০৩ মে ২০১২, শুক্রবার, ০৭:৫৪:০৬ অপরাহ্ন


ফিরল জর্জ ফ্লয়েডের স্মৃতি আবারো আলোচনায় পুলিশ
দেশ রিপোর্ট
  • আপডেট করা হয়েছে : ২৫-০৮-২০২২
ফিরল জর্জ ফ্লয়েডের স্মৃতি  আবারো আলোচনায় পুলিশ


 যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের স্মৃতি আবার ফিরে এলো। আবার একজনকে মাটিতে ফেলে পেটানোর পর চেপে ধরে রাখেন পুলিশের তিন সদস্য। একটি দোকানে পাথর ছোড়ার অভিযোগে ওই ব্যক্তিকে মারধরের পর হাঁটু দিয়ে চেপে ধরা হয়। জর্জ ফ্লয়েডকেও মাটিতে ফেলে হাঁটু চেপে ধরেছিল পুলিশ। তবে এবারের অভিযুক্ত ব্যক্তি হাসপাতালের চিকিৎসার পর সুস্থ আছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঘটনাটি গত ২১ আগস্ট রোববার যুক্তরাষ্ট্রের আরকানসাসের ক্রফোর্ড কাউন্টির মালবেরিতে ঘটেছে।

এএফপির বরাত দিয়ে এনডিটিরি খবরে বলা হয়েছে, পুলিশের বেধড়ক মারধর ও অভিযুক্ত ব্যক্তিকে হাঁটু দিয়ে চেপে ধরার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এ ঘটনার ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক অভিযুক্তকে মাটিতে ফেলে মারধর করছে তিনজন পুলিশ। এরপর অভিযুক্ত তিনজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একজনকে দায়িত্ব পালন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, একটি দোকানের দিকে পাথর ছুড়ছিলেন ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি। এরপর ধরতে গেলে পুলিশকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন তিনি। তারপর তিনি পালিয়ে যেতে চেষ্টা করেন। তখন তাঁকে ধরার জন্য বাধ্য হয়েই হাঁটু গেড়ে মারধর করতে হয়েছে।

স্থানীয় হাসপাতালে ওই ব্যক্তিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি এখন সুস্থ আছেন। তাঁর বিরুদ্ধে বেশ কিছু ধারায় মামলা করা হয়েছে। তিন পুলিশের মধ্যে দুজন ক্রফোর্ড কাউন্টির আর একজন মালবেরি পুলিশ বিভাগের।

ক্রফোর্ড কাউন্টি শেরিফের অফিস রোববার ফেসবুকে এক বার্তায় বলেছে, ক্রফোর্ড কাউন্টির জড়িত দুই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আরকানসাস অঙ্গরাজ্যের পুলিশকে ঘটনা তদন্তের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। তদন্তের প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত পুলিশ সদস্যদের বরখাস্ত করা হয়েছে। মালবেরির মেয়র গ্যারি ব্যাক্সটার বলেছেন, এক পুলিশের সদস্যের বিরুদ্ধে আরকানসাস পুলিশ তদন্ত করছে।

আরকানসাসের গভর্নর আসা হাচিনসন টুইট করে বলেছেন, ‘পুরো ঘটনা নিয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। এ ঘটনার যথাযথ তদন্ত করা হবে।’ জাল নোট ব্যবহারের অভিযোগে টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের হিউস্টনের বাসিন্দা জর্জ ফ্লয়েডকে ২০২০ সালের ২৫ মে আটক করে মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপোলিস শহরের পুলিশ। আটকের পর ফ্লয়েডের ঘাড় হাঁটু দিয়ে সড়কে চেপে ধরেন ডেরেক চৌভিন। এ সময় ফ্লয়েড বলতে থাকেন, ‘দয়া করুন, আমি নিশ্বাস নিতে পারছি না। আমাকে মারবেন না।’

এরপরও ওই পুলিশ সদস্য তাঁকে ছাড়েননি। সে অবস্থাতেই মাটিতে চেপে রেখেছিলেন জর্জকে। কিছুক্ষণের মধ্যে তিনি মারা যান। এক পথচারীও ওই সময় ফ্লয়েডকে ছেড়ে দিতে পুলিশকে অনুরোধ করেন। পরে অ্যাম্বুলেন্সে করে ফ্লয়েডকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। জর্জ ফ্লয়েড মিনিয়াপোলিস শহরের একটি রেস্তোরাঁয় নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। মর্মান্তিক সেই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।


শেয়ার করুন