২০ সেপ্টেম্বর ২০১২, শুক্রবার, ০৫:৪৯:৪৩ অপরাহ্ন


এস্টোরিয়া মাদ্রাসার সামার ক্লাস সম্পন্ন, পুরস্কার বিতরণ
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৮-০৮-২০২৪
এস্টোরিয়া মাদ্রাসার সামার ক্লাস সম্পন্ন, পুরস্কার বিতরণ আল আমিন মসজিদের অনুষ্ঠানে মঞ্চে নেতৃবৃন্দ


ইসলামী শিক্ষার মাধ্যমে আমাদের নতুন প্রজন্মকে মানবিক, চরিত্রবান এবং সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। গত ২৫ আগস্ট রোববার আল-আমিন মাদ্রাসা অ্যান্ড ইসলামিক সেন্টার এস্টোরিয়ার বার্ষিক সামার ক্লাসের সমাপনী অনুষ্ঠানে অতিথিরা এসব কথা বলেন। প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে মসজিদের দোতলায় আজমিকের সভাপতি আলহাজ শাহাব উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। 

সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক সভাপতি আলহাজ জয়নাল আবেদীন, মসজিদের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আলহাজ রফিক আহমেদ এবং আজমিকের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ আমিন হোসেইন, সহ-সভাপতি আলহাজ ডা. আহসান উল্লাহ, কোষাধ্যক্ষ আলহাজ সাফায়েত খান, সহ-সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুর রহিম, সদস্য আব্দুস সালাম মিয়া আজম ও মোহিত পারভেজ। 

সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন মাদ্রাসার অধ্যক্ষ, ইমাম ও খতিব হাফিজ মাওলানা লুতফুর রহমান চৌধুরী, মাদ্রাসার শিক্ষক হাফিজ মাওলানা নাজমুল ইসলাম, হাফিজ মাওলানা সাদ আহমেদ ও মাওলানা নেওয়ার আহমেদ। 

বিপুলসংখ্যক অভিভাবকের মধ্যে থেকে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক ইকবাল মাহমুদ, এমদাদ তরাফদার, শামসুল ইসলামম নূরুল হক, এনাম উদ্দিন, মইনুল ইসলাম চৌধুরী, ফাহিম মিয়া, মো. ফারুক আহমেদ, লোকমান হাছান, মোহাম্মদ মোস্তফা প্রমুখ। 

পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের শুরুতে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বিগত দিনের শিক্ষার মধ্যে জুমার নামাজ ও খুতবা, ঈদের নামাজ, ওজু, গোসলের দোয়া, হাদিস, হামদ, নাতে রসুল ইত্যাদি সুধীজনের সামনে পরিবেশ করেন। যা দেখে উপস্থিত অভিভাবক ও সুধীম-লী অভিভূত হন। 

মাদ্রাসার বিভিন্ন ক্লাসের শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিযোগিতায় যারা পুরস্কার লাভ করেন : প্রথম গ্রেডে চ্যাম্পিয়ান হন জারা রহমান, দ্বিতীয় নাইমা ইসলাম, তৃতীয় সুমাইয়া আলম। দ্বিতীয় গ্রেডে (ক) প্রথম স্থান অধিকার করেন নাদিয়া নূর, দ্বিতীয় মাহির খান এলাহী ও তৃতীয় মুসফিক মুছা। (খ) গ্রুপে প্রথম স্থান অধিকার করেন সিয়াম খান, দ্বিতীয় আদিয়ান উদ্দিন ও তৃতীয় সাইফ মোহাম্মদ। ৪র্থ গ্রেডে প্রথম স্থান অধিকার করে শাফিন বাশার, দ্বিতীয় তানসিতা মেহজাবিন ও তৃতীয় ওমর হাসান। ৬ষ্ঠ গ্রেডে প্রথম স্থান অধিকার করেন সাদমান আলম, দ্বিতীয় হয় ইহান তরফদার ও যুগ্মভাবে তৃতীয় হয় আদনান আলী এবং আবিদুর রহমান। 

পবিত্র আল কোরআনের (হিফজ) বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করেন সুমাইয়া সুলতানা, দ্বিতীয় হয় অলিউর রহমান চৌধুরী ও তৃতীয় মাইসা আলম। 

অতিথিরা বলেন, আমাদের সামনে বসে আছেন কোরআনের পাখি। এ বাচ্চারা হলো মাছুম, জান্নাতের বাগান। সারা বছর কষ্ট করেছেন এবং সবাই সামারে ক্লাস করে অনেক কিছু শিখেছেন। তাদের সব সময় মাদ্রাসা ও মসজিদমুখী রাখতে হবে। এ প্রজন্মই হলো আমাদের মসজিদ ও মাদ্রাসার প্রাণ। তাদের উপস্থিতির মাধ্যমে মসজিদ-মাদ্রাসা প্রাণবন্ত থাকবে। দীন ইসলাম আল্লাহর জমিনে প্রতিষ্ঠিত হবে। বাসায় অভিভাবকদের মূল দায়িত্ব হলো স্কুল-কলজের শিক্ষার পাশাপাশি মাদ্রাসায় যা শিখেছে তা অনুশীলন করা। আমরা কেউ এ পৃথিবীতে থাকবো না। মারা যাওয়ার পরে যেন প্রতিটা বাচ্চা মা-বাবার কবরের পাশে দাঁড়িয়ে দোয়া করতে পারে। তারা আরো বলেন, এরাই হলো আমাদের ভবিষ্যত। ইসলামি শিক্ষায় শিক্ষিত হলে একজন যুবক হবে চরিত্রবান, মানবিক এবং দেশের সুনাগরিক। তারা আগামীদিন মা-বাবার মুখ উজ্জ্বল করে সমাজ, দেশ ও জাতিকে আলোকিত করবে সেটাই আমাদের প্রত্যাশা। শেষে মিলাদ, দোয়া ও তবারক বিতরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

শেয়ার করুন