০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, শুক্রবার, ৬:৩৩:৫৫ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
স্ন্যাপ সুবিধা ফিরলেও কঠোর নিয়মে বিপাকে ৪০ মিলিয়ন মানুষ মসজিদে ধারাবাহিক হামলা, উদ্বেগে মুসলিম সম্প্রদায় ফেব্রুয়ারি ১ থেকে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানযাত্রায় লাগবে ৪৫ ডলারের ফি নিউইয়র্কে শীতকালে ঘর গরম রাখার জন্য এনার্জি সহায়তার আবেদন শুরু দারিদ্র্যপীড়িত দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন স্থায়ীভাবে বন্ধের আহ্বান ট্রাম্পের ১৯ দেশের গ্রিনকার্ডধারীদের পুনর্মূল্যায়ন শুরু তারেকের ‘ফেরা ইস্যু’ ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে চেষ্টা বিডিআর বিদ্রোহের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কমিশন রিপোর্টে তোলপাড় রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ মর্যাদায় খালেদা জিয়া ১১ মাসে ২৮ জন বাংলাদেশী ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী কর্তৃক নিহত হয়েছে


গণঅভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত দেয়ার চিন্তা
নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট করা হয়েছে : ১৩-১২-২০২৪
গণঅভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত দেয়ার চিন্তা গণঅভ্যুত্থানে আগত একজন বীর যোদ্ধাকে নিয়ে যাচ্ছেন সহযোদ্ধাগন/ছবি সংগৃহীত


মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ  উপেদষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, গণঅভ্যুত্থানের সময় আন্দোলন করতে গিয়ে আহত হওয়া ব্যক্তিদের অঙ্গহানির জন্য তাদেরকে যারা তিরস্কার বা কটু কথা বলে মানসিক আঘাত দেয় তারা মানুষের মধ্যে পড়ে না। কেবিনেট মিটিংয়ে আহত ও শহিদ পরিবারগুলোকে আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আঁচল ফাউন্ডেশন আয়োজিত ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী মানসিক স্বাস্থ্যসেবা’ বিষয়ক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী।

আরো বক্তৃতা করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালেয়র বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সাবেক আঞ্চলিক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. এম. মুজাহেরুল হক, মনোরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. কামরুল হাসান, বিএসএমএমইউ এর অধ্যাপক ড. নাহিদ মাহজাবিন মোর্শেদ, সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী ড. সোনিয়া জেড খান, চলচ্চিত্র নির্মাতা রেদোয়ান রনি, বাংলাদেশ চাইল্ড হেল্পলাইন-১০৯৮ এর ম্যানেজার মো. মোহাইমেন চৌধুরী, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. নওশাদ জামির, আহত ছাত্র সালমান হোসেন প্রমুখ।

সেমিনারে স্বাগত বক্তৃতা করেন আঁচল ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তানসেন রোজ।

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার আরো বলেন, আমরা দেখেছি আন্দোলনের পর থেকে অনেক মা বাবারাও ট্রমাটাইজড। অনেক পরিবারের মেয়েরা আন্দোলনে ট্রমাটাইজড হয়ে লোক ভয়ে ডাক্তারের শরণাপন্ন হচ্ছেন না এই ভেবে যে, যদি মানুষ জেনে যায় তাহলে তাদের বিয়ে দিতে সমস্যা হতে পারে।

তিনি বলেন, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে আহত ও শহিদ পরিবারের পাশে আছে অন্তর্বর্তী সরকার। আহতরা আমাদের শ্রদ্ধার, তাদের আমরা অনুকরণ করবো। তারা জীবন বাজি রেখে নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। এখনও অনেক আহতরা শহীদে পরিণত হচ্ছে, তাদের তালিকা বাড়ছে।

অধ্যাপক ডা. মো. সায়েদুর রহমান বলেন, গণঅভ্যুত্থানে আহতরা যে পক্ষেরই হোক তারা চিকিৎসা পাবেন। তবে গণঅভ্যুত্থানের পক্ষে আহতদের অর্ধেককে এখনো সহায়তার আওতায় আনা সম্ভব হয়নি। সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে সব গুছিয়ে নিতে। আমরা নিশ্চিত করছি তাদের শিক্ষা, চিকিৎসা ও সার্বিক প্রয়োজনে সর্বোচ্চ চেষ্টা রয়েছে। যা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সহায়ক হবে।

শেয়ার করুন