১৯ এপ্রিল ২০১২, শুক্রবার, ০৬:৫৭:০৯ অপরাহ্ন


কুলাচ এবং মিশ মে লাকের
কাজী জহিরুল ইসলাম
  • আপডেট করা হয়েছে : ০২-০৪-২০২২
কুলাচ এবং মিশ মে লাকের


ইসমাইল কাদারের রাজনৈতিক উপন্যাস ‘দ্য পিরামিড’ বের হয় ১৯৯২ সালে। বইটি আমি ২০০১ সালে কিনি প্রিস্টিনার সবচেয়ে বড় বইয়ের দোকান দুগাজিনি থেকে। কসোভোতে তখন ইসমাইল কাদারের খুব নামডাক। ওখানকার সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন বিভাগের প্রধান হিসেবে কাজ করার সুবাদে কসোভোর ইন্টেলেকচুয়াল কমিউনিটির সঙ্গে আমার একটি সহজ যোগাযোগ গড়ে ওঠে। মন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা আদেম গাশি ইংরেজি খুব জানতেন না, কিন্তু তিনি রোজই আমার অফিসে এসে এক-দেড়ঘণ্টা আড্ডা দিয়ে যেতেন। আমার দু’জন দোভাষী ছিল। দুই সুন্দরী। একজন আলবেনিয়ান, অন্যজন সার্বিয়ান। সার্বিয়ান মেয়েটি দেখতে অনেকটা ঐশ্বরিরা রাইয়ের মতো ছিল। স্লিম ফিগার, কটা চোখ, কিন্তু চুলের রঙ ছিল কালো। দীর্ঘ এবং প্লেন কালো চুলের জন্য ওকে ভারতীয়দের মতো লাগতো। ওরা দু’জন প্রতিযোগিতা করে দু’বেলা আমার জন্য কফি বানাতো। আদেম নিজেই তার ভাঙা ভাঙা ইংরেজিতে কথা বলার চেষ্টা করতো। দোভাষীকে প্রায়শই ধমক দিয়ে থামিয়ে দিতো। 

আদেম ছিল কসোভোর জাতীয় লেখক ফোরামের সভাপতি। আমার কিছু কবিতা তিনি আলবেনিয়ান ভাষায় অনুবাদও করেন। কসোভোর লেখক ফোরামের মূল আড্ডাস্থল ছিল প্রিস্টিনা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। ওখানে সত্তর-পঁচাত্তর বছর বয়সের বুড়োরা যেমন যেত, আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকেনি এখনো এমন তরুণরাও থাকতো। আমাকে বহুবার আদেম দাওয়াত করেছে। স্থানীয়দের সাথে বেশি মাখামাখি না করার নির্দেশ থাকায় কখনো যেতাম না। দেশে ফিরে আসার মাস দুয়েক আগে ওদের এক আনুষ্ঠানিক আড্ডায় যোগ দিই এবং কবিতা পড়ি। কবিতা পড়ার জন্য ত্রিশ ইউরো সম্মানীও পাই।

আদেম সারাণ ইসমাইল কাদারের গল্প করতো। শুধু গল্পই করতো না, ইসমাইল কাদারেকে নিয়ে রীতিমতো গর্ব করতো। বাংলা ভাষার সাহিত্য সম্পর্কে ওর ধারণা দু’জন লেখকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং তসলিমা নাসরিন। তসলিমার রূপেও কিছুটা মজেছিল সে। আমাকে প্রায়শই তসলিমা নাসরিনের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে প্রশ্ন করতো।

ওর কাছ থেকে কাদারের নাম এতো শুনেছি যে, মনে হতো আমাদের আড্ডাগুলোতে কাদারেও উপস্থিত থাকতেন। আদেমের সাথে ইসমাইল কাদারের ব্যক্তিগত যোগাযোগ ছিল। ইসমাইল কাদারের বয়স এখন ৮৫ বছর। ষাটের দশক থেকেই তিনি আলবেনিয়ার শ্রেষ্ঠ লেখক। প্রথম জীবনে কবিতা লিখতেন। নিজেকে এখনো তিনি কবি বলতে ভালোবাসেন। কিন্তু ১৯৬৩ সালে ‘দ্য জেনারেল অব দ্য ডেড আর্মি’ উপন্যাস প্রকাশের পর পৃথিবীর মানুষ তাকে ফিকশন লেখক হিসেবেই জানে। আদেম খুব জোর দিয়ে বলতো ইসমাইল কাদারে অবশ্যই নোবেল প্রাইজ পাবেন। একটা পর্যায়ে আমারও এই ধারণা হয়। আমি ওই সময়ে বার্লিনে বেড়াতে গেলে কবি দাউদ হায়দারের সঙ্গেও কাদারেকে নিয়ে আলোচনা করি। তিনিও সায় দেন, হ্যাঁ কাদারের পাওয়া উচিত, কিন্তু পাবে না। ইসমাইল কাদারে আলবেনিয়ান হলেও ফরাসি নাগরিক। বহু বছর ধরে ফ্রান্সেই বসবাস করছেন। নোবেলের রাজনীতি তো আর কারো অজানা নয়। ইউরোপীয় কাউকেই যদি দেবে তো একজন মুসলমানকে কেন? আর কোনো কারণে যদি মুসলমান লেখককেই দিতে হয়, তাহলে ইউরোপ থেকে কেন। তখন একজন আরব্য লেখককে খুঁজে বের করা যাবে। এই রাজনীতির শিকার হয়ে থাকবেন কাদারে। কাদারের একমাত্র কন্যা বেসিয়ানা কাদারে এখন জাতিসংঘে নিযুক্ত আলবেনিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার সাথে আন্তর্জাতিক ক‚টনৈতিক সমাজের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আছে। তিনি যদি এখন পিতার জন্য জোর লবিং করেন কিছু একটা হলে হয়েও যেতে পারে। তবে যা করার তাড়াতাড়ি করতে হবে, তার বয়স এখন ৮৫, মৃত লেখককে তো আর নোবেল দেয়া হয় না।

পাঠক, বুঝতেই পারছেন, আমি ইসমাইল কাদারে প্রসঙ্গে এতো কথা বলছি একটি দেশের কথা বলবো বলে, সেই দেশটির নাম আলবেনিয়া। আমি যখন কসোভোতে ছিলাম তখনও কসোভো স্বাধীন দেশ হয়নি। সার্বিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার জন্য মরণপণ লড়ছে ওরা। কসোভোর ৮৫ শতাংশ মানুষ আলবেনিয়ান। ওরা নিজেদের বৃহত্তর আলবেনিয়া রষ্ট্রের নাগরিক মনে করতে খুব ভালোবাসতো। বিয়ে, জন্মদিন, রাজনৈতিক-সামাজিক সভা, সমাবেশ, মিছিল সর্বত্র আলবেনিয়ার পতাকা বহন করতো। আলবেনিয়া একটি স্বাধীন রাষ্ট্র বটে, কিন্তু তার চেয়েও বেশি আলবেনিয়া একটি জাতি, একটি সংস্কৃতি। যে জাতির মানুষ স্বাধীন আলবেনিয়াতে ৩ মিলিয়ন হলেও কসোভোতে ২ মিলিয়নের বাস। এ ছাড়াও মেসিডোনিয়া এবং মন্টেনিগ্রোর এক বৃহৎ জনগোষ্ঠী আলবেনিয়ান।

আমরা যে নানান দেশের রান্না রান্না খেলা খেলছি, সেই খেলার এ পর্যায়ের দেশ আলবেনিয়া। কসোভোতে ছিলাম ৩ বছর। ওদের প্রথাগত প্রায় সব খাবারই খেয়েছি। পরবর্তীতে নানান দেশে কাজ করার সময়ও বহু আলবেনিয়ান নারী-পুরুষের সঙ্গে দেখা হয়েছে, বন্ধুত্ব হয়েছে। তাদের খাদ্য সংস্কৃতির স্পর্শ ও স্বাদ আমাকে বারবারই নস্টালজিক করে তুলেছে। ঠিক করেছি আজ রান্না করবো কুলাচ এবং মিশ মে লাকের। কুলাচ হচ্ছে দই দিয়ে গোলানো আটার রুটি। আর মিশ মে লাকের হচ্ছে বাঁধাকপি দিয়ে রান্না করা গরুর মাংস।

শুরু করা যাক। প্রয়োজন মতো আটা একটি পাত্রে নিয়ে তাতে পরিমাণ মতো বেকিং পাউডার এবং নুন মিশিয়ে নিতে হবে। আটার গুঁড়োর মাঝখানে একটি গর্ত করে জলের বদলে দই ঢেলে দিন। এবার ভালো করে ময়ান দিয়ে খামিরটা তৈরি করুন।

একটি তাওয়া বা ট্রেতে সামান্য তেল মেখে ওতে খামিরটা ঢেলে দিন। এবার হাত দিয়ে চেপে চেপে কিছুটা ছড়িয়ে দিন। একটা মোটাসোটা রুটির আদল তৈরি হবে। এর ওপরিভাগেও জলপাইয়ের তেল মেখে নিন। এবার কাঁটা চামচ দিয়ে দাগ এবং ফুটো করে পছন্দ মতো ডিজাইন করুন। প্রথাগতভাবে আলবেনিয়ানরা কুলাচের ওপর নকশা করে। ৪০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপমাত্রায় ৪০ মিনিট বেক করুন। ব্যাস হয়ে গেল কুলাচ।

২০০০ সালের জুলাই মাসে কসোভোতে কর্মরত বাঙালি কর্মীরা দলবেঁধে আলবেনিয়ার বর্ডারে যাই। বর্ডার শহর প্রিজরেন থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে সুউচ্চ পাহাড়ের পাদদেশে আলবেনিয়া এবং কসোভোর বর্ডার। ১৫-১৬ জনের সেই দলে কবি জাহিদ হায়দারও ছিলেন। পাহাড়ি নদী দ্রিনির পাড়ে নির্জন পাহাড়ের ঢালে একাকী একটি রেস্টুরেন্ট দাঁড়িয়ে আছে, যেটি তাজা মাছের রেস্টুরেন্ট হিসেবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে খুব জনপ্রিয়। ওরা রেস্টুরেন্টের পেছনে নদীর মধ্যে জালের বাঁধ দিয়ে মাছ ছেড়ে রাখতো। রেস্টুরেন্টের ভেতর থেকে কাচের দেয়ালের ওপাশে মাছগুলো দেখা যেত। কাস্টমার যে মাছটা খেতে চায় আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেই ওরা সেটা ধরে গ্রিল করে টমেটো, লেটুস পাতা, ফাফারোনি, পার্সেলি এবং কাচা লালরঙের গোল গোল মুলা কেটে পরিবেশন করতো। সাথে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই অথবা ভাত। শুধু নুন মেখে গ্রিল করা মাছ পাহাড়ের ছায়ায় দ্রিনি নদীর পাড়ে বসে খেতে কী যে অসাধারণ লেগেছে, সেই স্বাদ আজো ভুলিনি।

খেয়ে-দেয়ে আমরা হাঁটতে হাঁটতে আলবেনিয়ার বর্ডারে যাই। এপারে ইউএন বর্ডার পুলিশ, ওরা তো আমাদের আইডি দেখেই যেতে দিলো। কিন্তু ওপারের আলবেনিয়ান বর্ডার পুলিশ আমাদের কিছুতেই ঢুকতে দিচ্ছে না। ওরা বলে বাংলাদেশি পাসপোর্টে ভিসা লাগবে। ভিসা ছাড়া আমরা যেতে পারবো না। কেউ একজন একটি ইউএন পাসপোর্ট বের করে বললো, এটাতে হবে? আলবেনিয়ান পুলিশ জানতে চায় এটা কোন দেশের পাসপোর্ট? আমরা বলি এটা ইউনাইটেড নেশনসের পাসপোর্ট (লেইসাস পাসার)। সে তার বসকে ডেকে আনে। বস এসে বলে, ইউনাইটেড নেশনস আবার কোন নেশন? এমন কোনো নেশনের নাম তো শুনিনি।

ফিরে এসে আমি আমার স্থানীয় সহকর্মীদের বলি, তোমরা আলবেনিয়ার সঙ্গে একসাথে হওয়ার চিন্তাটা বাদ দাও। তাহলে পুরো নেশনের গড় আইকিউ অনেক নিচে নেমে যাবে। ওরা অবশ্য আমার এই জটিল ফান তেমন বুঝতে পারেনি।

দণি-পূর্ব ইউরোপের মুসলিম অধ্যুষিত একটি ছোট্ট দেশ রিপাবলিক অব আলবেনিয়া। গ্রিস, কসোভো, মেসিডোনিয়া এবং মন্টেনিগ্রোর সাথে স্থল-সীমান্ত আছে। অড্রিয়াটিক এবং আয়োনিয়ান সমুদ্রে জলসীমান্ত। অড্রিয়াটিকের ওপারেই ইতালি এবং গ্রিস।  আলবেনিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যপদের জোরালো দাবিদার, কিন্তু সেই আশা ওদের কবে পূরণ হবে তা অনিশ্চিত। এখানেও বর্ণ ও ধর্মের রাজনীতি। ইইউয়ের সদস্য হবার জন্যই হয়তো আজকাল ওরা বলে ওদের দেশের অর্ধেক মানুষ খ্রিস্টান।  কিন্তু আমি যখন কসোভোতে ছিলাম তখন ওরা বলত ৮০-৮৫ শতাংশ মুসলমান। তবে বলকানের, বিশেষ করে আলবেনিয়া এবং কসোভোর, মুসলমানেরা শুধুমাত্র ‘আমি মুসলমান’ গর্ব করে এই পরিচয়টিই দেয়। মুসলিম সংস্কৃতি কিছুটা পালন করে, কিন্তু ধর্ম পালনে তেমন কোনো উত্সাহ দেখা যায় না। প্রতিটি গ্রামেই মসজিদ আছে, কিন্তু সেখানে মুসল্লি নেই। নামাজের সময় ৪-৫ জন বৃদ্ধ লোককে হয়তো দেখা যায়। কোনো তরুণ আলবেনিয়ানকে আমি কখনোই মসজিদে যেতে দেখিনি। জিজ্ঞেস করলে বলতো, ধর্ম তো বুড়োদের জন্য। ১১ হাজার ১০০ বর্গকিলোমিটারের ছোট্ট এই দেশটির সভ্যতার ইতিহাস অনেক প্রাচীন। হাজার বছর আগের পেলাসগ, পরে ইলের এবং তারপর শিপটর জাতি আজকের আলবেনিয়ান। 

সাম্প্রতিককালে ওদের মাথাপিছু আয় বেড়ে প্রায় ৬ হাজার ডলারের কাছাকাছি এসেছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের দিক থেকে আলবেনিয়া অসম্ভব সুন্দর একটি দেশ, তেমন একটা রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতাও নেই, কিন্তু দুর্বল ব্যবস্থাপনার জন্য তেমন এগোতে পারছে না। সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যাপক দুর্নীতি। মিশ মে লাকের রান্না করতে লাগবে গরুর মাংস এবং বাঁধাকপি। ওরা পেঁয়াজ, রসুন, পাপরিকা, ফাফারোনি (বড় সাইজের কাঁচামরিচ), গোলমরিচ আর নুন ছাড়া অন্য কোনো মসলা ব্যবহার করে না। আমিও গরম মসলা জাতীয় কোনো মাংসের মসলা ব্যবহার করিনি, বাড়তি মসলার মধ্যে শুধু একটু আদা বাটা দিয়েছি।

মাংসটা পেঁয়াজ, রসুন, আদা বাটা এবং গোলমরিচের মধ্যে কষিয়ে চাক চাক করে কাটা বাঁধাকপির টুকরোগুলো ঢেলে দিলাম। বাঁধাকপি এবং মাংসের মধ্যে বিবাহটা নিশ্চিত হওয়ার পর সামান্য পানি দেই। এরপর কম আঁচে ৪০-৪৫ মিনিট জ¦াল দিলেই হয়ে গেল মিশ মে লাকের।

খেতে খেতে নভো আলবেনিয়ার কিছু ফ্যাক্টস অ্যান্ড ফিগার জানালো। মুক্তি আজ তেমন প্রস্তুতি নেয়নি। তবু একটি বক্তৃতা দিলো। কত কত স্মৃতি। আমরা একবার মন্টেনিগ্রোর উলচিনে বেড়াতে গিয়েছিলাম। ওখানে এতো আলবেনিয়ান দেখে মুক্তি আমার সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হয়েছিল যে, এটা আলনবেনিয়া। আমরা হয়তো তিরানায় চলে এসেছি। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো এখনো ওর মাথায় আছে আমরা মন্টেনিগ্রো নয়, তিরানায় গিয়েছিলাম এবং খেতে খেতে সে বারবার তিরানা তিরানাই করছিল। ওর একজন সহকর্মী তিরানা থেকে এসেছিল। যোগ দিয়েছিল কসোভোর ইউএনডিপি অফিসে। মেয়েটির নাম লিডা চার্চানী। খুব জটিল এবং আত্মবিশ্বাসহীন এক নারী। কসোভোর আলবেনিয়ানদের প্রতি মুক্তির খুব উচ্চ ধারণা। ভীষণ অতিথিপরায়ণ জাতি, কিন্তু আলবেনিয়ার আলবেনিয়ানদের কথা উঠলেই ওর চোখের সামনে শুধু লিডার ছবিটাই ভেসে ওঠে। তখন আবারো বুঝতে পারি দেশের বাইরে আমরা সবাই একেকজন নিজের দেশের অ্যাম্বাসেডর। আমাদের আচার-আচরণ দিয়েই ভিনদেশিরা আমাদের দেশকে মূল্যায়ন করে।

সবাই খুব মজা করে কুলাচ এবং মিশ মে লাকেরের স্বাদ উপভোগ করছে। 

কসোভোতে যখন ছিলাম তখন আদেলিনা ইসমাইলি নামের এক যৌনাবেদনময়ী তরুণ শিল্পী খুব নাম করেছিল। ওর গাওয়া সবচেয়ে হিট গান ছিল, ‘আলেকিয়া রাসুলুল্লাহ, আলেকিয়া হাবিবাল্লাহ, মাকালুন মাকালুন লুনা/ তু বে আমানেতে...’। 

আমরা খেতে খেতে আদেলিনার গান শুনছি।

ঊনবাঙাল কর্মী

নিউইয়র্ক, যুক্তরাষ্ট্র

শেয়ার করুন