবে। সেই সঙ্গে তিনি প্রবাসে যেসব ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রের সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করেছে, তাদের সেসব সুযোগ-সুবিধা ফেরত দিতে হবে।
গিয়াস আহমেদ বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে বিচার করার দাবি জানান। সেই সঙ্গে তিনি দ্রুততম সময়ে নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানান।
আব্দুল লতিফ সম্রাট বিশেষ দোয়া পরিচালনা করেন। দোয়ার পর খালেদা জিয়ার জন্মদিনের কেক কাটা হয় এবং সবার মধ্যে তবারক বিতরণ করা হয়।